1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাইলেও যায় না পাওয়া

মার্ক ফন ল্যুপকে/আরবি২১ জুন ২০১৩

সাবেক পূর্ব জার্মানির অনেকের পক্ষেই গাড়ি কেনা সম্ভব হতো না৷ এজন্য বহুদিন অপেক্ষা করতে হতো৷ শুধু ক্যাটালগ দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হতো অনেককে৷ জার্মানির পূর্বাঞ্চলে তেরি ট্রাবান্ট গাড়িকে ঠাট্টা করে স্যাকসনির পোর্শে বলা হতো৷

Ein Trabant 601 wird in einem Katalog der Palatinus GmbH "Geschenke in die DDR" aus dem Jahr 1988 in unterschiedlichen Ausstattungen ab 5.223 D-Mark zum Verkauf angeboten, fotografiert am 18.12.2012 im DDR-Museum Pirna (Sachsen). Zu DDR-Zeiten verkaufte die Schweizer Firma als Vertragspartner der Genex Geschenkdienst GmbH per Katalog Geschenke für Bürger der DDR. Die "Geschenke" wurden von den Bürgern der Bundesrepublik bestellt, mit D-Mark bezahlt und dann direkt an Bekannte und Verwandte in die DDR versendet. Dabei handelte es sich zum größten Teil um in der DDR selbst kaum erhältliche Waren aus der DDR-Produktion wie Lebensmittel, Möbel, Kosmetik, Kleidung, Motorräder, Autos (ohne Wartezeiten) und ganze Fertigteilhäuser. Die Genex war eine der wichtigsten Devisenquellen der DDR. Foto: Jens Kalaene/dpa
Ein Trabant 601 in einem Katalog der Palatinus GmbHছবি: picture-alliance/dpa

এভাবেই পশ্চিমের অনুকরণে ভোগ্যপণ্য প্রস্তুত করে নাগরিকদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হতো তত্কালীন পূর্ব জার্মানিতে৷

জিনস

জিনসকে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার প্রতীক বলে মনে করা হতো কমিউনিস্ট দেশগুলিতে৷ তবুও তত্কালীন পূর্ব জার্মান সরকার ১৯৭৮ সালে ১০ লক্ষ জিনসের ট্রাউজার বাজারে ছেড়েছিল আর মানুষ সে সব কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল৷ অন্যদিকে জিডিআর-এর ‘জিনস’ ‘ভিসেন্ট’ কিংবা ‘শ্যান্টি’ অনাদরে পড়ে থাকতো দোকানে৷ সেই জিনসগুলিকে আসল বলে মনেই হতো না৷

নাইলন

সাবেক জিডিআর-এ তৈরি আর একটি পদার্থের নাম ডেডেরোন৷ এটি দিয়ে জামা-কাপড়, পাতলা মোজা, অ্যাপ্রোন ইত্যাদি তৈরি করা হতো৷ রাসায়নিক দিক দিয়ে পশ্চিমের নাইলনের মতো পদার্থ এটি৷ কিন্তু সাবেক জিডিআর কর্তৃপক্ষ নাইলনের বদলে তাদের সমাজতান্ত্রিক বিকল্পটিকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু পশ্চিমের নাইলনের মোজাই ছিল সেখানে অত্যন্ত জনপ্রিয়৷

তত্কালীন পূর্ব জার্মান সরকার ১৯৭৮ সালে ১০ লক্ষ জিনসের ট্রাউজার বাজারে ছেড়েছিল আর মানুষ সে সব কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলছবি: picture-alliance/dpa

কোকাকোলা

তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির নাগরিকরা তাদের তৃষ্ণা মেটাতে পারতেন কোকাকোলা দিয়ে৷ কিন্তু এক্ষেত্রেও জিডিআর কর্তৃপক্ষ তাঁদের সমাজতান্ত্রিক বিকল্প উপস্থাপন করেন৷ সেগুলির নাম ছিল ‘ক্লাবকোলা’ ও ‘ভিটাকোলা’৷ পশ্চিমের কোকাকোলার মতোই স্বাদ হতে হবে এই পানীয়গুলির, এমনটাই আশা ছিল উত্পাদকদের৷ কিন্তু চির প্রতিদ্বন্দ্বী পেপসিকোলার মতোই কোকাকোলার কাছে হার মানতে হয় এইগুলির৷ বিশেষ করে ভিটাকোলার তিক্ত স্বাদ পশ্চিমের পর্যটকদের মোটেও ভালো লাগতো না৷

হ্যামবার্গার

১৯৮২ সালে গ্রিলেটার সঙ্গে পরিচিত হয় তৎকালীন পূর্ব জার্মানির মানুষ৷ পশ্চিমের হামবার্গারের অনুকরণে তৈরি এক খাদ্য৷ রেসিপিটা পরিচিত৷ একটি বন রুটির মাঝখানে কেটে দুই ফালি করা হয়৷ তারপর একটি মাংসের কিমা মাখা চ্যাপটা করে এই দুই ভাগের মধ্যে রেখে কিছু কেচাপ দিয়ে চেপে দেওয়া৷ ব্যস হয় গেল গ্রিলেটা৷ কিন্তু সাবেক পূর্ব জার্মানিতে কেচাপ ছিল দুর্লভ বস্তু৷ তাই এর বিকল্প এক ধরনের সস দিয়ে কাজ চালানো হতো৷

চকলেট

জিডিআর-এর চকলেটের স্বাদও ছিল কিছুটা ভিন্নরকম৷ চকলেটের বারে কোকোর ভাগ থাকতো মাত্র ৭ শতাংশ৷ আর সেই অভাব পূরণ করার জন্য চিনি, তৈলাক্ত পদার্থ, বাদামের ম্যাশ, মটরশুটি ব্যবহার করা হতো৷

সংগীত

শিল্প ও সংস্কৃতির দিক দিয়েও এই ধরনের অনুকরণ প্রবণতা অব্যাহত ছিল৷ বিটলস সংগীতকে ‘নোংরা’ বলে অভিহিত করলেও পশ্চিমের এই ধরনের কিছু সংগীত নিজেদের রেকর্ড কোম্পানির নামে বের করে পূর্ব জার্মান কর্তৃপক্ষ৷ মূলের এক দুর্বল সংস্করণ বলা যায় এই সব সংগীতকে৷ এই কারণে পূর্ব জার্মানির কালো বাজারে আসল পশ্চিমা সংগীতের রেকর্ডের ধুম পড়ে গিয়েছিল৷

অ্যারোবিক

১৯৮০ এর দশকে পশ্চিমের অ্যারোবিকের ঢেউ পুবেও এসে পড়ে৷ কিন্তু অ্যারোবিক কথাটিতেও পুঁজিবাদের গন্ধ খুঁজে পান পুব কর্তৃপক্ষ৷ তাই অন্য একটি নাম দেন নৃত্যের তালে তালে করা জিমনাস্টিককে, আর তা হলো ‘পপজিমন্যাস্টিক’৷ পশ্চিম জার্মান টিভির অ্যারোবিক প্রোগ্রামের অনুকরণে পুবেও একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা শুরু হয়৷

সাবেক জিডিআর কর্তৃপক্ষ নাইলনের বদলে তাদের সমাজতান্ত্রিক বিকল্পটিকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেনছবি: picture-alliance/akg-images

কম্পিউটার

কম্পিউটারের উন্নয়নের দিক দিয়েও অনেকটা পিছিয়ে ছিল জিডিআর৷ আর তাই পুর্ব জার্মানির ইঞ্জিনিয়াররা পশ্চিমের মডেলকেই অনুকরণ করার চেষ্টা করতেন৷ ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীরের পতনের অল্প আগে কম্পিউটারের সিরিজ উত্পাদন শুরু হয়৷ কিন্তু তারপর সেগুলি পশ্চিমের কপি হিসাবে দোকানেই পড়ে থাকে৷
আজ আবার সাবেক জিডিআর-এর সামগ্রী ভালো বিক্রি হচ্ছে৷ জিডিআর-এর প্রতি নস্টালজিক বা স্মৃতিকাতর হয়ে অনেকেই ঝুঁকছেন এই সব পণ্যের দিকে৷ তবে অনেক জিনিসই আর পুরোপুরি আগের মতো নয়৷ শুধু পুবের মোড়কটা জড়ানো থাকে ওপরে – এই যা৷ যেমন, সেই সময়কার পূর্ব জার্মান চকলেটে কোকোর পরিমাণ এখন চার গুণ বেড়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ