1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩

জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই৷ শুক্রবার জাতিসংঘের জলবায়ু সংস্থা আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে৷ অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ, বন্যা ও খরা আরও ঘনঘন দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

With a GPS to locate a point in the Bolivian Andes mountain Range, Bolivian glaciologist, or ice specialist, Edson Ramirez, measures the thickness of Bolivian tropical glacier Chacaltaya, near Bolivian capital La Paz, Dec. 6, 2004. Chacaltaya, a frozen storehouse of such water, will be gone in seven to eight years, said Ramirez, an evidence of the global warming. In the foreground, the snowy cap of the mountain is seen split in two, a phenomena seen for the first time ever, according to Ramirez
ছবি: ddp images/AP Photo/Dado Galdieri

আইপিসিসি বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ যে মানুষ, তা নিয়ে আর তেমন কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না৷ গত ৬০ বছরে উষ্ণায়নের অন্তত অর্ধেকের পেছনে মানুষের কার্যকলাপ কাজ করেছে৷ ৯৫ শতাংশ নিশ্চয়তার সঙ্গে আইপিসিসি এক পূর্বাভাষ দিচ্ছে৷ সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷ যেমন চলতি শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা আরও ০.৩ থেকে ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে৷ এর ফলে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও ২৬ থেকে ৮২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে৷ সেইসঙ্গে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ, বন্যা ও খরা আরও ঘনঘন দেখা যাবে৷

আইপিসিসি-র বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন বিপর্যয় এড়ানোর চাবিকাঠিও মানুষের হাতেই রয়েছে৷ প্রথমেই জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার অবিলম্বে কমাতে হবে৷ আইপিসিসি-র প্রধান ক্রিস্টিনা ফিগেরেস শুক্রবারে প্রকাশিত রিপোর্ট-কে গোটা বিশ্বের জন্য অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ ২০১৫ সালে যে আন্তর্জাতিক চুক্তি নবায়ন হবার কথা, তাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা আরও উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা উচিত বলে তিনি মনে করেন৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনও সব দেশের সরকারের উদ্দেশ্যে এ ক্ষেত্রে সক্রিয় হয়ে ওঠার ডাক দিয়েছেন৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আইপিসিসি রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেন, যারা বিজ্ঞানকে অমান্য করে অথবা কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার পেছনে কোনো অজুহাত দেখায়, তারা আগুন নিয়ে খেলা করছেছবি: AFP/Getty Images

এমন আহ্বানে কাজ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন শীর্ষ সম্মেলনে প্রায় সার্বিক ঐকমত্যের পর জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে আগ্রহ আবার কমে গেছে৷ বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলি আপাতত আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাওয়ায় তারা গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে কতটা কাজ করবে, তা স্পষ্ট নয়৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও আইপিসিসি রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যারা বিজ্ঞানকে অমান্য করে অথবা কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার পেছনে কোনো অজুহাত দেখায়, তারা আগুন নিয়ে খেলা করছে৷

বিশ্ব আবহাওয়া সংগঠনের প্রধান মিশেল জারো এই রিপোর্টের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের আজকের কার্যকলাপ সমাজের উপরও গভীর প্রভাব ফেলবে৷ আগামী প্রজন্মগুলিকেও তার ফল ভোগ করতে হবে৷''

গত ২৫ বছরে আইপিসিসি মোট চারটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ প্রতিবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মাত্রা তাতে আরও তীব্র হয়ে উঠেছে৷ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব সম্পর্কে তিন খণ্ডের প্রথম অংশটি প্রকাশিত হলো শুক্রবার৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ