ভারতের গুরুগ্রামে জ্বলন্ত একটি গাড়ির ফ্লাইওভারে ছুটে চলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
দীপাবলি উপলক্ষে ভারতজুড়ে আলোর রোশনাই৷ কিন্তু উত্তর ভারতের গুরুগ্রামে একটু অন্যরকম আলো দেখতে পেলেন স্থানীয় মানুষ৷ শহরের একটি ফ্লাইওভারে ওঠার সময় গাড়িতে একটি অস্বাভাবিক আওয়াজ শোনেন চালক রাকেশ৷ অনেক চেষ্টার পরও যখন গাড়িটি থামছিল না, তখন একটুও দেরি না করে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন তিনি৷
কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরণের ফলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়৷ তারপরও চলতে থাকে জ্বলন্ত গাড়িটি!
চালকবিহীন, আগুন লাগা এই ভূতুড়ে গাড়িটি ফ্লাইওভার দিয়ে চলতে চলতে একটি অটোরিক্সাকে ধাক্কা মারে৷ কিন্তু পুরো ঘটনায় কেউ আহত হবার কোনো খবর পাওয়া যায়নি৷
এই অদ্ভূত ঘটনাটির ভিডিও ইতিমধ্যে শেয়ার করা হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে৷ ফেসবুকে এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে লক্ষাধিক বার৷
এছাড়া বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমেও উঠে এসেছে এই ভিডিওরখবর৷
এসএস/এসিবি
চালকবিহীন গাড়ি
গুগল সহ কয়েকটি কোম্পানি স্বনিয়ন্ত্রিত গাড়ি নিয়ে গবেষণা করছে৷ ফলে সামনের দিনগুলোতে রাস্তায় হয়ত চালকবিহীন গাড়ি দেখা যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্বনিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রিক গাড়ি
গুগলের ‘সেলফ-ড্রাইভিং কার প্রজেক্ট’-এর পরিচালক ক্রিস উর্মসন গুগল ব্লগে জানিয়েছেন, কয়েক বছরের মধ্যে স্বনিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রিক গাড়ি নামানোর পরিকল্পনা করছে তারা৷
ছবি: Getty Images
গবেষণা চলছে
অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে নিজেদের সদর দফতরে পরীক্ষামূলকভাবে স্বনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালিয়ে আসছে গুগল৷ তবে গাড়ি নিজে চললেও এখনো সবসময় একজন ড্রাইভার পাশে থাকছেন৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
দুর্ঘটনা এড়ানো
সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত গাড়ির স্তূপ এটি৷ চোখে স্পষ্ট দেখতে ব্যর্থ হওয়া সহ নানা কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ তবে গুগল আশা করছে বুদ্ধিমান রোবট দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যাবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেন্সরযুক্ত গাড়ি
গুগল-এর স্বনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে অনেক ধরনের সেন্সর থাকবে৷ যেমন এই লেজার সেন্সরটি রাস্তার ত্রিমাত্রিক ছবি তুলবে৷
ছবি: DW/Fabian Schmidt
জার্মান প্রযুক্তি
একটু আগে গুগল-এর যে লেজার সেন্সরের কথা বলা হলো, সেটা জার্মানির বুন্ডেসভেয়ার ইউনিভার্সিটিও তাদের স্বনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে ব্যবহার করছে৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লেজার সেন্সর যে ত্রিমাত্রিক ছবি তুলেছে সেটা গাড়িতে থাকা কম্পিউটারে পাঠিয়ে দিয়েছে৷
ছবি: Universität der Bundeswehr/TAS
৬ডি-ভিশন
ছবির এই বস্তুটি একটি ক্যামেরা৷ গাড়ির উইন্ডশিল্ডের পেছনে লাগানো আছে এটি৷ রাস্তায় যা কিছু ঘটে তার ছবি তোলে এই ক্যামেরা৷ ডাইমলারের একদল গবেষকের ‘৬ডি-ভিশন’ প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত এই ক্যামেরা ২০১১ সালে ‘জার্মান ফিউচার অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিল৷ এর কাজ সম্পর্কে জানা যাবে পরের ছবিতে৷
ছবি: Deutscher Zukunftspreis/Ansgar Pudenz
আলোর খেলা
আগের ছবিতে যে ক্যামেরাটি দেখা গেছে সেটির তোলো ছবিগুলো গাড়ির কম্পিউটারে চলে যায়৷ এই ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে সামনে কোনো ঝুঁকি আছে কিনা – তা বুঝতে পারেন চালক৷ এই ছবিতে পথচারীকে কমলা রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ আর সবুজ চিহ্নটি চলমান একটি গাড়ির৷ অর্থাৎ কোনো বিপদ নেই৷ এভাবে স্বনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালক ছাড়াই সামনে চলার সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷
ছবি: Deutscher Zukunftspreis/Ansgar Pudenz
কম্পিউটার নাকি মানুষ?
রোবট চালিত গাড়ি যদি দুর্ঘটনায় পড়ে তাহলে তার জন্য কাকে দায়ী করা হবে? এর নির্মাতা, নাকি সফটওয়্যার প্রোগ্রামারকে৷ নাকি গাড়ির মালিককে? রাজনীতিবিদ ও আইনজীবীদের ভবিষ্যতে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে৷
ছবি: DW/Fabian Schmidt
অন্য কাজে
যুদ্ধের সময় পণ্য পরিবহণ কাজে কোনো চালককে কাজে না লাগিয়ে কিংবা পরমাণু দুর্ঘটনার পর সেই বিষাক্ত অঞ্চলে কোনো মানুষকে না পাঠিয়ে সেখানে স্বনিয়ন্ত্রিত গাড়ি পাঠানো যেতে পারে৷