1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সক্রিয় ‘ফালতু’ ও ‘বদি আলম’রা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৪ জুলাই ২০১৪

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৭ লাখ টাকার অবৈধ লেনদেন হচ্ছে৷ এর সঙ্গে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও ৬০-৭০ জন দালাল যুক্ত৷ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি’র জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে৷

Bangladesch Blockade BNP 01.12.2013
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

‘চট্টগ্রাম বন্দর এবং কাস্টমস হাউসে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া অটোমেশন: প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক এক গবেষণার তথ্য সোমবার প্রকাশ করেছে টিআইবি৷

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুল্কায়নের বিভিন্ন ধাপে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা, পরীক্ষণে ১০০ থেকে চার হাজার টাকা, কাস্টমস হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দৈনিক ন্যূনতম ৪৭ লাখ পাঁচ টাকা এবং পণ্য ছাড়ে দৈনিক ন্যূনতম ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করা হয়৷

আর এই অবৈধ লেনদেনে ব্যবসায়ী ও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মুখ্য সহায়তাকারীর দায়িত্ব পালন করে ৬০-৭০ জন ‘বদি আলম' ও ‘ফালতু'৷ এরা মূলত দালাল৷ আর তারা মূলত কমিশনের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়ে কাজ করে৷ কাস্টমস হাউসে অটোমেশন চালুর পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিও বিদ্যামান থাকায় অবৈধ অর্থ আদায়ের সুযোগ থেকে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷

দৈনিক ন্যূনতম ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করা হয়ছবি: DW/Arafatul Islam

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস তাঁরা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন৷ তাতে দেখা গেছে শুধু আমদানি পর্যায়েই চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার অবৈধ লেনদেন হয়৷ এই অবৈধ লেনদেনের সুবিধা নেন কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের একাংশ৷

তারঁ মতে কাস্টমস হাউস পুরোপুরি অটোমেশন করা গেলে সেবা প্রদানকারী ও গ্রহীতার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে না৷ তখন দুর্নীতির মাত্রা কমে আসবে৷

তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষী কিছু মহলের যোগসাজশ ও কারসাজির কারণে অটোমেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে না৷ যে মহলটি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে তারা চট্টগ্রাম বন্দর ও শুল্ক ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে৷ টিআইবি এজন্য নয় দফা সুপারিশ করেছে৷

টিআইবি'র প্রতিবেদনটি সম্পর্কে কাস্টমস কমিশনার মাসুদ সাদিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি তাঁর হাতে নেই৷ প্রতিবেদনটি পড়ে তিনি এ ব্যাপারে বক্তব্য দেবেন৷

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোছাইন আনুষ্ঠানিকভাবে পরে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে জানিয়েছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ