মেঘান মার্কলকে চকোলেট-আবৃত মার্শমেলোর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জার্মান কনফেকশনারি সংস্থা সুপার ডিকমান৷ ফেসবুকে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করার জন্য জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে৷
বিজ্ঞাপন
মেঘান মার্কল সম্পর্কে জার্মানির সরকারি গণমাধ্যম জেডডিএফ-এর ধারাভাষ্যকারের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক মিটতে না মিটতেই আলোচনায় একটি জার্মান চকোলেট সংস্থা৷ সুপার ডিকমান জার্মানির প্রথম সারির কনফেকশনারি সংস্থা, যাদের চকোলেটের আস্তরণে আবৃত মার্শমেলো অতি পরিচিত ও বিখ্যাত৷ ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারির সঙ্গে মার্কিন অভিনেত্রী মার্কলেরবিয়ে উপলক্ষ্যে তারা একটি ফেসবুক পোস্ট করে৷ সেই পোস্টের ছবিতে সুপার ডিকমান একটি চকোলেট (চকোকুস) মার্শমালোকে নববধূর পোশাক পরায়৷
শনিবার এর সঙ্গে যে স্লোগানটি লেখা হয়, বিতর্ক মূলত সেটিকে ঘিরে৷ বাইরের কালচে চকোলেটের আবরণের ভিতরে যে সাদা স্পঞ্জের মতো সুস্বাদু বস্তুটি থাকে, সেটারই পোশাকি নাম মার্শমেলো৷ ছবির উপর লেখা হয়, ‘এ ফোম ইন হোয়াইট'৷ স্বাভাবিকভাবেই ‘এ ড্রিম ইন হোয়াইট'-এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে৷
সংস্থাটি এর সঙ্গে আবার একটি ক্যাপশনও দেয়৷ লেখে, ‘আপনারা কী দেখছেন? আপনারা কি মেঘান হতে চান না?'
রাজপরিবারে সাধারণ মানুষদের বিয়ে
একদিন রাজপুত্র ঘোড়া ছুটিয়ে এসে রানি করে নিয়ে যাবে তাকে – এমন স্বপ্ন না দেখা মেয়ে কমই আছে পৃথিবীতে৷ আবার রাজকন্যার সঙ্গে আংটিবদলের স্বপ্ন দেখেনি খুব সাধারণ ঘরের এমন ছেলেও বিরল৷ অনেকেরই কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে...
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
মডেল থেকে রাজবধূ
সোফিয়া হেল্কভিস্ট ছিলেন মডেল৷ রিয়্যালিটি শো-তে প্রতিযোগিতাতেও নেমেছিলেন বড় কিছু হওয়ার বাসনা পূরণ করতে৷ ২০১৫ সালে সুইডেনের যুবরাজ কার্ল ফিলিপকে বিয়ে করে তিনি এখন রাজপরিবারের সদস্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গ্রিসের রাজপুত্রের ঘরে ভিন দেশের মেয়ে
টাটিয়ানা ব্লাটনিকের জন্ম ভেনিজুয়েলায়৷ বড় হয়েছেন সুইজারল্যান্ডে৷ ইভেন্ট প্ল্যানার তাতিয়ানার ২০১০ সালে বিয়ে হয় গ্রিসের ক্ষমতাচ্যুত রাজ কনস্টান্টিনের ছেলে প্রিন্স নিকোলাসের সঙ্গে৷
ছবি: picture-alliance/abaca/G. Mousse
টেনিস কোর্টে পরিচয়, তারপর...
মিচিকো শোডাও সাধারণ ঘরের মেয়ে৷ টেনিস খেলতে গিয়ে পরিচয় হয় জাপানের যুবরাজ আকিহিতোর সঙ্গে৷ ১৯৫৯ সালে বিয়ে করেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Pana
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠি থেকে চিরসঙ্গী
ব্রিটেনের উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে কেট মিডলটন ছিলেন সেন্ট অ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী৷ ব্রিটেনের যুবরাজ উইলিয়ামসও পড়তেন সেখানে৷ সেখানেই তাঁদের পরিচয় এবং ২০১১ সালে সারা দুনিয়ায় সাড়া জাগিয়ে বিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
ফিলিস্তিনি তরুণী এখন রাজপরিবারে
ফিলিস্তিনি বাবা-মায়ের সন্তান রানিয়া আল-ইয়াসিনের জন্ম কুয়েতে৷ এক ডিনার পার্টিতে জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স আব্দুল্লাহর সঙ্গে পরিচয়৷ বিয়ে ১৯৯৩ সালে৷ ঠিক ছয় বছর পর সিংহাসনে বসেন আব্দুল্লাহ, সেই সুবাদে রানিয়া হয়ে যান সত্যিকারের রানি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. van Katwijk
এক অলিম্পিক সাঁতারুর গল্প
শার্লিন লিনেট উইটসটক ছিলেন সাঁতারু৷ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছেন৷ ২০১১ সালে মোনাকোর রাজপুত্র দ্বিতীয় অ্যালবার্টকে বিয়ে করেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Monaco Princely Palace
প্রশিক্ষক যখন স্বামী
রাজপরিবারের সন্তানদের নানা কিছু শিখতে হয়৷ তাই পার্সোনাল ট্রেনার থাকাটা জরুরি৷ ড্যানিয়েল ওয়েস্টলিং প্রশিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েই সুইডেনের রাজপ্রাসাদে গিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার কাছে৷ আর দূরে সরা হয়নি৷ ২০১০ সালে বেশ ধুমধাম করে বিয়ে হয় তাঁদের৷
ছবি: picture-alliance/IBL Schweden/J. Ekströmer
পেমার প্রেমে ভুটানের রাজা
ভুটানের পেমা জেতসুনও খুব সাধারণ ঘরের মেয়ে৷ ঘটনাক্রমে পরিচয় রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গে৷ তারপর ২০১১ সালে বিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/PPE/Royal House/K. Nidup
সরকারের অনুমতি নিয়ে বিয়ে
সোনিয়া হ্যারাল্ডসেন জানতেন নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সের বউ হওয়া কঠিন৷ তবুও দীর্ঘদিন গোপনে প্রেম করেছেন ক্রাউন প্রিন্স হ্যারাল্ডের সঙ্গে৷ সোনিয়াকে পেয়ে হ্যারাল্ড তো প্রেমে দিওয়ানা৷ একসময় পরিবারকে জানিয়ে দিলেন, বিয়ে যদি করতে হয় সোনিয়াকেই করবেন৷ রাজা ওলাফ পড়ে গেলেন মহাবিপদে৷ এমন বিয়ের যে নিয়ম নেই! শেষ পর্যন্ত সরকারের অনুমতি নিলেন রাজা ওলাফ এবং ১৯৬৮ সালে বিয়ে হলো হ্যারাল্ড-সোনিয়ার৷
ছবি: Getty Images/AFP
সাংবাদিক যখন অন্দরমহলে
স্পেনের সাংবাদিক এবং সংবাদ পাঠিকা লেতিৎসিয়া ওরটিস রোচোসোলানোর সঙ্গে যুবরাজ ফিলিপের পরিচয় কীভাবে তা কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আসল কথা হলো ফিলিপ সাংবাদিককেই বিয়ে করেন ২০০৪ সালে৷ ২০১৪ সাল থেকে তিনি স্পেনের রাজা আর সাবেক সাংবাদিক তাঁর রানি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Ballestos
রাজপুত্র পেলেন পাবে
২০০০ সাল৷ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তখন চলছে অলিম্পিক৷ তখনই মেরি এলিজাবেথ এক পাবে গিয়ে পেয়েছিলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডরিকের দেখা৷ প্রেমের শুরু তখনই৷ তবে পরিণয় পরের অলিম্পিকে, অর্থাৎ অর্থাৎ ২০০৪ সালে৷
ছবি: Getty Images/I. Waldie
11 ছবি1 | 11
ছবির সঙ্গে স্লোগান ও ক্যাপশন ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ ইন্টারনেটে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সুপার ডিকমান৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির নিন্দা করে সংস্থার বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ তোলা হয়৷
অভিনেত্রী মার্কল শ্বেতাঙ্গ নন, তিনি আফ্রিকান-অ্যামেরিকান বংশোদ্ভূত৷ হ্যারির সঙ্গে বিয়ের সময় মার্কিন অভিনেত্রীর এই পরিচয়ের কথা সংবাদমাধ্যম ও ধারাভাষ্যকারদের মন্তব্যেও উঠে আসে৷ বলা বাহুল্য, সুপার ডিকমান চকোলেটের আড়ালে মেঘান মার্কেলের কৃষ্ণাঙ্গ চেহারাকে কটাক্ষ করা হয়েছে বলে মনে করেছেন প্রতিবাদীরা৷ মেঘান মার্কলের স্বপ্নে শ্বেতাঙ্গ হ্যারি, এই বার্তাই যেন দেওয়া হয়েছে জার্মান সংস্থাটির ফেসবুক পোস্টে৷
সমালোচনার মুখে পড়ে অবশ্য ক্ষমা চায় সুপার ডিকমান৷ সংস্থার মুখপাত্র বার্নড রোসলার কবুল করেন, ফেসবুক পোস্টটিতে নির্বুদ্ধিতা প্রকাশিত হয়েছে, যা সংস্থার পক্ষে অস্বস্তিজনক৷ পোস্টটি সরিয়ে ফেলে মুখপাত্র স্বীকার করেন, ‘‘ফেসবুকে এ সব লেখার আগে যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করা হয়নি৷''
পরবর্তীতে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে সংস্থাটি লেখে, ‘সুপার ডিকমানের পৃথিবী বৈচিত্র্যপূর্ণ, জাতিবিদ্বেষের স্থান সেখানে নেই৷'
মজা আছে এখানেই৷ চকোলেটের রাজ্যে বর্ণবিদ্বেষ কিন্তু এই প্রথম নয়৷ পুরনো প্রজন্মের বহু জার্মান আজও এ নিয়ে বেশ মজা করে থাকেন৷ এমনকি সুপার ডিকমানের বিখ্যাত ‘চকোকুস'-কে আজও তাঁরা এর পুরনো নাম ‘নেগারকুস' বা ‘নিগ্রোর চুম্বন' নামে ডাকেন৷
রাজকীয় সব বিয়ের পোশাক
১৯ মে ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারির সাথে মেঘান মার্কলের বিয়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো কনের পোশাক৷ কী ধরনের পোশাক পরবেন তিনি, তা নিয়ে হচ্ছে বিস্তর আলোচনা৷ এর সূত্র ধরেই দেখা যাক রাজপরিবারে বিভিন্ন সময়ে কনেরা কী ধরনের পোশাক পরেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রানি এলিজাবেথের গাউন
বর্তমান ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ যখন ১৯৪৭ সালে প্রিন্স ফিলিপকে বিয়ে করেন, তখনও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাজেট কৃচ্ছতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ব্রিটেন৷ এলিজাবেথ তাঁর বিয়ের গাউনটির রেশমি কাপড় কিনতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীদের কাছ থেকে রেশনিং-এর কুপন উপহার পেয়েছিলেন৷ পুরো পোশাকটি স্ফটিক দিয়ে সাজানো ছিল৷ আর তাতে বসানো হয়েছিল ১০ হাজার মুক্তা৷ গাউনের পেছনের ঝুলন্ত অংশটুকু ছিল ১৩ ফুট লম্বা!
ছবি: picture-alliance/dpa
সিংহাসন ত্যাগ ও কনের বিয়ের পোশাক
১৯৩৬ সালে ব্রিটেনের রাজা হন এডওয়ার্ড৷ কিন্তু এর মাত্র কয়েকমাস পরেই প্রেমের টানে সিংহাসন ত্যাগ করে বিয়ে করেন অ্যামেরিকান সমাজকর্মী ওয়ালিস সিম্পসনকে৷ ওয়ালিসের আগে দু’বার বিবাহবিচ্ছেদ ছিল৷ ব্রিটিশ সাংবিধানিক সংকট এড়াতেই এডওয়ার্ড সিংহাসন ছাড়েন৷ ওয়ালিস তাঁর বিয়ের পোশাক হিসেবে বাছাই করেছিলেন মার্কিন ডিজাইনার মেইনবচারের ডিজাইন করা হালকা নীল রঙের পোশাক৷
ছবি: Getty Images
পুরনো ‘টুডর ফ্যাশন’
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কন্যা অ্যানি ১৯৭৩ সালে ক্যাপ্টেন মার্ক ফিলিপ্সকে বিয়ের সময় প্রথম এলিজাবেথের আমলের ফ্যাশন ‘টুডর-স্টাইল’ আবার ফিরিয়ে আনেন৷ পোশাকটি ডিজাইন করেছিল মওরিন বেকার৷ পরে এই পোশাকটি হাল ফ্যাশনে পরিণত হয়৷ ব্রিটিশ রাজকন্যাদের মধ্যে অ্যানিই প্রথম, যিনি সরাসরি বিয়ের পোশাক ডিজাইন ও তৈরির তদারকির সাথে জড়িত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/empics
বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিয়ের পোশাক
প্রিন্স চার্লসকে ১৯৮১ সালে বিয়ের সময় লেডি ডায়ানা যে পোশাকটি পরেছিলেন সেটা ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত৷ ফোলানো হাতার জামা, ফুল স্কার্টটি আরও বহুদিন পৃথিবীর বিয়ের কনেদের পছন্দনীয় পোশাক হিসেবে টিকে থাকবে সম্ভবত৷ ডেভিড এবং ইমানুয়েল এলিজাবেথের ডিজাইন করা পোশাকটি তৈরি করতে ৯ হাজার পাউন্ড খরচ হয়েছিল৷ ২৫ ফুট লম্বা ছিল এর ঝুলন্ত অংশের পরিধি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সিংহাসনের উত্তরাধিকারী
২০১০ সালে সুইডেনের প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ঐতিহ্য ভেঙে খুব সাধারণ পরিবারের একজন মানুষ, তাঁর ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ড্যানিয়েল রেসলিংকে বিয়ে করেন৷ রাজপরিবারে ব্যবহৃত সিল্ক সাটিন কাপড় দিয়ে ছোট আকারের একটি বিয়ের গাউন তৈরি করান তিনি৷ যার ডিজাইনার ছিলেন আরেক সুইডিশ ডিজাইনার পার এনসেদেন৷ আর বিয়ের দিন গাউনের সাথে ভিক্টোরিয়ার মাথায় ছিল ক্যামিও টায়রা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Henriksson
তাসমানিয়া থেকে কোপেনহেগেন
অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া প্রিন্সেস মেরি বিয়ে করেছেন ইউরোপের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ রাজপরিবারেরর একটিতে৷ ২০০৪ সালে তিনি বিয়ে করেন ডেনিশ যুবরাজ ফ্রেডরিককে৷ তাঁর বিয়ের পোশাক ডিজাইন করেছিলেন ডেনিশ ডিজাইনার উফে ফ্রাংক৷ সে পোশাকে ১০০ বছরের পুরনো আইরিশ লেস ব্যবহার করা হয়েছিল, যা দিয়েছিলেন ফ্রেডরিকের দাদির মা, এক সময়ের সুইডেনের রাজকন্যা মার্গারেট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যে বিয়েটি সবচেয়ে বেশি লোক দেখেছেন
কেট মিডলটন আর প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে হয় ২০১১ সালে৷ যুক্তরাজ্যে এই বিয়ে দেখে ৩ কোটি ৬৭ লাখ লোক এবং সারা পৃথিবীব্যাপী এর দর্শক ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ৷ মিডলটনের বিয়ের পোশাকটি ছিল ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেলে ডিজাইন করা৷ যার ডিজাইনার ছিলেন সারাহ বার্টন৷ পোশাকের কাঁচুলি বা উর্দ্ধাঙ্গে ব্যবহারের অংশটি ১৯ শতকের নকশায় করা ছিল৷ আর নীচের ফুল স্কার্টটি ছিল একটা প্রস্ফুটিত ফুলের ডিজাইনের৷