১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে সারাহ বেগম কবরী অভিনয় শুরু৷ চট্টগ্রামের মেয়ে মিনা চলচ্চিত্রের লাল-নীল জগতে পা দিয়েই নতুন নাম পান ‘কবরী’৷ অভিনয় শৈলী দিয়ে ‘মিষ্টি মেয়ে’ হয়ে ওঠা এই অভিনেত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎকার৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে: আপনি তো ৫ দশকের বেশি সময় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন৷ অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করেছেন৷ শুরুটা কেমন ছিল? কী কী ধরণের বাধা ছিল? কিভাবে মোকাবেলা করতেন?
কবরী: যখন কাজ শুরু করি, তখন আমার বয়স ১৩ বছর৷ ক্লাস সিক্সে পড়ি৷ সুভাষ দত্ত একটা কিশোরীর ভূমিকার জন্য খুঁজে আমাকে পেয়ে যান৷
সাংস্কৃতিক পরিবারে মানুষ হয়েছি৷ আমার মা পুঁথি পড়তেন, ভাই-বোনেরা নাচতেন-গাইতেন, ছোট ভাই তবলা বাজাতেন৷ আমি নাচ করতাম৷ তবে আগে অভিনয় করিনি৷
যখন আমি অফার পেলাম, তখন বাবা খুবই উৎসাহিত হলেন৷ মা দিতে চাননি৷ উনি বললেন, এর পড়াশোনা নষ্ট হয়ে যাবে৷ পরিবার একটু রক্ষণশীল তো ছিলই৷
আমার মায়ের ছোটবেলায় বিয়ে হয়ে যায়৷ তিনি অনেক দূর পড়াশোনা করতে পারেননি৷ তাই তার খুব শখ ছিল, মেয়েকে পড়াবেন৷
Interview Kabari - MP3-Stereo
সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী কিভাবে তৈরি হয়? কলাকুশলীদের প্রশিক্ষণের বিষয়টা কেমন আছে?
আমাদের এখানে যে পরিচালকরা ছিলেন, তারা যথেষ্ট শিক্ষিত মানুষ ছিলেন৷ এখন ভারতে স্কুল হয়েছে, বাইরে স্কুল আছে৷ আমাদের দেশে যতক্ষণ পর্যন্ত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বাইরে থেকে তারা শিক্ষাটা নিয়ে আসতে পারে৷
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মন্ত্রণালয়গুলো সেসব বিষয়ে সোচ্চার না৷ আমাদের শিল্পের উন্নতি করতে হলে, যেসব সাপোর্টিং দরকার, সেসব বিষয় এখানে অনুপস্থিত৷
আমি সুভাষ দত্ত, ফজলে লোহানী, খান আতা, জহির রায়হান থেকে শিখেছি৷ এখন তো সে রকম শিক্ষকও নেই৷
অভিনয়ের জন্য তখন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল না, এখনো নাই৷ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অবকাঠামো তৈরি করা দরকার ছিল কি-না?
অবশ্যই দরকার ছিল৷ এখন অবশ্য কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ক্রিপ্টিং, অভিনয় করায়৷ কিন্তু আমার মনে হয় না, (তাতে) কিছু হয়৷ এখানে পর্যাপ্ত উপকরণ নাই৷ সে ধরণের সরকারি সহযোগিতাও পাচ্ছে না৷ কিংবা যারা জানে, তাদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে না৷
ভারতীয় চলচ্চিত্র যদি দেখি, তারা কি সব ছবি ভালো বানায়? না৷ তারা এখন শিল্প হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে৷ অথচ আমাদের এফডিসি'কেও বলা হতো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি৷ কিন্তু এখানে ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নাই৷ সরকারিভাবে যে অনুদান দেয়, সেটা মন্ত্রী তার পছন্দমতো লোককে দিয়ে দেয়৷ সেই ছবি মানুষ দেখতেও পায় না৷ কোথায় কোন হলে চলে, সেটা মানুষ জানতেও পারে না৷ বণ্টনটা পকেটস্থ করার একটা ধ্যান-ধারণা হয়ে গেছে৷ এখানে যে উন্নয়ন দরকার, সেটা মন্ত্রী হয় বুঝতে পারেন না বা তার ইচ্ছা নাই৷ আমরা যারা আছি, আমরা অনেকবার বলেছি, আপনি বসেন আমাদের সাথে৷ তাহলে একটা রাস্তা বেরুবে৷
একটা অনুদান দিতো, প্রথমে ১৫ লাখ টাকা, এখন ৫০ লাখ৷ এই টাকা কাকে দিচ্ছে, কোনো মনিটরিং নাই৷ কারণ, ওনারা এই সিস্টেম জানেন না৷ এফডিসিতে অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের একজনকে বসানো হয়, এই ভদ্রলোক কোথা থেকে আসছেন?
এখানে উচ্চ পর্যায়ের কোনো কমিটি নাই৷ অ্যাসোসিয়েশন আছে৷ কিন্তু তিনি তাদের সাথে বসেন না৷ কোনো আলাপ-আলোচনাই হয় নাই৷ কারণ, ওনারা এই লাইনেরই লোক না৷ আমি খুব নিরাশ৷
এমনিতে আমি আশাবাদী, আমি স্বপ্ন দেখি, কিন্তু স্বপ্ন দেখতে দেখতে তো দিন চলে যাবে৷ আমার জন্য তো সময় বসে থাকবে না৷ আমি যদি স্বপ্ন দেখতে থাকি, বাস্তবতায় রূপ না দেই, তাহলে তো কিছুই হবে না৷
বাংলা চলচ্চিত্রের এ কী দশা
চলছে বাংলা চলচ্চিত্রের চরম দুঃসময়৷ মানসম্পন্ন সিনেমার অভাবে দর্শকরা যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দেশীয় চলচ্চিত্র থেকে৷ দর্শকের অভাবে বহু সিনেমা হল বন্ধ৷ আর যেগুলো টিকে আছে সেগুলোও চলছে ধুকে ধুকে৷ ছবিঘরে থাকছে সেই গল্পই৷
ছবি: Getty Images
এখনো আছে মধুমিতা
ঢাকার প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরনো সিনেমা হল ‘মধুমিতা’ টিকে আছে এখনো৷ প্রায় ৬০ বছর আগে ‘মুখ ও মুখোশ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের পথচলা শুরু হয়েছিল৷ মাঝে অনেকটা সোনালি সময় পার করেছে এই চলচ্চিত্র৷ কিন্তু পাঁচ যুগ পরে এসে এখন তা অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
চলচ্চিত্র প্রদর্শনে বিপর্যয়
১৯৯৯ সাল থেকে এ দেশে ব্যাপক হারে অশ্লীলতানির্ভর নিম্নমানের ছবি নির্মাণ শুরু হয়৷ সাধারণ দর্শক তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেরকম ছবি দেখার কথা ভাবতেই পারেনি৷ এছাড়া সিনেমা হলে মৌলবাদীদের হামলার ঘটনাও চলচ্চিত্র প্রদর্শনে বিপর্যয়ের আরেক কারণ৷
ছবি: Getty Images
এক হলে ১৩ জন দর্শক!
হাটখোলা এলাকায় ঢাকার আরেকটি পুরনো সিনেমা হল ‘অভিসার’৷ এ ছবি তোলার সময় সেখানে প্রদর্শনী চলছিল প্রায় এক হাজার আসনের এ সিনেমা হলে এ প্রদর্শনীতে সর্বমোট দর্শক সংখ্যা ছিলেন মাত্র ১৩ জন৷
ছবি: DW/M. Mamun
দুরবস্থার কারণ
২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকার অভিসার সিনেমা হল পরিচালনায় যুক্ত কবির হোসেন৷ চলচ্চিত্রের এ দুর্দশার জন্য তিনি সিনেমার মান আর বিভিন্ন সহজলভ্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনকেই দায়ী করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভালো ছবির কদর
ঢাকার আরেকটি সিনেমা হলের পরিচালক মতিন মিয়া৷ ঢাকার ‘গীত সঙ্গীত’ সিনেমা হল পরিচালনা করছেন তিনি গত প্রায় আঠারো বছর ধরে৷ তাঁর মতে ভালো নির্মাতা, নায়ক-নায়িকার অভাবই চলচ্চিত্রের দুর্দশার মূল কারণ৷ কেননা, এখনো দু-একটি ভালো সিনেমা এলে হল ভর্তি দর্শক দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ব্যবসা কোথায়?
ছবিটি ঢাকার ‘গীত’ সিনেমা হলের৷ প্রায় দর্শকশূন্য হল৷ প্রায় ১১০০ আসনের এ হলে সেদিন দর্শক ছিল মাত্র ৩৪ জন৷ হলমালিকরা এ পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই হতাশা প্রকাশ করেন৷ তাঁদের প্রশ্ন – এমন চলতে থাকলে ব্যবসা চালানো কিভাবে সম্ভব?
ছবি: DW/M. Mamun
দুর্দশার আরেকটি চিত্র
ঢাকার আরেক সিনেমা হল ‘সঙ্গীত’-এরও একই অবস্থা৷ এ হলেও প্রায় সব আসন ফাঁকা রেখে শো চালানো প্রায় নিয়মিত ঘটনা৷
ছবি: DW/M. Mamun
বন্ধ হলো ‘গীত’ ও ‘সঙ্গীত’
ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকায় ‘গীত’ ও ‘সঙ্গীত’ সিনেমা হল৷ গত প্রায় দশ বছর ধরে ধুকে ধুকে চলার পর এ বছর রোজার আগেই বন্ধ করা হচ্ছে হল দুটি৷ এক সময় সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল এক হাজার ২০০ টি৷ বন্ধ হতে হতে এখন সারা দেশে সিনেমা হল টিকে আছে ২০০টির মতো৷
ছবি: DW/M. Mamun
সিনেমা হলের জায়গায় মার্কেট কমপ্লেক্স
বাংলাদেশে সিনেমা হল বন্ধের হিড়িক শুরু হয় মূলত ২০০১ সাল থেকে৷ ঢাকার ‘গুলিস্তান’ ও ‘নাজ’ সিনেমা হল ভেঙে নির্মাণ করা হয় মার্কেট কমপ্লেক্স৷ একইভাবে পুরনো ঢাকার ‘মুন’ ও ‘স্টার’ সিনেমা হল ভেঙেও করা হয়েছে বিশাল মার্কেট৷ এভাবে পুরনো ঢাকার ‘শাবিস্তান’, পোস্তগোলার ‘পদ্মা’, ‘মেঘনা’, ‘যমুনা’ ইত্যাদি সিনেমা হলও একে একে বন্ধ হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
হল ভেঙে নতুন হল
ঢাকার ‘শ্যামলী’ সিনেমা হল ভেঙে মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও সেখানে আধুনিক একটি সিনেমা হল রাখা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
দর্শক অশ্লীলতাবিমুখ
ঢাকার মিরপুরের ‘সনি’ সিনেমা হলে ৩২ বছর ধরে কাজ করছেন সামাদ মিয়া৷ তাঁর হলে একসময় অনেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখতে আসতেন৷ কিন্তু এখন আর সে দৃশ্য তিনি দেখেন না৷ সেজন্য সিনেমার অশ্লীলতাকে দায়ী করেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
টিকে থাকার কৌশল
ঢাকায় যে ক’টি হল টিকে আছে, তার মধ্যে মিরপুরের ‘সনি’ সিনেমা হল একটি৷ দীর্ঘ দিন লোকসান দিয়ে হলটি টিকিয়ে রেখেছেন এক সময়ের চলচ্চিত্র পরিচালক মোহামম্দ হোসেন৷ এই কমপ্লেক্সে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকায় লোকসান দিয়েও চালানো সম্ভব হচ্ছে হলটির কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঢাকায় হল কমে প্রায় অর্ধেক
ঢাকার দারুসসালাম এলাকায় আরেকটি পুরনো সিনেমা হল ‘এশিয়া’৷ গাবতলী বাস স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় এ সিনেমা হলটির দর্শক ঢাকার অন্যান্য হলের তুলনায় কিছুটা বেশি৷ আশির দশকে ঢাকা শহরে ছিল ৪৪টি সিনেমা হল৷ বর্তমানে কমতে কমতে সংখ্যাটি পঁচিশেরও নীচে নেমে এসেছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাধারণ দর্শক যা মনে করেন
ঢাকার সাধারণ হলগুলোতে নিয়মিত সিনেমা দেখেন রুবেল৷ তাঁর মতে, আগে সিনেমাগুলো অনেক কাহিনিনির্ভর ছিল, কিন্তু বর্তমানের সিনেমাগুলোর কাহিনি থেকে শুরু করে নির্মাণ কৌশল সবকিছুই খারাপ৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরোক্ষে মৌলবাদ
অনেকেই মনে করেন, বাংলা চলচ্চিত্র থেকে দর্শকদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার অন্যতম কারণ অশ্লীলতা৷
ছবি: DW/M. Mamun
অপর্যাপ্ত আধুনিকায়ন
চলচ্চিত্রে সংকটময় এই পরিস্থিতির জন্য সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতাকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা৷ চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রযুক্তির ব্যবহারও খুব বেশি বাড়েনি৷ বিগত বছরগুলোতে বিএফডিসির কোনো আধুনিকায়নই হয়নি৷ সাভারের কবিরপুরে ফিল্ম সিটি গড়ে তোলার জন্য ১০৫ একর জমি বরাদ্দ হলেও আজ পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন হয়নি৷
ছবি: DW/M. Mamun
পর্নো ছবি
ঢাকার কিছু সিনেমা হলে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে বিদেশি সিনেমা৷ ‘এক টিকেটে ২ ছবি’-র এসব প্রদর্শনীতে মূলত দেখানো হয় পর্নো সিনেমা৷
ছবি: DW/M. Mamun
মাল্টিপ্লেক্সই ভরসা?
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন সিনেমা হল বন্ধের মহোৎসব চলছে, সে সময়ে কিছুটা হলেও দর্শক নিয়ে আসছে ঢাকার মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলগুলো৷ সংখ্যায় খুবই কম হলেও ভালো পরিবেশের কারণে এসব মাল্টিপ্লেক্স হলে দর্শকরা আসছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
মাল্টিপ্লেক্সে বেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র
বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রতিদিনই দর্শকরা ভিড় জমান বিভিন্ন সিনেমা দেখতে। তবে এসব সিনেমা হলে প্রদর্শিত সিনেমার অধিকাংশই বিদেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরিবারের সবার বিনোদনের স্থান
ঢাকার বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলের একটি৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে দর্শকরা আসেন সিনেমা দেখতে৷
ছবি: DW/M. Mamun
20 ছবি1 | 20
বাংলাদেশে সিনেমা হল কমে যাচ্ছে৷ এর কারণ কী?
কমে যাচ্ছে না৷ ওই যে নিয়ম-নীতির ধার ধারে না৷ এর সঙ্গে সিনেমা বানানোর সম্পর্ক আছে, স্কুলের বিষয় আছে৷ এটা একটা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যদি থাকে, তাহলে এগুলো মনিটর করতে সুবিধা হয়, কাজ করতে সুবিধা হয়৷ এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মনিটরিং করতে হবে৷ বসতে হবে৷ সমাধান বের করতে হবে৷ সেটা হচ্ছে না দেখেই পুরো জিনিসটা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে৷
‘সুস্থ বিনোদন' জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে৷ আমরা কতটা মানসম্মত সুস্থ্ বিনোদন দিতে পারছি৷
এখন কোনো ব্যবসায়ী টাকা লগ্নি করে না৷ আমাদের সময়ে কারা টাকা লগ্নি করতো? সবাই ব্যবসায়ী৷ একটা ছবি না চললে পরবর্তী ছবি থেকে টাকা উঠানো যেত৷ ছবি চলতো৷ সেই সুযোগ এখন আর নাই৷ এখন কালো টাকা যাদের কাছে আছে, তারাও বের করে না৷ টাকা পাচার হয়ে যায়৷ সুইস ব্যাংকে রাখে৷
বিভিন্ন সময়ে যাদের ব্যবসা করে অনেক টাকা হয়, দেখা যায়, শেষ পর্যন্ত তারা রাজনীতি করতে আসছে৷ এখান থেকেও টাকা লুটতে হবে৷
আসলে রাজনীতি বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা বলেন, বিনোদনের জায়গা বলেন, আমরা যে বাঙালি, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, মুক্তিযুদ্ধ, সবকিছু আমাদের আদলেই হয়েছে৷
বর্তমান অবস্থার উত্তরণে কী কী করা দরকার?
এখানে টাকা লগ্নি করতে হবে৷ যথাযথ লোকদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে৷ মন্ত্রণালয়ে ভালো একজন লোক দরকার৷ আমরা চাই, আমাদের সংস্কৃতির উন্নয়ন৷ আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গন কেবল সিনেমা না৷ সব সেক্টর থেকে লোক নিয়ে একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করতে হবে৷ তাহলেই আমরা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারবো৷
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷