1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোজোনের অর্থনীতি

১৬ জানুয়ারি ২০১৩

জার্মানি সহ ইউরো এলাকার অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পুঁজিবাজার৷ তবে সংকটে জর্জরিত দেশগুলির পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে৷

ছবি: AP

সোমবার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে ইউরোজোনের অর্থনীতির আরও অবনতি ঘটেছে৷ তাছাড়া ইউরো এলাকায় এত সংকটের মধ্যেও জার্মানির অর্থনীতি মোটামুটি শক্ত খুঁটির মতো দাঁড়িয়ে ছিল৷ কিন্তু গত বছরের শেষ তিন মাসে প্রবৃদ্ধির বদলে সংকুচিত হয়েছে জার্মান অর্থনীতি, যদিও তার হার ছিল শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ৷ চলতি বছরে জার্মানি আবার প্রবৃদ্ধির পথে ফিরবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন৷ তবে তার মাত্রা থাকবে খুবই কম৷ বুধবারই বার্লিনে সরকার একটি পূর্বাভাষ প্রকাশ করতে চলেছে৷ জানা গেছে, চলতি বছরের জন্য মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে জার্মানির সরকার৷ এর আগে এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছিল৷

তবে আশার কথা হলো, ইউরোজোনের যে সব দেশে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল, সে সব দেশ থেকে আপাতত নতুন করে কোনো নেতিবাচক খবর আসছে না৷ সংকট কাটিয়ে আয়ারল্যান্ড অবশেষে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, এমন পূর্বাভাষ দেখা যাচ্ছে৷ সে দেশ আন্তর্জাতিক দাতাদের সব শর্ত পূরণ করতে পেরেছে৷ আপাতত ব্যাংকিং ক্ষেত্রের জন্য আলাদা সহায়তা চায় ডাবলিন৷

বন্ড বাজারে ইটালি ও স্পেনের বন্ডের মূল্য কিছুটা বেড়েছে৷ গ্রিস ও পর্তুগালের মতো দেশ আপাতত তাদের শর্ত পূরণ করতে ব্যস্ত৷ এথেন্স প্রয়োজনীয় শর্তগুলি পূরণ করায় বোঝাপড়া অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দাতারা গ্রিসকে চলতি মাসেই আগামী কিস্তির আর্থিক সাহায্য পাঠাতে চলেছে, যার অঙ্ক ৯২০ কোটি ইউরো৷ ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে আরও ২৮০ কোটি ইউরো পাওয়ার কথা৷ তবে প্রতিবারই ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইএমএফ সেদেশের সরকারের পদক্ষেপগুলি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে৷ তবে এই প্রক্রিয়ায় গ্রিস সহ দেশগুলির অর্থনীতি বিপর্যস্ত, বেকারত্বের হার অস্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে৷ ফলে সংকট সামাল দিতে পারলেও ইউরোজোনে প্রবৃদ্ধির আশা করা কঠিন৷

চলতি বছরে জার্মানি আবার প্রবৃদ্ধির পথে ফিরবে বলে আশাছবি: Reuters

ইউরোপীয় স্তরে কাঠামোগত সংস্কারের প্রশ্নে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷ বিশেষ করে ইউরো এলাকায় ব্যাংকিং ক্ষেত্রের উপর নজর রাখতে একটি কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার উদ্যোগ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট প্রস্তাব আনতে চলেছে ইউরোপীয় কমিশন৷ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে মানুয়েল বারোসো মঙ্গলবার বলেন, তিনি বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং সেটিকে অগ্রাধিকার দিতে চান৷ উল্লেখ্য, গত মাসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা এমন এক কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছিলেন৷ এর মূল উদ্দেশ্য, পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করা৷

এই অবস্থায় সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপের পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ ইউরোর বিনিময় মূল্য ইয়েনের তুলনায় অনেকটা বেড়ে গেছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানের আশাবাদী মন্তব্যে বাজার সন্তুষ্ট বটে, কিন্তু ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সার্বিক অবনতির ফলে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷

ব্রিটেনের রক্ষণশীল সরকারের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কে অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিচ্ছেন৷ এমনকি ব্রিটেনের সদস্যপদের শর্তগুলি সম্পর্কে নতুন করে আলোচনা করতে চান তিনি৷ তবে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও উদারপন্থী দলের নেতা নিক ক্লেগ এমন মনোভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এমন পদক্ষেপ বিপজ্জনক৷ এর ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ