চলে গেলেন প্রখ্যাত মার্কিন পরিচালক সিডনি লুমিট
১০ এপ্রিল ২০১১বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিচালকদের একজন লুমিট৷ ৪০ টিরও বেশি ছবি তৈরি করেছেন তিনি৷ নিজের শহর নিউ ইয়র্কেও অনেকগুলো ছবির চিত্রধারণ করেছেন তিনি৷
২০০৫ সালে আজীবন সম্মাননার স্মারক হিসেবে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পান লুমিট৷ তবে অস্কার পুরস্কারের জন্য পাঁচবার মনোনীত হলেও শেষ পর্যন্ত অস্কার পদক পাননি৷ ১৯৫৭ সালে সেরা পরিচালক হিসেবে অস্কারের জন্য মনোনীত হন তাঁর জনপ্রিয় ছবি ‘টুয়েলভ অ্যাঙ্গরি মেন' এর জন্য৷ এরপর ১৯৭৫ সালে ‘ডগ ডে আফটারনুন', ১৯৭৬ সালে ‘নেটওয়ার্ক', ১৯৮১ সালে ‘প্রিন্স অফ দ্য সিটি' এবং ১৯৮২ সালে ‘ভারডিক্ট' ছবিগুলো অস্কারের বাছাই তালিকায় স্থান পায়৷
‘নেটওয়ার্ক' ছবিটি ১০টি অস্কার পদকের জন্য মনোনীত হয়৷ তবে সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রীসহ চারটি অস্কার পদক জোটে৷ এছাড়া অস্কারের বিভিন্ন ধারায় ৫০টিরও বেশি পদকের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে লুমিটের ছবি৷ লুমিটের অধিকাংশ সেরা ছবিগুলো তৈরি হয়েছে ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৬ - এই এক যুগ সময়ে৷ এসময় ১৮টি ছবি করেন লুমিট৷ এগুলোর মধ্যে ‘ফেইল-সেইফ', ‘দ্য পনব্রোকার', ‘দ্য গ্রুপ', ‘দ্য অ্যান্ডারসন টেপস', ‘ডগ ডে আফটারনুন' এবং ‘নেটওয়ার্ক' উল্লেখযোগ্য৷
১৯২৪ সালের ২৫ জুন ফিলাডেলফিয়ায় জন্ম এই মহান পরিচালকের৷ মাত্র চার বছর বয়সেই নিউ ইয়র্কের ইডিশ আর্ট থিয়েটারে প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন শিশু লুমিট৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর রাডার প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কাজ করেন৷ এরপর আবারও নিউইয়র্কে অনেকগুলো মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন তিনি৷ পঞ্চাশের দশকে শুরু করেন নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক