চবি-তে অস্ত্র উদ্ধার, ‘মজুদ' ও লুটের পর পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং আইনি জটিলতার কথা ভেবে একবছর আগে উদ্ধার করা অস্ত্র পুনরুদ্ধারে তৎপর তারা৷
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষই ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলিও ছুড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর থেকে দা কিরিচ নিয়ে মারামারিতে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল অনেক রামদা, কিরিচ ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র৷ সেসব ধারালো অস্ত্রের অন্যতম উৎস ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্রাগার।
অস্ত্রাগার লুট করে ১৩০টি রামদা, কিরিচ গত রোববারের (৩১ আগস্ট) সংঘর্ষে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন শিক্ষার্থীরা। চবি কর্তৃপক্ষের দাবি, গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে ১৬০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। এক বছর ধরে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্ত্রাগারে ছিল। উদ্ধার করা সেই দেশীয় অস্ত্রগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন-শৃ্ঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে না দিয়ে এতদিন রাখতে পারে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে এখন।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও আইনজীবী জানিয়েছেন, যে-কোনো মারণাস্ত্র উদ্ধার করা হলে তা থানায় জমা দিতে হয়৷
সংঘর্ষের পর রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ছাত্র সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে অস্ত্রাগার লুটের বিষয়টি উঠে আসে সহকারি প্রক্টর নাজমুল হোসাইনের বক্তব্যে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘(২০২৪ সালের) ৫ আগস্টের পরে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৬০পিস রাম দা কালেক্ট করি। এই অস্ত্রাগার লুট করার জন্য ৬টি তালা ভাঙা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। উনারা ছাত্রদের পায়ে পড়েছেন। প্রোভিসি এডমিন স্যার শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছেন, তোমরা প্লিজ এটা করবা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটা ভালো দেখাবে না। অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু সেটা আমরা কিছু করতে পারিনি। প্রায় ১৩০ পিস রামদা আমাদের অস্ত্রাগার থেকে লুট হয়েছে। সেটার জন্য আমাদের সকল ছাত্র সংগঠনের সহযোগিতা চাই। এবং সেটা কখনো হয়ত আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য বুমেরাং হয়ে যেতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি।''
সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল বলেও দাবি করেন নাজমুল হোসেইন। ওই সভায় জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন, সেনা বাহিনীর প্রতিনিধি ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে জোবরা গ্রামের ভাড়া বাসায় প্রবেশের সময় একজন ছাত্রীর সঙ্গে বাসার নিরাপত্তা প্রহরীর বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ছাত্রীকে দারোয়ান মারধর করেছেন - এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শনিবার রাত তিনটা পর্যন্ত জলে সংঘর্ষ। ওই দিন ৩০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর রোববার সকাল থেকে সমঝোতার চেষ্টা চলে। কিন্তু বেলা ১২টার দিকে দু'পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক ছাত্র ও শিক্ষক আহত হয়। ৩০ থেকে ৪০ জন গ্রামবাসী এবং সাংবাদিকও আহত হয় তখন। ৩১ আগস্ট বিকেল থেকে জোবরা গ্রামে ব্যাপক লুটপাট এবং ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। এমনকি তাদের ঘর থেকে গরুও নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অবশেষে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অস্ত্র পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লুট করা অস্ত্রগুলো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই অস্ত্রগুলো উদ্ধারে মঙ্গলবার প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, তবে সেখানে অস্ত্রগুলো ‘চুরি' গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে জব্দকৃত দেশীয় অস্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরে সংরক্ষিত ছিল, যা ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে পাশ্ববর্তী জোবরা গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা দপ্তর থেকে চুরি হয়। চুরিকৃত দেশীয় অস্ত্রগুলো যাদের কাছে আছে, তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিরাপত্তা দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
অস্ত্রগার লুটের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান আব্দুর রহিম।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মাহমুদ কাউসার হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করবে। তারা ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।”
এছাড়া রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং এক হাজার জনকে ‘অজ্ঞাতনামা' আসামি করে হাটহাজারী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে একটি মামলাও করেছেন নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান আবদুর রহিম। ওই মামলায় বুধবার রাত পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওসি আবু মাহমুদ কাউসার হোসেন জানিয়েছেন।
এদিকে ২০২৪ সালের জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সময় সারা দেশে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ির ৫ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৮ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ৩৬৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রাম নগরে ৮৭৩টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছিল। তার মধ্যে ১৯৫টি অস্ত্রের হদিস এখনো মেলেনি।
সবশেষ, ১০ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সচিবালয়ে আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তার পরে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে তথ্য দিলে পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানান। এরপর গত ২৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে তথ্য পেতে পুরস্কার ঘোষণা করে সরকার। সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলেনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান,
লাইট মেশিনগান (এলএমজি) উদ্ধারের বিষয়ে তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা, একটি সাব-মেশিনগান (এসএমজি) উদ্ধারে তথ্য দিলে দেড় লাখ টাকা, চায়নিজ রাইফেলের জন্য ১ লাখ টাকা, পিস্তল বা শটগানের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতিটি গুলির জন্য ৫০০ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে৷
জব্দ করা অস্ত্র রেখে বেকায়দায় চবি
গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। প্রায় এক বছর ধরে এগুলো গুদামে পড়ে থাকে। সহকারি প্রক্টর অধ্যাপক নাজমুল হোসাইন তার বক্তব্যে বলেছেন, ৩১ আগস্ট ৬টা তালা ভেঙে ছাত্ররা অস্ত্রগুলো লুট করে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে তারা মারধরও করেন। এসব অস্ত্র এখন নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন নাজমুল হোসাইন।
ছাত্রদের রক্ষায় সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দিক থেকে ২০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাছে বৈধ অস্ত্র রয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডির নির্দেশে তাদের গুলি করার এখতিয়ার রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ দাবি করেছে।
তবে এতদিন ধরে জব্দকৃত ১৬০টি দেশীয় অস্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে দেওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করছেন পুলিশ ও আইনজ্ঞরা। নিয়মানুযায়ী অস্ত্রগুলো থানায় জমা দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আজিজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবো, এই জমা রাখা অস্ত্রগুলো যাতে দ্রুত আইনানুগ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করে। এটা থানায় জমাদান হতে পারে বা অন্য কোনো আইনগত প্রক্রিয়ায় যা করণীয় তা করা যায়। অস্ত্র উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ না চাইলে ক্যাম্পাসে অভিযান চালানো যায় না।”
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক আখতার কবীর চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, "যেসব অস্ত্রে মানুষের জীবন ও সম্পদহানির আশঙ্কা থাকে, তা সেনাবাহিনী বা পুলিশের হাতে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সদস্যদের নিজেদের জন্য আইনে বরাদ্দকৃত অস্ত্রের বাইরে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হতে পারে- এমন অন্য কোনো অস্ত্র রাখার সুযোগ নেই। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষের মারাত্মক গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতা। অস্ত্র থাকলেই মানুষ রেগে গেলে, সেটা ব্যবহার করতে চাইতে পারে। ওইদিন দু'পক্ষে অস্ত্র কম ব্যবহার হলে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কম হতো।''
তিনি আরো বলেন, "দা, ছুরি কিরিচের আকার নির্ধারণ করা আছে অস্ত্র আইনে। নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ঘরের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার চেয়ে বড় আকারেরগুলো অস্ত্র আইনের অধীনে। তাই অস্ত্রগুলো নিষ্পত্তি না করে অন্যায় কাজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্ত দপ্তরের প্রধান আবদুর রহিম ও প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ কথা বলতে রাজি হননি।
অস্ত্রগুলো উদ্ধারের পর এভেবে এতদিন রাখা যায় কিনা - জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "জুলাই বিপ্লবের পরবর্তীতে হলে ছাত্র ওঠানোর জন্য দেশীয় দা, ছুরি, রামদা, কিরিচ উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। আমাদের নিরাপত্তা সদস্যদের অস্ত্র যেখানে রাখা হয়, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সেখানে রাখা হয়েছিল। রাখার পর একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমা দিতে হয়। প্রক্রিয়াটা করা যায়নি।”
এদিকে, গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষে ছাত্রদের সুরক্ষা দিতে না পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে। তাদের বিভিন্ন দাবির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পৃথক থানা প্রতিষ্ঠা, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং শতভাগ আবাসন নিশ্চিতের দাবি অন্যতম।
অন্যদিকে জোবরা সমাজ সংস্কার উন্নয়ন পরিষদ এলাকাবাসীর পক্ষে সাতদফা দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চভাবে নিশ্চিত করা। এ ছাড়া সংঘর্ষে যাদের দোকানপাট ও ঘর-বাড়িতে হামলা হয়েছে বা গরু নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিও জানিয়ছেন তারা।