1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চকলেট কিং-এর ইউক্রেন?

২৫ মে ২০১৪

ইউক্রেনে হয়ে গেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে সাবেক মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী পেট্রো পোরোশেঙ্কো ৫০ শতাংশের উপর ভোট পাবেন৷ ফলে রান-অফ ভোটের প্রয়োজন হবে না৷ সোমবার পুরো ফল পাওয়া যাবে৷

পোরোশেঙ্কো বলেছেন, তাঁর প্রথম কাজ হবে ‘যুদ্ধ বন্ধ করা ও শান্তি ফিরিয়ে আনা’ছবি: MYKOLA LAZARENKO/AFP/Getty Images

রবিবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের মানুষ ভোট দেয়া শুরু করে৷ শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত আটটা, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা পর্যন্ত৷ ‘দ্য ন্যাশনাল এক্সিট পোল ২০১৪'-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে পোরোশেঙ্কো ভোট পাবেন ৫৫.৯ শতাংশ৷ আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ুলিয়া টিমোশেঙ্কো পেতে যাচ্ছেন মাত্র ১২.৯ শতাংশ ভোট৷ নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পান তাহলে আর রান-অফ ভোটের প্রয়োজন পড়বে না৷ এই এক্সিট পোলের এরর মার্জিন ৩.৫ শতাংশ হওয়ায় ধরে নেয়া হচ্ছে হয়ত পোরোশেঙ্কোই ইউক্রেনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন৷ সোমবার পুরো ফল জানা যাবে বলে বার্তা সংস্থাগুলো খবর দিয়েছে৷

কে এই পোরোশেঙ্কো?

কনফেকশনারি ব্যবসা থাকার কারণে ইউক্রেনে পেট্রো পোরোশেঙ্কোর পরিচয় ‘চকলেট কিং' হিসেবে৷ রাজনীতিক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে৷ তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি পরস্পর বিরোধী দুই সরকারের আমলে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন৷ ভিক্টর ইউশেঙ্কো সরকারের আমলে তিনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ আর ইউশেঙ্কোর পর যিনি ক্ষমতায় আসেন সেই ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের আমলে তিনি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য মন্ত্রীর পদ পান৷ অর্থাৎ দুপক্ষের সঙ্গেই তাঁর ভালো সম্পর্ক রয়েছে৷ উল্লেখ্য, ইয়ানুকোভিচ হলেন সেই রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট, যিনি সাম্প্রতিক আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন৷

পোরোশেঙ্কো বলেছেন, তাঁর প্রথম কাজ ‘যুদ্ধ বন্ধ করা ও শান্তি ফিরিয়ে আনা’৷ এছাড়া পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান তিনি৷

নির্বাচন যেমন ছিল

ইউক্রেনে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্বাঞ্চল ছাড়া দেশের অন্য এলাকায় ভোট দানের হার উচ্চ ছিল৷ রুশপন্থিদের কারণে পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে দোনেৎস্ক ও লুগানস্কের বেশিরভাগ জায়গায় ভোটকেন্দ্রই খোলা যায়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা৷ দোনেৎস্ক অঞ্চলের ৩৩ লাখ ভোটারের মাত্র ১৬ শতাংশ ভোটারের জন্য ভোটকেন্দ্র খোলা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে৷ আর দোনেৎস্কের রাজধানীতে যেখানে প্রায় ১০ লাখ ভোটারের বাস, সেখানে কোনো ভোট কেন্দ্র খোলা যায়নি৷

চ্যালেঞ্জ

ইউক্রেনের সাবেক শাসকদের নাম বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের তালিকায় থাকায় দেশটির অর্থনীতি প্রায় দেউলিয়া হবার পথে৷ নতুন প্রেসিডেন্টকে সেই অবস্থা থেকে দেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করতে হবে৷ এছাড়া পূর্ব ইউক্রেনকে ঘিরে যে ‘গৃহযুদ্ধ' পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে সেটাও মেটানোর চেষ্টা করতে হবে৷ অবশ্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে সম্মান করবেন৷ নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য হয়ত এটা একটা ভালো খবর বলা যেতে পারে৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ