চট্টগ্রামে নববর্ষ, হালখাতার হাল এবং বিপন্ন কাছিম
১৫ এপ্রিল ২০১১যেমন ধরা যাক চট্টগ্রামে নববর্ষের উৎসব৷ প্রথমেই ‘বৃষ্টির সাময়িক যন্ত্রণার' কথা লিখেছে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ তারপরেই অবশ্য আসছে: ‘বৃষ্টি শেষ না হতেই গানের টানে, প্রাণের টানে ঘর ছেড়েছেন চট্টগ্রামবাসী৷' নগরীতে বর্ষবরণের মূল আসর ছিল দৃশ্যত ডিসি হিলে৷ সকাল আটটা নাগাদ কালো মেঘ, জোর বৃষ্টি৷ অন্যান্য সব অনুষ্ঠানও নাকি ঐ বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে যায়৷ আমার মন কেড়েছে, মন করেছে আরেকটি খুঁটিনাটিতে: ডিসি হিলের অনুষ্ঠানে ছিল আরো অনেক কিছুর মধ্যে বাউল গান, এবং চাকমা, মারমা, মুরং ও বং নাচ৷ ও হ্যাঁ, ওখানেই বৈশাখী মেলায় পান্তা-ইলিশের দাম ছিল প্লেট প্রতি দেড়'শ টাকা৷
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আরেক প্রতিবেদক দুঃখ করে একটি নাতিদীর্ঘ লেখা লিখেছেন এই কম্প্যুটারের যুগে ব্যবসায়ীদের পুরনো হালখাতা আর সেই সংক্রান্ত আচার-আচরণ উধাও হওয়া নিয়ে৷ হালখাতাও গেছে, ক্রেতাদের আপ্যায়নও গেছে, শুধু সোনার দোকানগুলোতে নাকি এখনও হিসেব রাখতে খাতা ব্যবহার করা হয়৷
বাকি থাকে গোপালগঞ্জে বিপন্ন কাছিমদের দু'শো বছরের মেলা বন্ধ হবার খবর৷ এখানে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ টাকার কাছিম বিক্রি হতো৷ তা থেকেই বোঝা যায়, শেষমেষ কাছিমও যেতো, আর সেই সঙ্গে মেলাও যেতো৷ কে জানে, এবার হয়তো কাছিম বাঁচবে এবং মেলাও ফিরবে একদিন না একদিন৷ ও হ্যাঁ, কাছিমের মাংসের দর যাচ্ছিল কিলো প্রতি ছ'শো টাকা৷
তা'তে অবশ্য পান্তা-ইলিশের খদ্দেরদের বিশেষ যায় আসে না৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম