চলে গেলেন বলিউডের চিরসবুজ দেব আনন্দ
৪ ডিসেম্বর ২০১১ মৃত্যুর সময় দেব আনন্দের বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর৷ তবে এই বয়সেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি দেখা গেছে৷ তবে বেশ কিছুদিন ধরে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো যাচ্ছিলো না৷ তাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন৷ কিন্তু দেশের মাটিতে আর ফেরা হলো না তার৷
‘হাম এক হ্যায়'- এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৪৬ সালে রূপালি জগতে পা রাখেন দেব আনন্দ৷ চমৎকার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে বলিউডে নিজের অবস্থানকে পাকাপোক্ত করেন দেব আনন্দ৷ তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- পেইং গেস্ট, বাজি, জুয়েল থিফ, সিআইডি, জনি মেরা নাম, আমির গরিব, ওয়ারেন্ট, দেশ পরদেশ ইত্যাদি৷ ভারতের চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০০১ সালে দেব আনন্দকে পদ্মভূষণ খেতাব দেয় সরকার৷ ২০০২ সালে মর্যাদাপূর্ণ ‘দাদাসাহেব ফালকে' সম্মাননাও পান তিনি৷
দেব আনন্দের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বলিউডের আরেক কিংবদন্তী অমিতাভ বচ্চন বলেছেন, তাঁর মৃত্যুতে বলিউডের একটি যুগের সমাপ্তি ঘটলো৷
প্রিসলির হারিয়ে যাওয়া কন্যা দাবি করে মামলা
কিংবদন্তী রক অ্যান্ড রোল তারকা এলভিস প্রিসলির কন্যা হিসেবেই সবাই চেনে লিসা মেরি প্রিসলিকে৷ কিন্তু সুইডেনের লিসা জোহানসেন নামে এই নারী দাবি করলেন, লিসা মেরি নয় তিনিই প্রিসলির আসল মেয়ে৷
শুধু দাবিই করেননি, সুইডেনের আদালতে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের একটি মামলাও ঠুকে দিয়েছেন ৪৩ বছর বয়সী লিসা জোহানসেন৷ তিনি দাবি করেছেন, এলভিস প্রিসলির আসল কন্যা আমি, লিসা মেরি প্রিসলি নন৷ ১৯৭৭ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর অপহরণের আশংকায় আমাকে লিসা মেরির সঙ্গে অদল-বদল করা হয়েছিলো এবং বাধ্য হয়েই আমাকে সুইডেন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো৷ আমার মা প্রিসিলা প্রিসলি৷' এতদিন ধরে বয়ে চলা মানসিক যন্ত্রণা ও মানহানির কারণেই তিনি প্রিসলির আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানান লিসা জোহানসন৷
এই ঘটনার পর প্রিসলি পরিবারের আইনজীবী মার্টিন সিঙ্গার বলেছেন, ‘লিসা জোহানসেনের দাবি মোটেও সত্য নয়৷ প্রিসলি পরিবারের সঙ্গে নিজেকে জড়াতেই এমন মনগড়া কাহিনী ফেঁদেছেন তিনি৷'
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক