1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চতুর্থবার চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল

১৪ মার্চ ২০১৮

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বুধবার চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিয়েছেন৷ এর আগে তাঁকে চ্যান্সেলর নির্বাচিত করেন সাংসদরা৷

চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: Getty Images/AFP/O. Andersen

নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রায় ছয় মাস পর চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিলেন ম্যার্কেল৷ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷

বুধবার সকালে জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩৬৪-৩১৫ ভোটে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন ম্যার্কেল৷ নয়জন সাংসদ ভোটদানে বিরত ছিলেন৷ নির্বাচনে ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না৷ ভোটাভুটির সময় প্রথমবারের মতো ম্যার্কেলের স্বামী ইওয়াখিম সাওয়ার উপস্থিত ছিলেন৷ ছিলেন ম্যার্কেলের মা হেরলিন্ড কাজনারও৷

সংসদে ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল, সিডিইউ, বাভারিয়া রাজ্যে তাদের অংশীদার দল সিএসইউ এবং সরকার গঠনে জোটসঙ্গী দল সামাজিক গণতন্ত্রী, এসপিডি দলের মোট আসন সংখ্যা ৩৯৯৷

স্থানীয় সময় দুপুর বারোটায় প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের কার্যালয়ে চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেন ম্যার্কেল৷ আজই দিনের শেষে মন্ত্রীদের শপথ নেয়ার কথা রয়েছে৷ সরকার গঠন শেষে শুক্রবার প্যারিস সফরে যাবেন ম্যার্কেল৷ সেখানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্কার নিয়ে কথা বলবেন তিনি৷

নির্বাচনের পর ম্যার্কেল নতুন সরকার গঠনে সমস্যায় পড়েছিলেন৷ কারণ, শুরুতে এসপিডি ম্যার্কেলের দলের সঙ্গে সরকার গঠন করতে চায়নি৷ তাই সবুজ দল ও মুক্ত গণতন্ত্রী দল, এফডিপির শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তাতে সফল হননি৷ পরে জার্মান প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে এসপিডি ও ম্যার্কেলের সিডিইউ দল জোট গঠনে আলোচনা শুরু করে এবং সফল হয়৷ ফলে এখন সরকার গঠন সম্ভব হচ্ছে৷

২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়েছিলেন ম্যার্কেল৷ ২০১৫ সালে নেয়া উদার শরণার্থী নীতির কারণে দেশের ভেতরে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি৷ সবশেষ নির্বাচনেও তার প্রভাব দেখা গেছে৷ শরণার্থী ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে জার্মানির জন্য বিকল্প দল, এএফডি নির্বাচনে ভালো ফল করেছে৷ ফলে সিডিইউ ও এসপিডি উভয় দলেরই রেকর্ড পরিমাণ ভোট কমেছে৷

হারিয়ে যাওয়া ভোটারদের ফিরে পেতে সচেষ্ট দুই দল৷ জোট আলোচনাতে সেই বিষয়গুলোতে জোর দেয়া হয়েছে৷ দুই বছর পর জোট সরকারের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে৷ কোনো পক্ষ সন্তুষ্ট না হলে জোট থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে৷

ফলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেল এবার আগের মেয়াদের তুলনায় হয়ত কিছুটা দূর্বল অবস্থায় থাকবেন৷ ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের জার্মান রাজনীতির বিশ্লেষক ইয়োসেফ ইয়ানিং মনে করছেন, ম্যার্কেল যদি এবার তাঁর পুরো মেয়াদ জোট ধরে রাখতে পারেন এবং পরবর্তী নির্বাচনে সিডিইউকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন, এমন কাউকে গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে মেয়াদ শেষে ম্যার্কেলকে সফল বলে রায় দেয়া যেতে পারে৷

এদিকে, নতুন সরকারের জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলি গত মহাজোট সরকারের আমলেই দানা বাঁধছিল৷ জার্মানির একাধিক শহরে মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের কারণে ডিজেল গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে৷ গাড়ি শিল্পের ক্ষতি না করে কোম্পানিগুলির অসৎ আচরণের জন্য শাস্তির দাবি বাড়ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ