‘ইউ আর মাই হিরো'-এই শিরোনামেই সামাজিক মাধ্যমে এই কিশোরীর ভিডিও ছড়িয়েছে৷ শুধু ঘোড়ায় চড়ে নয়, রীতিমতো টগবগিয়ে ঘোড়া ছুটিয়েছে সে৷ গিয়েছে পরীক্ষা দিতে৷ কিন্তু কেন?
ছবি: picture alliance/arkivi
বিজ্ঞাপন
ভারতের কেরালার ত্রিশূর জেলায় এমন সাড়া ফেলে দেয়া ব্যাপারটি ঘটেছে৷
ভিডিওতে দেখা যায়, এক কিশোরী স্কুলের ড্রেস পরে, পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে দিনে দুপুরে রাস্তা দিয়ে ঘোড়া ছোটাচ্ছে টগবগিয়ে৷ এমনভাবে ছুটিয়েছে যা ফিল্মে দেখা রাজকুমার-রাজকুমারীদের ঘোড়া ছোটানোকেও যেন হার মানায়৷
কিশোরীর নাম৷ কিন্তু কেন সে হঠাৎ স্কুলে গেল এভাবে? ভিডিওটি ভাইরাল হবার পর ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই গিয়েছিল তার কাছে৷ রত্না তাদের জানিয়েছে, ‘‘আমি ঘোড়ায় চড়ে রোজ স্কুলে যাই না৷ কিছু কিছু বিশেষ দিনে, অথবা কিছু কিছু পরীক্ষার দিনে আমি ঘোড়ায় চেপে স্কুলে যাই৷ যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, এবার কোন বিশেষ দিন ছিল, তাহলে বলব, এদিন আমার দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার শেষ দিন ছিল৷''
কৃষ্ণা জানায়, ৭ বছর বয়সে সে ঘোড়ায় চড়া শেখে এবং বহু বছর অনুশীলন করার ফলে এখন সহজেই ঘোড়ায় চেপে স্কুলে যেতে পারে৷
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলটিকে কৃষ্ণা জানিয়েছে একরকম চ্যালেঞ্জ জয়ের বাসনা থেকেই ঘোড়ায় চড়া শিখেছে সে, ‘‘আমার বন্ধুদের একজন বলেছিল, ঘোড়ার পিঠে চড়া এত সহজ নয় এবং মেয়েদের পক্ষে তা সম্ভবই নয়৷ ঐ বন্ধু বলেছিল যে, সবাই ঝাঁসির রানী হতে পারে না৷ তাই আমি ভাবলাম কেন কোনো সাধারণ মেয়ে ঘোড়া চালাতে পারবে না?''
তার ভিডিওটি প্রথম শেয়ার করেন মনোজ কুমার নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী৷ তিনি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া ভিডিওটি ৭ এপ্রিল প্রকাশ করেন৷ এরপর তাঁর অ্যাকাউন্টেই মঙ্গলবার পর্যন্ত এটি দেখা হয়েছে সোয়া তিন লাখের বেশিবার৷ রিটুইট হয়েছে চার হাজার বার৷ এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে এটি এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এবং লাখ লাখ বার দেখা হয়েছে৷
জেডএ/এসিবি
জার্মানিতে বুনো ঘোড়ার ‘খেদা’
মার্কিন মুলুকে রোডিওর ব়্যাঙ্গলিংয়ের মতো জার্মানিতেও বুনো ঘোড়া পাকড়াও করে বেচা হয়৷ ব্যাপারটা একটা বাৎসরিক উৎসব আর মেলাও বটে৷
ছবি: Reuters/L. Kuegeler
ইউরোপের শেষ বুনো ঘোড়া
টয়টোবুর্গ জঙ্গলের মাঝখানে অবস্থিত ড্যুলমেন শহরটি একটি বিশেষ জাতের ঘোড়ার জন্য বিখ্যাত৷ ড্যুলমেন পনি৷ সারা বিশ্বে তাদের কদর, কেননা, তারা ইউরোপের শেষ বুনো ঘোড়া৷ ম্যার্ফেল্ডার ব্রুখের একটি স্থলে ৩৬০ হেক্টর এলাকা জুড়ে তাদের অবাধ বিচরণ – প্রায় গোটা বছর ধরে৷
ছবি: picture-alliance/firo/J. Fromme
১১১ বছরের ঐতিহ্য
ড্যুলমেনের ‘ঘোড়া খেদা’ দেখতে প্রতি বছর প্রায় ১৫,০০০ দর্শকের ভিড় হয়৷ ১৯০৭ সাল থেকে এই খেদা চলে আসছে, যাতে সীমিত চারণভূমিতে ঘোড়াদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়৷ অপরদিকে বাড়তি ঘোড়াগুলোকে ধরে নিলামে বেচে যে অর্থ পাওয়া যায়, তা এই বুনো ঘোড়াদের দেখাশোনার কাজে ব্যবহার করা হয়৷ ড্যুলমেনের বুনো ঘোড়াদের পোষ মানানো নাকি খুব সহজ৷
ছবি: Reuters/L. Kuegeler
পাড়া-প্রতিবেশী
স্থানীয় চাষী ও কাছাকাছি খামারের মানুষজন এসে ঘোড়া খেদায় হাত লাগান৷ প্রথম কাজ হলো মাদি ঘোড়াগুলোকে মদ্দা ঘোড়াগুলো থেকে আলাদা করা৷ তারপর কম বয়সের মদ্দা ঘোড়াগুলোকে খেদিয়ে তাড়া করে তাদের কয়েকটিকে ধরা হয় ও পরে নিলামে বেচা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Kurek
জার্মান কাউবয়
ম্যার্ফেল্ডার ব্রুখের বুনো ঘোড়াগুলোকে খেদা পদ্ধতিতে ধরা হয় – অর্থাৎ আগে যেরকম গলায় দড়ি জড়িয়ে মাটিতে ফেলে ধরা হতো, সেভাবে নয়৷ খেদায় আটকা পড়া ঘোড়াগুলো কিছুটা স্থির হলে তবে তাদের ধরা হয়৷
ছবি: Reuters/L. Kuegeler
শুধু ঘোড়াই বা কেন...
...সারমেয়রাও আছে, আছে তাদের ‘সার্কাস’৷ পোষা হলে কী হবে, বুনো ঘোড়াদের মতো ধুলো উড়িয়ে দৌড়ে না বেড়ালে কী হবে – কুকুরদের সার্কাস দেখে সবাই মুগ্ধ৷ যেমন ড্যুলমেনের ঘোড়া খেদায় বিয়ার বা সসেজেরও কোনো অভাব নেই৷