চমক দেখাতে পারে আলজিরিয়া
১ জুন ২০১০শেষবারের মত আলজিরিয়াকে বিশ্বকাপের আসরে দেখা গিয়েছিল ১৯৮৬ সালে৷ যদিও লে ফেনেক বা ডেজার্ট ফক্স অর্থাৎ আলজিরিয়া ১৯৯০ সালে আফ্রিকান কাপ জিতেছে তারপরেও ২০১০ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত আসতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে আলজিরিয়াকে৷
এই মুহূর্তে আলজিরিয়ার খেলোয়াড়দের মধ্যে কাজ করছে চরম উত্তেজনা৷ নিজেদের মধ্যে হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে খেলোয়াড়রা৷ খেলোয়াড়দের বিশ্বাস দক্ষিণ আফ্রিকায় বেশ কিছু চমক দেখাতে সক্ষম হবে তারা৷
খার্তুমে গত নভেম্বরে বাছাই পর্বে মিশরের বিরুদ্ধে খেলছিল আলজিরিয়া৷ নিজ দেশে ৬টি খেলাতেই তারা জিতেছিল৷ এভাবেই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বাছাই পর্বে সহজেই টিঁকে গিয়েছিল ডেজার্ট ফক্স৷ তবে দেশের বাইরে তিনটি ম্যাচের মধ্যে দু'টিতে ড্র এবং একটিতে বিজয়ের মুখ দেখেছিল আলজিরিয়া৷
গাম্বিয়া, সেনেগাল এবং লাইবিরিয়াকে প্রথম কোয়ালিফাইং রাউন্ডে হারিয়েছিল আলজিরিয়া, দ্বিতীয় রাউন্ডে ফারাওরা হার মেনেছিল আর তৃতীয় রাউন্ডে গাম্বিয়ার চেয়ে আট পয়েন্ট বেশি এবং রুয়ান্ডার চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেশি পেয়ে এগিয়ে ছিল ডেজার্ট ফক্স৷
দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড়
আন্তার ইয়াহিয়াকে ধরা হচ্ছে দলের মেরুদণ্ড হিসেবে৷ এরপর রয়েছে মাজিদ বুঘেরা, নাদির বেলহাজ্ব এবং গোলকিপার লুন গাওয়াউয়ি৷ তবে ব্যাক-আপ গোলরক্ষক ফাওজি কাওচি গ্লাভ্স পরে তৈরী হয়ে আছেন – শুধু ডাকের অপেক্ষা৷
মধ্যমাঠে আলজিরিয়া তুখোড়৷ দলনায়ক ইয়াজিদ মানসুরির পায়ে বল গেলে আশে পাশে দরকার শুধু করিম জিয়ানি এবং মুরাদ মেঘনিকে – এরাই নাকি ত্রাস! প্রতিপক্ষের ভয় বেড়ে যেতে পারে যদি এদের সঙ্গে থাকে স্ট্রাইকার করিম মাতমুর৷ আলজিরিয়ার কোচ রাবাহ সাদান দল সম্পর্কে অত্যন্ত আশাবাদী৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী