চলে গেলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮০ বছর বয়সি ইব্রাহিম খালেদ এ মাসের শুরুতে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন৷ পরে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়৷ তাঁর ছেলে খোন্দকার সাঈদ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বাবার কোভিড নেগেটিভ হয়েছিল কিন্তু বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন৷’’
১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ৷তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সুষ্ঠু বিকাশে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ যে মেধা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন তা এদেশের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে৷’’ বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা ভবনে তার প্রথম জানাজা হয়, তিনি কচিকাঁচার মেলার একজন পরিচালক ছিলেন৷ গোপালগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করার কথা জানান তাঁর ছেলে৷
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের জন্ম ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন৷ ভূগোলে স্নাতকোত্তর করে আইবিএ থেকে এমবিএ করার পর ১৯৬৩ সালে তার ব্যাংকিং পেশায় যোগদান৷ ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের পতনের কারণ অনুসন্ধানে সরকারের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন৷ ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি ইব্রাহিম খালেদকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে রেখে গেছেন৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)