নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র একজন আঞ্চলিক কমান্ডারকে চট্টগ্রামে আটকের পর জানা গেছে, জেএমবি নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে৷ তার কাছ থেকে বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আটক সদস্য এরশাদ হোসেন মামুন চট্টগ্রামের জেলা কমান্ডার৷ তাকে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার নিউ মনসুরাবাদ বাগানবাড়ি আবাসিক এলাকার এনআর গেইটের একটি বাসা থেকে সোমবার সকাল ৮ টার দিকে আটক করা হয়৷ ওই বাসা থেকে গ্রেনেড ও বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম, গান পাউডার, জেল ও বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে৷ পাওয়া গেছে বেশ কিছু জিহাদি বই ও একটি সাইকেল৷
এরশাদ হোসেন মামুনের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, জেএমবি নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে৷ শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পর দ্বিতীয় সারির নেতাদের গ্রেপ্তারেও সংগঠনটির মনোবল ভাঙা যায়নি বলে দাবি এরশাদ হোসেন মামুনের আর নতুন করে সংগঠিত হওয়ার জন্য প্রধানত চট্টগ্রামসহ দেশের আরো কিছু অঞ্চলকে বেছে নেয়া হয়েছে বলে্ও সে জানিয়েছে৷
হত্যা, আতঙ্ক আর ঘৃণায় আইএস
শুধু ইরাক আর সিরিয়া নয়, আজকাল বিশ্বের অনেক দেশেই ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর তৎপরতার কথা শোনা যায়৷ খেলাফত কায়েমের কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়েই আমাদের আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
তাদের কাছে নারী যেন বাজারের পণ্য
অনেক সময় আটক নারী ও শিশুদের আইএস জঙ্গিরা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করে৷ সম্প্রতি আইএস-এর কবল থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ নারী ও শিশুদের সঙ্গে আইএস-এর এমন আচরণে নিন্দা জানিয়েছেন সবাই৷
ছবি: DW/Andreas Stahl
সাংবাদিক, এনজিওকর্মী হত্যা করে হুমকি
তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ না করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে নিরপরাধ মানুষ হত্যার বেশ কিছু নজীর গড়েছে আইএস৷ বিমান হামলার প্রতিশোধের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন সাংবাদিক, একজন এনজিও কর্মী এবং ব্রিটেনের দু’জন এনজিও কর্মীর শিরশ্ছেদ করেছে তারা৷ ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফলিকে৷ গত আগস্টে তাঁর শিরশ্ছেদ করে ভিডিওচিত্র প্রচার করে আইএস৷
ছবি: dapd
মুসলমান হলেও রক্ষা নেই....
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সিরীয় শরণার্থীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন পিটার কাসিগ৷ মুসলমান হিসেবে তাঁর নাম হয়েছিল আব্দুল রহমান কাসিগ৷ গত নভেম্বরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় তাঁকেও হত্যা করে আইএস৷ হত্যার পর ভিডিও চিত্রও প্রকাশ করা হয়৷ নৃশংস এ ঘটনাকে ‘শয়তানের কাজ' হিসেবে বর্ণনা করেন বারাক ওবামা৷
ছবি: picture-alliance/AP/Kassig Family
জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, তারপর...
জাপানের দুই নাগরিককে জিম্মি করে প্রথমে ২০০ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে আইএস৷ মুক্তিপণ না পাওয়ায় হারুনা ইউকাওয়াকে হত্যা করলেও সাংবাদিক কেনজি গোতোকে আটকে রাখে৷ গোতো এবং জর্ডানের বৈমানিক আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে জিম্মি করে তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে জর্ডানে আটক আইএস-এর এক নারী যোদ্ধার মুক্তি দাবি করা হয়৷ তাঁকে মুক্তি না দেয়ায় কেনজি গোতো এবং আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে হত্যা করে আইএস৷
ছবি: Reuters/www.reportr.co via Reuters TV
ইরাকে শুরু....
গত বছরের জুন মাসে ঝটিকা আক্রমণের ইরাকের মোসুল দখল করে নেয় আইএস৷ সুন্দিদের এই জঙ্গি সংঠনটি তারপর ইরাকের বেশ বড় একটা অংশে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে৷ সিরিয়াতেও দখল করে নেয় কিছু এলাকা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
বাংলাদেশেও তৎপর আইএস...
আইএস সরাসরি যুদ্ধ করছে ইরাক আর সিরিয়ায়৷ যোদ্ধা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্ত থেকে৷ জার্মানি, বৃটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে জঙ্গি মনোভাবাপন্নরা গিয়েছে ইরাক, সিরিয়ায়৷ এশিয়ার দেশগুলোতেও তৎপর আইএস৷ বাংলাদেশেও আইএস সমর্থক সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে৷
ছবি: Reuters
জুতার নীচে আইএস!
আইএস-এর প্রতি ঘৃণাও বাড়ছে সারা বিশ্বে৷ ইরাকের স্থপতি আকীল খ্রীফ তো আইএস জঙ্গিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছেন অভিনব এক উপায়৷ পুরোনো জুতা সংগ্রহ করে তার নীচে জুতার পরিত্যক্ত ফিতা, বোতাম ইত্যাদি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন আইএস জঙ্গিদের চেহারার আদল৷ আকীল খ্রীফ মনে করেন, আইএস জঙ্গিদের স্থান জুতার নীচেই হওয়া উচিত৷
ছবি: Armend Nimani/AFP/Getty Images
বৈমানিককে পুড়িয়ে মারা এবং জর্ডানের ‘প্রতিশোধ’
আটক নারী যোদ্ধাকে মুক্তি না দেয়ায় জর্ডানের বৈমানিক আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারে আইএস৷ ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতেও দেরি করেনি জর্ডান৷ আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে (ওপরের ছবি) হত্যা করে আইএস ভিডিও প্রকাশের পরই তাদের নারী যোদ্ধা সাজিদা আল-রিশোয়াই ও আরেক কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলায় জর্ডান সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
8 ছবি1 | 8
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদীপ কুমার দাস ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আটক হওয়ার পর মামুন জানিয়েছে, চট্টগ্রামে জেএমবির সদস্যরা একশ'টিরও বেশি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে৷ এসবের মধ্যে রয়েছে ফাস্ট ফুড, স্টেশনারি, কসমেটিকস, ফটোস্ট্যাট, ফ্যাশন হাউজ, সেলুন ও ফুটপাতের দোকান৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ এড়াতে তারা এই কৌশল বেছে নিয়েছে৷ সে জানিয়েছে, চট্টগ্রামে জেএমবির দায়িত্বে আছেন ১৫-২০ জন, এহছার সদস্য ১০০-১৫০ জন, গায়েরি এহছার সদস্য ৫০০ জন এবং অনেক আনসার সদস্য৷''
আটক মামুন নিজেও চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার কর্নেলহাট এলাকায় নিউ মনসুরাবাদ স্টেশনারি, ফটোস্ট্যাট অ্যান্ড কসমেটিকস নামের একটি দোকানে চাকরির আড়ালে জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে কাজ করতেন৷
মামুন আটক হওয়ার পর সাংবাদিকদের জানান, ২০১১ সালে দিনাজপুরের বালান্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি এসএসসি পাশ করেন৷ তখন তিনি জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ ওই বছর বগুড়ায় সাংগঠনিক একটি কর্মসূচিতে পরিচয় হয় গাইবান্ধা জেলা শিবিরের নেতা আল ফুয়াদ রকি ওরফে আপেলের সঙ্গে৷ আপেল পরবর্তীতে বগুড়া জেলা জেএমবিতে যোগদান করে চট্টগাম বিভাগের দায়িত্ব নেন৷
আপেলের হাত ধরে জেএমবিতে যোগদান করেন মামুন ৷ প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে চট্টগ্রামের দায়িত্ব দেয়া হয়৷ মামুনের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বালান্দর গ্রামে৷
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এর আগেও জেএমবির কয়েকজন কর্মীকে চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে৷ এবার শীর্ষ কোনো নেতাকে আটক করা হলো৷ প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে চট্টগ্রামে তারা বড় কোনো নাশকতার পরিকল্পনা করছিল৷ তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে৷''
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, ‘‘চট্টগ্রামে জেএমবি বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কাজ করছিল৷ তারা এই অঞ্চলকে ঘিরে ‘ইসলামিক স্টেট' গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছিল৷ তাদের সঙ্গে ভারত, মিয়ানমার ও পাকিস্তানি জঙ্গিদের যোগাযোগ আছে৷ তাদের কর্মীদের একাংশ দেশের বাইরে প্রশিক্ষণও নিয়েছে৷''
জার্মানিতে জঙ্গিবাদ
তারা তরুণ, ধর্মান্ধ এবং জান্নাতে যেতে চায়৷ জার্মানিতে এমন প্রায় ৫০০ ইসলামি জঙ্গি আছে যারা যে-কোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তুলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Boris Roessler
ব়্যাপার থেকে জিহাদি
ডেনিশ কুসপার্ট এর বাবা জার্মান এবং মা ঘানার৷ তাঁর জন্ম ১৯৭৫ সালে বার্লিনে৷ ইসলামিক স্টেটের অন্যতম জিহাদিস্ট এই ব়্যাপার ডেসো নামেও পরিচিত৷ ২০১২ সালের শেষ থেকে সিরিয়ায় আছেন কুসপার্ট৷ তার লক্ষ্য হলো জার্মানির সালাফিস্টদের জিহাদি হওয়ার পথে নিয়ে যাওয়া৷ চলতি মাসের প্রথম দিকে শিরশ্ছেদের নতুন ভিডিওতে দেখা গেছে তাকে৷ জার্মান সরকার জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছে৷
ছবি: twitter.com
শরিয়া পুলিশ
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভুপার্টাল শহরের রাস্তায় রাস্তায় এদের দেখা যায়৷ মুসলিম তরুণরা যাতে জুয়া না খেলে, মদ না খায় এবং গান না শোনে তার নির্দেশ দেয় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
অভিবাসী জঙ্গি
জার্মানিতে অন্তত কয়েক হাজার ইসলামপন্থি রয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকশ জনকে জঙ্গি হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ অনেকেই অভিবাসীদের সন্তান, যারা জার্মানিতে এসে একই সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে একতাবদ্ধ হতে গিয়ে এমন জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে৷ আর কিছু আছে যারা ধর্মান্তরিত হয়ে এ পথে এগিয়ে যান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নাইন ইলেভেন হামলা
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল, তার একটা অংশের পরিকল্পনা হয়েছিল জার্মানির হামবুর্গে৷ নাইন ইলেভেন হামলার সঙ্গে জড়িত চার পাইলটের তিনজন সহ আরও ছয় ব্যক্তি হামবুর্গের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন৷ ছবিতে উপরে মাঝখানে যিনি আছেন তিনি আত্মঘাতী বিমান চালক মো. আত্তা৷ নীচে বামদিকে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি মুনীর এল-মোতাস্সাদেক, যাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/lno
সুটকেস বোমা
২০০৬ সালে লেবাননের শিক্ষার্থী জিহাদ হামাদ এবং ইউসুফ আল হাজদিব কোলন শহর থেকে হাম ও কোবলেনৎস শহরে যাওয়ার দুটি ট্রেনে সুটকেস বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল৷ তবে সেটা ব্যর্থ হয়েছিল৷ হামাদকে এখন বৈরুতে ১২ বছর জেল খাটতে হচ্ছে৷ আর আল হাজদিব জার্মানিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে৷
ছবি: AP
সারল্যান্ড সেল
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নর্থ রাইন ভেস্টফালিয়া রাজ্য থেকে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়৷ তারা আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে জার্মান ও মার্কিন সামরিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল৷ এদের ১২ বছর ধরে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷
২০১১ সালের মার্চে আরিদ উকা নামে এক জঙ্গি ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরে গুলি চালিয়ে দুই মার্কিন সেনাকে হত্যা করে এবং হামলায় আরো দুই জন গুরুতর আহত হয়৷ উকার জন্ম কসোভোতে, সে বেড়ে উঠেছে জার্মানিতে৷ ফেসবুকে সে নিজেকে একজন ‘জিহাদিস্ট’ বলে উল্লেখ করেছে৷
ছবি: picture alliance / dpa
ড্যুসেলডর্ফের আল কায়েদা সেল
হালিল এ (মাঝে) কে আদালতে হাজির করা হয়েছিল ২০১১ সালের ডিসেম্বরে৷ অভিযোগ ড্যুসেলডর্ফের সন্ত্রাসী সেলের সঙ্গে যুক্ত তিনি৷ এই সেলের এক সদস্যের দাবি তিনি কোনো এক সময় আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের দেহরক্ষী ছিলেন৷ এই সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কটি জার্মানির বেশ কয়েক জায়গায় বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল৷ তবে ঐ সেলের চার সদস্যই এখন কারাগারে বন্দি৷
ছবি: dapd
সালাফিস্ট
জার্মানিতে সালাফিস্টদের সংখ্যা বাড়ছে৷ বর্তমানে এদের সংখ্যা অন্তত ৭,০০০ বলে ধারণা করা হয়৷ ২০১১ সালের অক্টোবর থেকে তারা ইসলাম প্রচারের অংশ হিসেবে জার্মান ভাষায় অনুদিত কোরআন শরীফ বিনামূল্যে বিতরণ করে আসছে৷ তাদের লক্ষ্য আড়াই কোটি কোরআন বিতরণ৷ তবে সালাফিস্টদের মধ্যে আগ্রাসী মনোভাব কম৷ প্রায় ৫০০ সালাফিস্ট সিরিয়া এবং ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ঘুরে এসেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Britta Pedersen
বন শহরে হামলা
২০১২ সালের ডিসেম্বরে বন এর কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে একটি নীল রং এর ব্যাগে বোমা পাওয়া গিয়েছিল৷ এই হামলার পেছনে মার্কো জি এর হাত ছিল বলে জানা গেছে৷ ওলডেনব্যুর্গ এ বেড়ে ওঠা মার্কো ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আইএস
২০১৩ সালের জুলাইতে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়া গিয়েছিলেন ক্রেসনিক বি৷ জার্মানিতে ফেরার সময় বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ দোষ প্রমাণিত হলে তার অন্তত চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Boris Roessler
11 ছবি1 | 11
২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে আলোচনায় আসে জেএমবি৷ এরপর তারা একাধিক আদালতে হামলা চালায়, বিচারকও হত্যা করে৷ বিচারক হত্যার ঘটনায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়ক আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইসহ পাঁচ জঙ্গির ফাঁসি হয়৷ তারপর জেএমবিতে নতুন নেতৃত্ব এলে তাদেরও পর্যায়ক্রমে আটক করা হয়৷ দেশের বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তসহ প্রায় দুই হাজার জঙ্গি সদস্য আটক আছেন বলে কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে৷
ঢাকায় মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান, যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘জেএমবির শীর্ষ নেতাসহ অনেককেই আটকের পর এখন হয়তো তারা আঞ্চলিকভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে৷ আর এইসময়ে আইএস-এর উত্থান জেএমবিকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করছে৷''
প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জেএমবির সদস্যরা ময়মনসিংহে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনসহ তিন জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়৷