চলছে ‘বাংলার জন্য চার লাখ', আছে ভিন্নমতও
২৬ মার্চ ২০১৫তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং গুগল ডেভলপার গ্রুপ, জিডিজি বাংলার উদ্যোগে এই কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলার জন্য চার লাখ'৷ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ৬৫ হাজার বাংলা শব্দ যোগ করা হয়েছিল৷
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান জানান, এই ঠিকানায় যে কেউ যে কোনো সময় নতুন শব্দ বা বাক্য যোগ করতে পারেন৷
ফেসবুকের ইভেন্ট পেজে জানানো হয়েছে, ২৬শে মার্চের রেকর্ডের পরও চলবে বাংলাকে সমৃদ্ধ করার এই কার্যক্রম৷ পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত যিনি সবচেয়ে বেশি অনুবাদ করবেন তিনি সিঙ্গাপুরে গুগল অফিস দেখে আসার সুযোগ পাবেন৷ এছাড়া এক হাজারের বেশি অনুবাদ করলে পাওয়া যাবে গুগলের ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট৷ থাকছে অন্যান্য পুরস্কারও৷
ডয়চে ভেলের ব্লগ প্রতিযোগিতা দ্য বব্স এর একজন বিজয়ী রাগিব হাসান ফেসবুকে ‘বাংলার জন্য চার লাখ' ইভেন্টে সবার অংশগ্রহণ করা কেন জরুরি তা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘...আমাদের নানা কাজে প্রতিনিয়ত নানা ভাষা হতে বাংলায় অনুবাদের দরকার পড়ে, সেটা এখন করতে গিয়ে অনেক সমস্যা হয়, এই অনুবাদকটা সমৃদ্ধ হয়ে গেলে আমরা সবাই সেটা ব্যবহার করতে পারবো৷'' তবে রাগিব হাসানের এই স্ট্যাটাসের নীচে মন্তব্যের ঘরে প্রতীক দাস লিখেছেন, ‘‘উদ্যোগটা ভাল, এতে করে গুগলের এই ফিচারটা রিচ হবে কোনো সন্দেহ নাই৷ কিন্তু এতে সত্যিই কি আমাদের কোনো লাভ আছে?'' তিনি বলতে চেয়েছেন, ‘‘আইসিটি মন্ত্রণালয় যদি গুগলের একটা ফিচার রিচ করার জন্য টাকাটা খরচ না করে একটা ফান্ডিং সোর্স তৈরি করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ফান্ড করত, তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের ট্রান্সলেটর বানাতে পারতাম৷ এতে করে শুধু একটা ফিচার রিচ হত তা নয়, আমরা আমাদের নিজেদের নলেজ রিচ করতে পারতাম৷'' রাগিব হাসান অবশ্য তাঁর এই যুক্তির সঙ্গে একমত হতে পারেননি৷
লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক ফেসবুকে লিখেছেন, অনুবাদের কাজটি খুবই সহজ এবং এটা বাংলা ভাষার জন্য দারুণ একটা ব্যাপার৷ ‘‘গুগল ট্রান্সলেটে আমরা বাংলা শব্দ যোগ করতে চাই বেশি বেশি যাতে করে গুগল ট্রান্সলেটে বাংলা অনুবাদ ভালো পাওয়া যায়..কাজটা আমাদের নিজেদের জন্যই করা..যে কেউ চাইলেই এ কাজে যুক্ত হতে পারেন৷''
ইউনূস আহমেদ কমল লিখেছেন, ‘‘হিসাবে বাংলা পৃথিবীর প্রথম কয়েকটা ভাষার মধ্যে একটা৷ কিন্তু ইন্টারনেটে? কন্টেন্ট হিসাব করলে গুগলের হিসাবে আমরা ৬৫ তম!!! আমাদের কী করণীয়? একটা হলো উইকিপিডিয়াতে কন্টেন্ট যোগ করা৷ সহজ কাজ, আর একটা আছে৷ সেটা হলো একটা সার্বজনীন ট্রান্সলেটর ইঞ্জিনকে সমৃদ্ধ করা৷ যেমন গুগল ট্রান্সলেটর৷ কেন গুগল? কারণ এটাতে ৯০টা ভাষাতে কাজ করানো যায়৷''
মাহমুদুল হাসান কায়রো সামহয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন, ‘‘গুগল ট্রান্সলেটরকে আরো সমৃদ্ধ করতে আমাদের সকলেরই কিছু কিছু পরিশ্রম করা দরকার এবং এই পরিশ্রম আমাদের নিজেদের সুবিধার জন্যই৷ বাংলাভাষা সমৃদ্ধ হলে ভারত কিংবা পাকিস্তানিরা লাভবান হবে না, লাভবান হবো আমরাই৷ কাজ মাত্র দুইটি এবং খুবই সহজ৷ এক, আপনি গুগলের দেয়া একটি করে বাক্য অনুবাদ করে সাবমিট করবেন অথবা দুই, অন্যের করা অনুবাদ সঠিক কি ভুল সেটা যাচাই করবেন৷''
টুইটারে এ নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে৷ নুরুন্নবী হাছিব এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন টুইটারে শেয়ার করেছেন৷
সারওয়ার রাজ লিখেছেন তিনিও অনুবাদের কাজ করছেন৷
প্রথম আলো এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন টুইটারে শেয়ার করেছে৷
এস এম শফিউল আজম লিখেছেন,
মোহাম্মদ ইলিয়াস এই উদ্যোগকে বেশ ভালো বলে উল্লেখ করেছেন৷
ইমরান হাসান লিখেছেন
আল মামুন ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘
‘‘গুগল ট্রান্সলেশনে কাজ করতে এসে অনেক মজার অভিজ্ঞতা হচ্ছে৷ মজার মজার সব বাংলা বাক্য সার্চ রেজাল্টে পাচ্ছি, হাসতে হাসতে পেট ব্যথা৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক