1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলন্ত গাড়ির টায়ারের শব্দ কমাতে গবেষণা

২৯ জানুয়ারি ২০১৯

রাস্তার পাশে অবস্থিত বাড়ির বাসিন্দাদের শব্দদূষণ থেকে মুক্তি দিতে গবেষকরা চেষ্টা করছেন৷ তাঁরা আলকাতরার পরিবর্তে এমন এক উপকরণ তৈরির চেষ্টা করছেন, যেটা রাস্তায় ব্যবহৃত হলে, গাড়ির টায়ার থেকে কম শব্দ তৈরি হবে৷

Lärm
ছবি: Colourbox/E. Wodicka

বেলজিয়ান রোড রিসার্চ সেন্টারের লুক গুবার্ট বলেন, ‘‘আপনি যদি গাড়ি চলাচলের সময় সৃষ্ট শব্দদূষণ কমাতে চান, তাহলে আপনাকে রাস্তার উপরিভাগে পরিবর্তন এনে টায়ারের শব্দ কমানোর চেষ্টা করতে হবে৷ এক্ষেত্রে তিনটি প্যারামিটার আছে – রাস্তার বুনট, তাপমাত্রা শোষণ ক্ষমতা ও স্থিতিস্থাপকতা৷ এর মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে বেশি কাজ হয়নি৷''

 ইউরোপীয় এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা এক স্থিতিস্থাপক লেয়ার শব্দদূষণ অনেক কমিয়ে দেয়৷

বৃষ্টি হলে যেন ঐ উপকরণ দিয়ে তৈরি রাস্তায় গাড়ি চলতে সমস্যা না হয়, তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ সেখানে কাজ করা আনেটে নাইডেল বলেন,  ‘‘গাড়ির পুরনো টায়ারথেকে পাওয়া রাবার, আর গ্রানাইটের গুঁড়া পলিইউরেথিন আঠা দিয়ে যুক্ত করে এই উপকরণ তৈরি করা হয়েছে৷''

রিসাইকেল করা টায়ার দিয়ে রাস্তার উপরিভাগ ঢেকে দেয়ার পরিকল্পনা নতুন নয়৷ কিন্তু স্থায়িত্ব ও খরচের বিবেচনায় সেগুলো তেমন সফল হয়নি৷ গবেষক হান্স বেন্ডটসেন বলেন, ‘‘আমরা এমন এক উপকরণ তৈরির চেষ্টা করছি, যেটাশব্দদূষণ কমাবে, স্থায়ী হবে, আর দাম হবে কম৷''

নিরাপত্তার জন্য ঘর্ষণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ৷ সুইডেনের এই রাস্তায় তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ শীতের সময় আলকাতরার চেয়ে এই উপকরণের উপর দিয়ে চলাচল বেশি নিরাপদ বলে গবেষণায় দেখা গেছে৷

গবেষক উলফ স্যান্ডব্যার্গ বলেন, ‘‘সাধারণ আলকাতরার চেয়ে এই উপকরণ দিয়ে রাস্তা তৈরি ব্যয়বহুল৷ তবে যেখানে শব্দদূষণ কমাতে বেড়া দেয়ার প্রয়োজন পড়বে, সেখানে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে৷ কেননা বেড়া দিতে তার চেয়ে বেশি খরচ হবে৷''

কিন্তু এটা কি যথেষ্ট টেকসই হবে? এখানে সেটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ কয়েক বছর পর সারফেসটির অবস্থা কেমন হতে পারে, তার একটা ধারণা পাওয়ার চেষ্টা চলছে৷ পরিবেশের উপর এর প্রভাবও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে৷

প্রকৌশলী বিয়র্ন কালমান বলেন, ‘‘সাধারণ আলকাতরার মতোই এটি টেকসই৷ এছাড়া এই উপকরণ কী পরিমাণ ধূলা তৈরি করতে পারে, তাও এখানে জানার চেষ্টা চলছে৷ দেখা যাচ্ছে, আলকাতরার চেয়ে কম ধুলাই উৎপন্ন হচ্ছে৷''

শব্দ কম, নির্ভরযোগ্য আর পরিবেশবান্ধব – নিকট ভবিষ্যতে তাই এই উপকরণ ইউরোপজুড়ে বেড়ার বিকল্প হয়ে উঠবে বলে আশা গবেষকদের৷

স্টেফান গাবেল্ট/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ