1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চরম অবস্ট্যাকল রেস

এমিলি শেরউইন/এসি৮ জুলাই ২০১৫

জার্মানির তরুণ প্রজন্ম এখন আধুনিক জীবনযাত্রায় কিছুটা ‘বোরড'৷ তাতে নাকি কোনো রোমাঞ্চ নেই৷ তাই তারা অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে এখন মাঠেঘাটে, জলকাদা মেখে অবস্ট্যাকল রেসে নামেন৷ কিন্তু এর মজাটা কোথায়?

emx_150430_Extrem-Hindernislauf.jpg
ছবি: DW

ঘোড়াদের মতোই মানুষের ‘পার্কুর' বা ‘শো-জাম্পিং'৷ এখানে চিন্তা করার কোনো সময় নেই! নিয়ম হলো: চোখ বুজে ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দাও৷ জার্মানিতেও এ ধরনের চরম অবস্ট্যাকল রেস এখন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ রাইন-মাইন উপত্যকার এক্সলেটিক্স চ্যালেঞ্জ রেসটিতে এবার প্রায় ৩,৮০০ অপেশাদার দৌড়বীর অংশগ্রহণ করেছেন৷ তাদের মধ্যে মারবুর্গ থেকে আগত একটি দল, যারা নিজেদের নাম রেখেছেন ‘লান অ্যাথলিটস'৷ এদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবার এই ‘চ্যালেঞ্জে' এসেছেন৷ এই ‘লান নদীর অ্যাথলিটদের' বক্তব্য হলো, ‘‘এটা আসলে গোটা দলের ব্যাপার, গোটা দলটা এসেছে মজা করতে৷ কোনো টাইমিং করা হচ্ছে না৷'' আরেকজন বললেন, ‘‘আমি এখানে আসতে চেয়েছিলাম কেননা এখানে আসাটা বাকেট লিস্ট-এর মধ্যে পড়ে, অর্থাৎ সকলেরই যা অন্তত একবার করে দেখা উচিত৷'' আরেক জনের মতে, ‘‘যে কোনো ভাবে ফিনিশ তো করতেই হবে৷ দলের সঙ্গেও প্রচুর মজা হবে৷ হ্যাঁ, সেটাই বোধহয় আমার এখানে আসার প্রধান কারণ৷''

জলকাদা মাখার মধ্যেও বোধহয় একটা আনন্দ আছে...ছবি: picture-alliance/dpa

‘লান অ্যাথলিট'-দের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো: সকলে মিলে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছানো৷ দলের প্রায় সকলেই আজ পাহাড়ের ঢালে আঙুরখেতের দৌড়ে যোগদান করেছেন৷

দম ফুরোলে কিংবা চোট লাগলেও: ‘দারুণ!'

জার্মানিতে আজকাল অবস্ট্যাকল রেসের খুব চল৷ এ বছর ৭০টির বেশি এ ধরনের ‘পার্কুর'-এর আয়োজন করা হচ্ছে৷ তার মধ্যে সাতটির উদ্যোক্তা এই এক্সলেটিক্স৷ তবে অবস্ট্যাকল বা প্রতিবন্ধকগুলো সকলের পক্ষে সহজ নয়৷

১৩ কিলোমিটার পথ জুড়ে ২৫টি অবস্ট্যাকল বা প্রতিবন্ধক – দম ফুরোনোরই কথা! ক্রীড়া মনোবিদ প্রফেসর টোমাস টয়বেল মনে করেন, অবস্ট্যাকল রেসের প্রবণতার কারণ হল আধুনিক জীবনযাত্রার নিশ্চিন্ত ও নির্ঝঞ্ঝাট প্রবাহ৷ তিনি বলেন, ‘‘এভাবে আমরা সম্ভবত নিজেদের সম্পর্কে আবার সচেতন হয়ে উঠতে চাই, অনুভব করতে চাই৷ আমরা কিছু একটা অভিজ্ঞতা করতে চাই, যার ফলে আমরা নিজেদের সীমা বুঝতে পারব, কেননা আমাদের সভ্য সমাজে তার খুব বেশি একটা সুযোগ থাকে না৷ কাজেই আমরা এই সব চরম খেলাধুলার খোঁজে থাকি৷''

অবস্ট্যাকল রেসে অংশগ্রহণকারীদের যে সব বাধা পার হতে হবে, সেগুলো কিন্তু এসেছে মিলিটারি ড্রিল থেকে৷ যদি কেউ কোনো বাধা পার না হতে পারে, তবে তাকে ডনবৈঠক দিতে হয় – যাকে বলে কিনা ‘বার্পি'!

দেখাতে হবে, আপনি কতোটাফ'

‘টাফ গাই' নামের দৌড়টি হচ্ছে এ ধরনের অবস্ট্যাকল রেসগুলোর জনক৷ তারও শুরু সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে৷ স্রষ্টা ছিলেন এক সাবেক মার্কিন সৈনিক৷ ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডে জলকাদার মধ্যে প্রথম দৌড় অনুষ্ঠিত হয় – তখন গভীর শীত! আজও তাই আছে৷

২০১০ সাল যাবৎ ‘টাফ মাডার' নামধারী দৌড়গুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ইতিমধ্যে এই দৌড় নাকি ম্যারাথন দৌড়ের চাইতেও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ টাফ মাডারে সারা বিশ্বে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন৷ এ ধরনের দৌড়ে ইলেকট্রিক শক দিলেও নাকি কোনো আপত্তি নেই!

ক্রীড়া মনোবিদ প্রফেসর টয়বেল বলেন, ‘‘ব্যথা পাওয়ার মধ্যেও একটা মজা আছে, সেটা বলতেই হবে৷ মিশ্রিত, পরস্পরবিরোধী একটা অনুভূতি৷ সেই সীমানাটা পার হওয়া মধ্যে একটা সুখের – এবং গর্বের অনুভূতি আছে, যা আমরা পেতে চাই৷''

এক্সলেটিক্স চ্যালেঞ্জের এই অবস্ট্যাকলগুলোতে ব্যথার চেয়ে টিমওয়ার্কের গুরুত্বই বেশি৷ লক্ষ্য সাধন করতে পেরে ‘লান অ্যাথলিটরা' যে বেশ গর্বিত, সেটা তাদের দেখলেই বোঝা যায়৷ এক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘‘দল ছাড়া ওটা আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না, সেটা আমি বলতে বাধ্য৷ সেটাই আসল মজা৷ এখানে সবাই সবাইকে সাহায্য করে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ