1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমুদ্রপথে ইটালিতে আসা অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশিরা

৬ অক্টোবর ২০২৫

চলতি বছরের নয় মাসে সমুদ্রপথে ইটালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছেন বাংলাদেশ থেকে৷

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ভাসমান একটি নৌকা
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইটালিতে আসা বাংলাদেশিদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে৷ ফাইল ফটো ছবি: Cecilia Fabiano/AP Photo/picture alliance

ইটালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গেছে৷

শুক্রবার প্রকাশিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে মোট ১৫ হাজার ৪৭৬ জন বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইটালির উপকূলে পৌঁছেছেন৷ দেশ অনুযায়ী হিসেব করে দেখা গেছে, চলতি বছর ইটালিতে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের এই সংখ্যা অন্য যেকোনো দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ দেশভিত্তিক হিসাবে আগতদের ৩০ শতাংশই ছিলেন বাংলাদেশি৷

এদিকে পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছর ইটালির উপকূলে আসা মোট অভিবাসীর সংখ্যা ২০২৪ সালের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও ২০২৩ সালের তুলনায় অনেক কমেছে৷

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের উল্লিখিত সময়ে মোট ৫১ হাজার ৮৫৫ জন সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইটালিতে এসেছেন৷ ২০২৪ সালের একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল ৫১ হাজার ৩৪১ জন৷ আর ২০২৩ সালে এই সময়ে এসেছিলেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৩১৯ জন৷

সরকারের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসের তুলনায় ২০২৫ সালে বাংলাদেশিদের আগমন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে৷ ২০২৪ সালে এই সময়ে আট হাজার ৫২৬ জন বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইটালিতে এসেছিলেন৷ এ বছর তা বেড়ে ১৫ হাজার ৪৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে৷

পরিসংখ্যানে, ভূমধ্যসাগর হয়ে ইটালিতে অভিবাসী আগমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসীদের আগমন ক্রমেই বাড়ছে৷

বাংলাদেশিদের পর সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসী এসেছে ইরিত্রিয়া ও মিশর থেকে৷ এই সংখ্যা যথাক্রমে সাত হাজার ৯০ জন ও ছয় হাজার ৫৫৮ জন৷

ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন নিয়ে তথ্যচিত্র- ভূ'মৃত্যু'সাগরের ওপারে

31:43

This browser does not support the video element.

পাকিস্তান, সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া ও টিউনিশিয়া থেকেও কয়েক হাজার মানুষ এ সময় ইটালিতে পাড়ি জমিয়েছেন৷ অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে ইরান, সিরিয়া, গিনি, আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, মালি ও আফগানিস্তান৷ আরও কিছু অভিবাসীর পরিচয় যাচাইয়ের কাজ এখনো চলমান৷

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৫ সালের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টিই ছিল অভিবাসনের প্রধান মৌসুম৷ মে মাসে সাত হাজার ১৭৮ জন, জুনে সাত হাজার ৮৯ জন, জুলাইয়ে ছয় হাজার ৪৮৭ জন, আগস্টে ছয় হাজার ১৪৬ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে সর্বোচ্চ আট হাজার ৩১৫ জন অভিবাসী ইটালিতে পৌঁছান৷ অক্টোবরের প্রথম দিক পর্যন্ত আগমন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে৷

অন্যদিকে, অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক একক অভিবাসীর সংখ্যাও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এ বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট নয় হাজার ১৫৬ জন শিশু ইটালিতে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বেশি হলেও ২০২৩ সালের উল্লিখিত সময়ের তুলনায় অনেক কম৷  ২০২৪ সালের এই সময়ে আট হাজার ৭৫২ শিশু এবং ২০২৩ সালে ১৮ হাজার ৮২০ শিশু ইটালিতে পৌঁছেছিল৷

সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপীয় সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ আরও কঠোর হলেও বাংলাদেশিদের আগমনের ক্ষেত্রে তার প্রভাব তেমন পড়েনি৷

এমএইউ/আরআর

প্রথম প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৫ ইনফোমাইগ্রেন্টস

অভিবাসী বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস তিনটি প্রধান ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্বে একটি যৌথ প্লাটফর্ম৷ প্লাটফর্মটিতে রয়েছে জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে, ফ্রান্স মিডিয়া মোন্দ, এবং ইটালিয়ান সংবাদ সংস্থা আনসা৷ এই প্রকল্পের সহ-অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ