জার্মান সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বাহিনীর বিদায় অনুষ্ঠানে চরম ডানপন্থি কর্মকাণ্ড নিয়ে তুলকালাম চলছে জার্মানিতে৷ এরই মধ্যে ট্যুবিঙেন শহরের এ ঘটনার পূর্ণ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ রাজ্য কর্তৃপক্ষ৷
বিজ্ঞাপন
রাজ্য অ্যাটর্নির কার্যালয়ের এক মুখপাত্র ডয়চে ভেলেকে নিশ্চিত করেছেন, জার্মান সেনাদের অভিজাত বাহিনী – স্পেশাল ফোর্স কমান্ডো বা কেএসকের বিরুদ্ধে চরম ডানপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগের তদন্ত করছেন তাঁরা৷
‘‘আমরা ঘটনাটা জানার চেষ্টা করছি,’’ ফোনে ডয়চে ভেলেকে জানান নিকোলাউস ভেগেলে৷ তিনি বলেন, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেই কালভ শহরটি স্টুটগার্টের পাশে অবস্থিত, ফলে এই তদন্তভার শেষ পর্যন্ত স্টুটগার্ট অ্যাটোর্নির দপ্তরে স্থানান্তর হতে পারে৷ ট্যুবিঙেন শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত স্টুটগার্ট৷
হিটলারের স্যালুট এবং শূকরের মাথা
জার্মান রেডিও স্টেশন রেডিও ব্রেমেনের অনুসন্ধানে জানা গেছে ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল এই বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়৷ পার্টিতে উপস্থিত এনডিআর, জেডডিএফ-এআরডি এবং কেএসকে সেনাদের অনেকেই চরমপন্থি আচরণ করেন৷
জার্মান সেনাবাহিনীর যত কেলেঙ্কারি
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, ২০১৭ সাল ভয়ঙ্কর, বিভৎস, ভয়াবহ এবং খারাপ বছর৷ নিজের সেনাবাহিনীকে সমর্থন না করে বরং তাদের কেলেঙ্কারি তুলে ধরে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি৷ জেনে নিন জার্মান সেনাবাহিনীর কেলেঙ্কারির কথা৷
ছবি: picture alliance/akg-images
এক ভুয়া শরণার্থী
সিরীয় শরণার্থী সেজে এক জার্মান সেনা কর্মকর্তা সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল৷ সমান্তরাল এক দ্বিতীয় জীবন শুরু করেছিলেন ফ্রাংকো৷ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সিরীয় শরণার্থী হিসেবে নথিভুক্ত হন তিনি৷ তার লক্ষ্য ছিল শরণার্থীদের উপর হামলার দোষ চাপানো৷ ২০১৪ সাল থেকেই ফ্রাংকো’র ডানপন্থি আচরণের কথা জানতেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা৷ এাই ফ্রাংকো ধরা পড়ার থেকে জার্মান সেনাবাহিনিকে শুরু হয় বিতর্ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
বাড রাইশেনহাল পর্বতে রেঞ্জার ইউনিটে হয়রানি
ডানপন্থি সন্ত্রাসী আচরণের অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য সেনাবাহিনী বর্তমানে ২৭৫ টি মামলার তদন্ত করছে৷ চলতি বছরের মার্চে জনগণ একজন ল্যান্স করপোরালের কথা জানতে পারেন, যিনি কয়েক মাস ধরে বাভেরিয়া পর্বতের রেঞ্জার ইউনিটে হয়রানির শিকার হয়েছেন৷ নির্যাতিত ব্যক্তি জানিয়েছেন, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যৌন নীপিড়ন করা হয়েছে৷ এ ঘটনার জন্য ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
নারীদের পোল ড্যান্সে বাধ্য করা
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবচেয়ে বড় যে কেলেঙ্কারির কথা বলেছেন তাহলো, ফুলেনডর্ফে স্টাওফের সেনাঘাঁটির ভয়াবহ ঘটনা৷ জানুয়ারিতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের নগ্ন করা ও যৌনতা প্রকাশ পায় এমন আচরণ করতে বাধ্য করেছিলেন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সেগুলো ভিডিও করা হয়েছিল৷ সদ্য নিয়োগ পাওয়া নারীদের ‘এনট্র্যান্স পরীক্ষা’র অংশ হিসেবে পোল ড্যান্সে বাধ্য করা হয়েছিল৷ একারণে সেনাবাহিনীর শীর্ষ প্রশিক্ষক কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Warnack
ডানপন্থি সন্ত্রাসবাদের অনেক ঘটনার তদন্ত চলছে
জার্মান সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি কমিশনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সাল জার্মান সেনাবাহিনীর জন্য মোটেই ভালো বছর ছিল না৷ ডানপন্থি সন্ত্রাসবাদ বা ‘জার্মানির মুক্ত গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক চেতনার লঙ্ঘন’ এর মোট ৬০টি অভিযোগের ঘটনা পাওয়া গেছে৷ এমনকি সেনারা নিজেদের নাৎসি চেতনা নিয়ে একে অপরের সাথে আলোচনা করে, নাৎসি সংগীত শোনে ও নাৎসি স্যালুটও দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
জাহাজে মৃত্যু
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে কোনো মাথা ঘামায়নি সেনাবাহিনী৷ ২০১০ সালের একটি ঘটনা জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তা হলো, গর্ক ফক-এ নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের সময় ২৫ বছরের এক সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা৷ প্রশিক্ষণের সময় ঐ নারী জাহাজের পাল থেকে নীচে পড়ে মারা যান৷ ফলে অন্যান্য ক্যাডেটরা পালে উঠতে আর রাজি হননি৷ পরে ঐ প্রশিক্ষণ বাতিল করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Rehder
জার্মান সেনাবাহিনীর জন্ম
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি সেনাবাহিনী রাখার পক্ষে ছিল না৷ পশ্চিম জার্মানিতে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে৷ পুনরেকত্রীকরণের পর পূর্ব জামানির সেনাবাহিনী থেকে ২০ হাজার সদস্য নেয় কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী৷ ১৯৯৯ সালে যখন জার্মান সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক সংঘাতে (কসোভো যুদ্ধ) জড়িয়ে পড়ে, তখন এতে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়৷ এর আগ পর্যন্ত কেবল বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ ছিল৷
ছবি: picture alliance/akg-images
বাধ্যতামূলক সেবা নয়
বর্তমানে জার্মান সেনাবাহিনীতে সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২০০৷ ২০১৭ সালের মার্চের হিসেব অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর মোট সদস্যের ১১.৪ শতাংশ নারী৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত জার্মান সেনাবাহিনীতে পুরুষদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল৷ এই মেয়াদকাল ছিল ৯ থেকে ১৮ মাস৷ বর্তমানে তরুণদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়৷ তবে সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির কারণে এই আবেদনে তাদের সাড়া দেয়াটা সত্যিই কঠিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
7 ছবি1 | 7
তাদের বিরুদ্ধে নাৎসি স্যালুট দেয়া, চরমপন্থি রক গান শোনা এবং শূকর জবাই করার অভিযোগ রয়েছে৷ ইহুদি এবং মুসলিমদের খাবারে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ খাবারের এই বাধ্যবাধকতা ইহুদিদের কাছে কোশার এবং মুসলিমদের কাছে হালাল নামে পরিচিত৷ শূকরের কাটা মাথা চরম ডানপন্থিরা এই বাধ্যবাধকতাকে ব্যঙ্গ করার জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে৷
বুন্দেসভেয়ার অর্থাৎ সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য দেয়ার পর এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ঐ প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তাঁর এক সেনা বন্ধু তাকে এই বিদায় অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করেন৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁকে নিমন্ত্রণ করার মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনা কোম্পানির প্রধানের কাছে তাঁকে একটি ‘উপহার’ হিসেবে তুলে দেয়া৷ এই ঘটনার প্রমাণ হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে আছে বলেও জানিয়েছিন অভিযোগকারিণী৷
অভিজাত এই কেএসকে ফোর্স প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৬ সালে৷ এর মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ এলাকা থেকে জিম্মিদের মুক্ত করা৷ আফগানিস্তান ও বলকান অঞ্চলে বেশকিছু অভিযানে গিয়েছে এই ফোর্সের সেনারা৷ সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের রক্ষার জন্য এই ফোর্সের খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়৷
বুন্দেসভেয়ারের সমালোচনায় বুন্দেসভেয়ার
বুন্দেসভেয়ারও এই বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে৷ জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএকে একজন সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে এখনও কোনকিছু নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি৷ ১৩ জুলাই থেকেই সেনা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা সম্পর্কে জানতো বলেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে৷
যেসব দেশে শান্তি ফেরাচ্ছে জার্মানি
তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি ন্যাটোর সঙ্গে যোগ দেয়ার পর থেকে বার্লিন ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক জোটটিকে নানাভাবে সহায়তা করেছে৷ সেই ১৯৯০ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে শান্তি ফেরাতে কাজ করেছে জার্মান সেনাবাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hanschke
ন্যাটোতে জার্মানির ভূমিকা
তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে ১৯৫৫ সালে৷ তবে ১৯৯০ সাল অবধি নিজেদের কর্মকাণ্ড অত্যন্ত সীমিত রেখেছিল জার্মানি৷ শান্তিরক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে ন্যাটোর হয়ে বিশ্বের কয়েকটি দেশে কাজ করেছে জার্মান সেনাবাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hanschke
বসনিয়া: জার্মানির প্রথম ন্যাটো মিশন
১৯৯৫ সালে বসনিয়া-হ্যারৎসেগোভিনায় প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে জার্মান সেনা মোতায়েন করা হয়৷ অর্থাৎ বসনিয়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সেদেশে শান্তি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জার্মানরাও৷ সেই শান্তিরক্ষা মিশনে ন্যাটোর সদস্য ও সহযোগী দেশগুলোর ৬০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/H. Delic
কসভোতে শান্তিরক্ষা
কসভোতে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন শান্তিরক্ষা মিশনের শুরুতেই সেদেশে সাড়ে আট হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়৷ ১৯৯৯ সালে সংখ্যালঘু আলবেনীয় বিচ্ছিন্নতবাদী এবং তাদের সমর্থকদের ওপর বর্বর দমনপীড়নের দায়ে সার্বিয়ার ওপর বিমান হামলা চালায় ন্যাটো৷ এখনো প্রায় ৫৫০ জন জার্মান সেনা কসভোতে অবস্থান করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V.Xhemaj
এজিয়ান সাগরে টহল
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সমর্থিত ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে এজিয়ান সাগরে মোতায়েন করা হয় জার্মান যুদ্ধজাহাজ ‘বন’৷ অভিবাসী সংকট যখন চরমে, তখন অন্যান্য কাজের মধ্যে এই মিশনের অন্যতম কাজ ছিল গ্রিস এবং তুরস্কের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ওপর নজর রাখা৷ জার্মানি, গ্রিস এবং তুরস্ক এ কাজে ন্যাটোর সহায়তা চেয়েছিল৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/M.Schreiber
লিথুয়ানিয়ায় জার্মান ট্যাংক
বাল্টিক দেশগুলোতে ন্যাটোর মিশনের অংশ হিসেবে লিথুয়ানিয়ায় চলতি বছর ৪৫০ জন জার্মান সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷ অবস্থান করছে জার্মান ট্যাংকও৷ তবে জার্মানি ছাড়া ক্যানাডা, ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাও রয়েছে সে অঞ্চলে৷ ‘বর্ধিত সামরিক মহড়া’-র অংশ হিসেবে প্রায় এক দশক যাবৎ ন্যাটো বাহিনী সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ লিথুয়ানিয়ায় অবস্থান করছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/M. Kul
এক দশকের বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে
আফগানিস্তানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আইসাফ বাহিনীতে জার্মানি যোগ দেয় ২০০৩ সালে৷ সংখ্যার বিচারে দেশটিতে মোতায়েন বিদেশি সেনাদের মধ্যে জার্মানির অবস্থান তৃতীয়৷ আফগান মিশনে এখন পর্যন্ত ৫০ জন জার্মান সেনা নিহত হয়েছে৷ ২০১৫ সালে জার্মান সেনাদের মিশন শেষ হওয়া ও দায়িত্ব হস্তান্তরের পরও সহস্রাধিক জার্মান সেনা অবস্থান করছেন আফগানিস্তানে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/A.Niedringhaus
6 ছবি1 | 6
বৃহস্পতিবার মিলিটারি কমিশনার হান্স-পেটার বার্টেলস প্রশ্ন তুলেছেন, প্রত্যক্ষদর্শী স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা না করে, কেন এই ঘটনা আগেই তদন্ত কর্মকর্তাদের জানানো হলো না৷ ‘‘নাৎসি স্যালুট দেয়াটা পছন্দ-অপছন্দের বিষয় না৷ জার্মান গণতন্ত্র অবজ্ঞা করে, এমন গান শোনাটা কারও পছন্দ-অপছন্দের বিষয় না৷’’ এ ঘটনার কোনো তথ্য থাকলে সেনা সদস্যদের তা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বার্টেলস৷ তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্র রক্ষা করা সেনা সদস্যদের কাজ, গণতন্ত্র অবজ্ঞা করা নয়৷’’
জার্মান সেনাবাহিনীর কলঙ্ক
কালভের চরম ডানপন্থি ঘটনা বেশ কয়েকমাস ধরে জার্মান সেনাবাহিনীতে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷
এ বছরের এপ্রিলে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফ্রাঙ্কো এ নামের এক সেনা লেফট্যানেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পরে জানা যায়, ফ্রাঙ্কোর চরমপন্থি কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ২০১৪ সাল থেকেই জানতো সেনা কর্তৃপক্ষ৷ এই ঘটনাতেও সমালোচনায় পড়তে হয় বুন্দেসভেয়ার কর্তৃপক্ষকে৷
এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগেই তদন্ত কর্মকর্তারা ডোনাউয়েশিঙেন ব্যারাক থেকে নাৎসি বাহিনীর কিছু স্মারক উদ্ধার করেন৷ এর মধ্যে হিটলারের সেনাবাহিনী – ভেয়ারমাখটের হেলমেটও ছিল৷ বুন্দেসভেয়ার প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৫৫ সালে৷ একসময় হিটলারের ভেয়ারমাখটে কর্মরত অনেক সেনাই পরবর্তীতে যোগ দেন বুন্দেসভেয়ারে৷