1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলতি সপ্তাহেই ব্রেক্সিটের এসপার-ওসপার?

২১ অক্টোবর ২০১৯

ব্রিটিশ সংসদে সময়মতো ব্রেক্সিট চুক্তির অনুমোদন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট, দ্বিতীয় গণভোট অথবা ব্রেক্সিটে বিলম্ব – চলতি সপ্তাহে নানা রকম সম্ভাবনা উঠে আসছে৷ বরিস জনসন এখনো ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করতে চাইছেন৷

UK London Boris Johnson
ছবি: picture-alliance/PA Wire/V. Jones

ব্রেক্সিট নাটকের বর্তমান অধ্যায়েও ব্রিটেনে চলতি সপ্তাহে কী ঘটতে পারে, তা অনুমান করা আগের মতোই কঠিন৷ শনিবার ব্রিটিশ সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তির দ্বিতীয় সংস্করণ অনুমোদন করাতে না পারলেও হাল ছাড়তে রাজি নন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ আইন মানতে বাধ্য হয়ে তাঁকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে হয়েছে৷ তবে সেই আবেদন যাতে গুরুত্ব না পায়, সেই লক্ষ্যে তিনি মরিয়া উদ্যোগ নিয়েছেন৷ সোমবার থেকে ব্রিটেনের সংসদে জনসন ও বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর বিরোধীদের মধ্যে নতুন সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়বে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ সরকার সোমবার ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটির দ্বিতীয় প্রচেষ্টা চালাতে চায়৷ তবে স্পিকার সেই অনুমতি দেবেন কিনা অথবা অন্য কোনো বাধা সৃষ্টি হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷

ব্রিটিশ সংসদে জনসনের বিরোধীরা একাধিক পালটা উদ্যোগ নেবার তোড়জোড় করছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থার অভাবের কারণে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট-বিরোধীরা বিচ্ছেদ চুক্তি আইনে পরিণত করে তবেই সেটির প্রতি সমর্থন জানাতে চান৷ কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা সেই সব আইন প্রণয়নে বাধা দিয়ে ৩১শে অক্টোবর চুক্তিহীন ব্রেক্সিট অবশ্যম্ভাবী করে তুলবে বলে তাঁদের মনে আশঙ্কা রয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী জনসনও ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করতে অবিচল রয়েছেন৷ বিরোধি লেবার দল দ্বিতীয় গণভোটের শর্তে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের ইঙ্গিত দিয়েছে৷ তাদের মতে, এবার ব্রিটেনের ভোটারদের হাতে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তুলে দেবার সময় এসে গেছে৷ উল্লেখ্য, সপ্তাহান্তে হাজার হাজার মানুষ নতুন গণভোটের দাবি জানিয়েছেন৷

এমন প্রেক্ষাপটে ইইউ তড়িঘড়ি করে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক আবেদনে সাড়া না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ রবিবার ২৭টি ইইউ সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন৷ চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত লন্ডনে এ বিষয়ে স্পষ্ট চিত্র ফুটে ওঠে কিনা, তা জানতে ইইউ সে দিকে লক্ষ্য রাখতে চায়৷ জনসনের চিঠিও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাঠানো হয়েছে৷

অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আন্টি রিনে ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে তৃতীয় বিলম্ব মেনে নেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ আগামী সপ্তাহান্তেই এক জরুরি ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে ব্রিটেনের আবেদন মেনে নিতে পারেন – এমন সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে৷ এমনকি ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বিলম্বের পক্ষেও অনেকে সওয়াল করছেন৷

ব্রিটেন ও ইইউ ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারলেও সেই সিদ্ধান্ত সময়মতো কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব৷ ফলে প্রশাসনিক বিলম্বের কথাও শোনা যাচ্ছে৷ 

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ