মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গিয়ে চাকরি চাইছেন মানুষ। আর মুখ্যমন্ত্রী দায় ঠেলে দিচ্ছেন বিরোধী নেতা ও আইনজীবীর উপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দায় তিনি কিছুতেই এড়াতে পারেন না।
বিজ্ঞাপন
গত সোম ও মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে দুইটি জনসভা করেন। সোমবার টেট পাস করা একজন শিক্ষকের চাকরি প্রত্যাশী মুখ্যমন্ত্রীর সভায় গিয়ে বলেন, তারা চাকরি নিয়ে কথা বলতে চান। মঙ্গলবার আরেকটি জনসভায় একজন নারী পোস্টার উঁচিয়ে ধরেন, তাতে লেখা ছিল 'চাকরি চাই'। দুইটি ঘটনা নিয়েই আলোড়ন দেখা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সবচেয়ে বেশি আলোড়ন হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব থেকে।
মমতা মঙ্গলবার জনসভায় বলেছেন, সিপিএম ও বিজেপি এই সব কাজ করছে। তারপরেই তিনি সিপিএম নেতা এবং আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের ঘাড়ে সব দায় চাপিয়ে দিয়ে বলেন, তার কাছে ১৭ হাজার এবং পাঁচ হাজার মানে মোট ২২ হাজার শিক্ষকের চাকরি রেডি আছে। কিন্তু আদালত বলেছে, সব ছাঁটাই করে দিতে। তাকে আদালতের কথা মানতে হবে। বিকাশ ভট্টাচার্যরা আদালতে মামলা করায় এখন আর তার কিছু করার নেই। বিকাশ ভট্টাচার্যরা চাকরি দেয়া বন্ধ করেছেন। এখন চাকরি তারাই দেবেন।
বিকাশ জবাবে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। তিনি দুই ঘণ্টার মধ্যে ১৭ হাজার মানুষকে চাকরি দেবেন।
লড়াইয়ের মঞ্চে ক্যান্সার আক্রান্ত নারী, সন্তান হারানো বাবা
তারা রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের তোয়াক্কা করেন না। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত নারী প্রতিদিন বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে নিজের সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি এক বাবা। এসএসসি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন প্রতিদিন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
তিন দফায় আন্দোলন
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসবাণীতে ২০১৯ সালের প্রথম দফার আন্দোলন ২৯দিনের মাথায় তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। আশ্বাস ফলপ্রসূ না হওয়ায় দ্বিতীয়বার আন্দোলনে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলন চলে ১৮৭ দিন। বর্ষণমুখর রাতের অন্ধকারে দ্বিতীয় দফার সেই আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অবস্থান মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীদের সমস্ত জিনিসপত্র সমেত তুলে দেয়া হয়। এখন চলছে তৃতীয় দফার আন্দোলন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সব বাধা উপেক্ষা করে
তৃতীয় দফায় বিগত সাতমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই আন্দোলন। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে এই শামিয়ানার নীচে আন্দোলনরত কয়েকশত চাকরিপ্রার্থী নারী পুরুষ। প্রথমদিকে শামিয়ানা টাঙানোর অনুমতিও ছিল না। গ্রীষ্মের দাবদাহ উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নীচে তীব্র রোদেই অবস্থান করে আসছিলেন একঝাঁক তরুণ তরুণী। পরবর্তীকালে লালবাজার থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে শামিয়ানা টাঙানো হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, বাসটার্মিনাসের শৌচাগার পয়সা দিয়ে ব্যবহার করতে হয়। নারী-পুরুষের জন্য পৃথক কোনো ব্যবস্থা নেই, এমনই অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
ছবি: Subrata Goswami/DW
মাথা গোঁজার ঠাঁই
রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই অবস্থানে প্রতিদিন সামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা। কেউ কেউ প্রতিদিন যাতায়াত করেন আবার অনেকে এই আন্দোলনের স্বার্থে বাড়িঘর ছেড়ে দিনের পর দিন এখানেই পড়ে আছেন। কোনোদিন আত্নীয়-স্বজন, কোনোদিন বন্ধুর বাড়িতে রাতটুকু থাকেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও
একসঙ্গে দুইটি লড়াই লড়ছেন বীরভূমের সোমা দাস। এসএসসি দুর্নীতির পাশাপাশি ব্লাড ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও তার লড়াই। দ্বিতীয় দফার কেমোথেরাপি সম্পূর্ণ হলেও তৃতীয় দফার কেমো নিতে হতে পারে। এই আন্দোলন চলাকালীন তার চিকিৎসাও চলেছে। সোমবার তাকে সহকারী শিক্ষিকার চাকরি দেয়ার নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর, কিন্তু তিনি তার প্রাপ্য সরকারি চাকরিটি নেবেন ঠিকই, সঙ্গে আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সন্তান হারানো মইদুল
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের প্রেসিডেণ্ট মইদুল ইসলাম। আন্দোলন চলাকালীন সন্তান হারিয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তিনি পুত্রসন্তান লাভ করেন। আন্দোলনের ব্যস্ততায় সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করাতে পারেননি। আট দিনের মাথায় মারা যায় শিশুপুত্রটি। মইদুল এখনো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
হারাতে হলো টিউশন
পিয়ালী সরকারের সামান্য যে কয়টা প্রাইভেট টিউশন ছিল, এই আন্দোলনের ফলে সে সব যেতে বসেছে। বিক্ষোভ দেখানোর জন্য কামাই হয়ে যায় টিউশন। ছাত্রছাত্রীর বাবা-মা রুষ্ট হন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
জুলেখার লড়াই
জুলেখা মণ্ডলের বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে। সেখান থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করা সম্ভব হয় না। পরিচিত কারো বাড়িতে রাতটুকু কাটিয়ে আবার ধরণামঞ্চে ফেরেন। বাবা দর্জির কাজ করতেন, পায়ের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সে কাজও বন্ধ হয়েছে। জুলেখার একার কাঁধে সংসারের দায়িত্ব। রোটেশন পদ্ধতিতে যখন বাড়ি যান, তখন পড়ান। ছাত্র সংখ্যা কমে গেছে আগের থেকে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সাতঘণ্টা ধরে যাতায়াত
অর্পিতা হাজরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় বাড়ি। ধরণামঞ্চে উপস্থিত থাকার জন্য প্রতিদিন সাতঘণ্টা ধরে যাতায়াত করতে হয়। ভোর পাঁচটায় উঠে রান্না করে তারপর আসেন, আবার বাড়ি ফিরে ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে পড়তে বসেন। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে লড়াই করে পড়াশুনো চালিয়েছেন। সারাদিনের কাজকর্ম সেরে সারারাত পড়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন। এখন প্রতিবেশীদের কটাক্ষ শুনতে হয়, সত্যি যদি পাশ করতো নিশ্চয়ই চাকরি পেত”
ছবি: Subrata Goswami/DW
পড়ানো সেরে বিক্ষোভে
হাবড়ার জয়া খাঁ। বাবা মা আর মেয়ে এই তিনজনের পরিবার। বাবা মা দুইজনেই অসুস্থ। সকালে ছাত্র পড়িয়ে বিক্ষোভে যোগ দেন। পাঁচটা পর্যন্ত থাকেন, আবার বাড়ি ফিরে টিউশনি করাতে চলে যান। একটু ভালো খবরের অপেক্ষায় বসে থাকেন বাবা মা।
ছবি: Subrata Goswami/DW
স্বামী-সন্তান নিয়ে
নাজমুন নাহার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। উত্তর চব্বিশ পরগণায় বাড়ি হলেও স্কুল বাঁকুড়ায়। ইনিও এসএসসির মেধাতালিকায় রয়েছেন। গরমের ছুটিতে বাড়ি এসেছেন তাই প্রতিদিন বিক্ষোভে যোগ দেন। স্বামী মাহসুজার রহমান চাকরিপ্রার্থী না হলেও স্ত্রীর লড়াইতে তিনিও সামিল। সন্তান নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত থাকছেন প্রতিদিন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
চাষ অবহেলা করে
তপন কুমার মাহাতো জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রাম সিমলাপাল থেকে ধরণায় এসেছেন। প্রতিদিন যাতায়াত সম্ভব নয় বলে বারুইপুরে অনেকের সঙ্গে থাকেন। গ্রামের বাড়িতে সামান্য কিছু জমি রয়েছে, তাতে চাষবাস চললেও এই আন্দোলনের ফলে তাতে ব্যাঘাত ঘটেছে। বন্ধুদের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তপন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আয়ুষির ক্ষোভ
দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা আয়ুষি দাসের ক্ষোভ, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছের মানুষ হয়ে ফেল করা প্রার্থীরা, এমনকি পরীক্ষা না দেওয়া লোকজনও চাকরি করছে, আর তারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন”
ছবি: Subrata Goswami/DW
অভিযোগ ও বিক্ষোভ
ইংরাজি বিষয়ের চাকরিপ্রার্থী পলাশ মণ্ডল। বললেন, যারা ওয়েটিং লিস্টে থাকল আর যারা এমপ্যানেলড হলো, কেউ জানেনা আসল রহস্যটা কী। পুরোটাই ধোঁয়াশা। যারা পাশ করেছে তারাও জানেনা কত নম্বর পেয়েছে আর যারা ফেল করেও চাকরি করছে তারা জানেনা কত তাদের নম্বর”
ছবি: Subrata Goswami/DW
14 ছবি1 | 14
প্রশ্নটা হলো, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি এইভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন? প্রবীণ সাংবাদিকরা বলছেন, কোনোভাবেই পারেন না। যেমন দীপ্তেন্দ্র রায়চৌধুরী মনে করেন, ''দায় পুরোপুরি সরকারের। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, নিয়োগে বেনিয়ম থাকলে, যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি দিলে মানুষ তো আদালতে যাবেই! আগেও গিয়েছে পরেও যাবে।''
দীপ্তেন্দ্রর মতে,''সরকারকে পুরো প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছ করতে হবে। যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে। দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন। কোনো দায়িত্বশীল সরকার এমন কথা বলবে না। সরকার দায় না এড়িয়ে নিজের কাজ করুক।''
মমতা অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন
প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''চাকরির নিয়োগে বেনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন তো সবেমাত্র শুরু হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তা চলছে। ফলে মমতা অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন পরিস্থিতি ঠিক করে নেয়ার।''
কলকাতায় চাকরির জন্য বিক্ষোভ
কলকাতা হলো বিক্ষোভের শহর। হাজারো দাবি নিয়ে অসংখ্য বিক্ষোভ হয়েছে ও হচ্ছে এখানে। চাকরির দাবিতে সাম্প্রতিক কিছু বিক্ষোভ নিয়ে এই ছবিঘর।
ছবি: Satyajit Shaw,/DW
শিক্ষকের চাকরির দাবিতে
২০১৬ সালে শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন তারা। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগের জন্য চাকরির পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েও চাকরি হয়নি। কম নম্বর যারা পেয়েছে, তাদের চাকরি হয়েছে। তাই কলকাতায় গান্ধীমূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
নারী বিক্ষোভকারী
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই নারী। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে খোলা আকাশের নীচে চলছে তাদের অবস্থান-বিক্ষোভ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শিশুকে সঙ্গে নিয়ে
শিশুকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের বিক্ষোভ। বিক্ষোভস্থলেই শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেন তিনি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিক্ষোভকারীদের দাবি
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে। তারা চাকরি পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন। ভালো নম্বর পেয়েছেন। তাও চাকরি পাননি দুর্নীতির জন্য। তারা সেই চাকরি চান।
ছবি: Satyajit Shaw,/DW
গান্ধী মূর্তির কাছে
গান্ধীজির মূর্তির কাছেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। গান্ধীজির দেখানো অহিংস পথেই তাদের বিক্ষোভ।
ছবি: Satyajit Shaw,/DW
মমতাও করেছিলেন
গান্ধী মূর্তির কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিধানসভা ভোটের আগে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে। তিনি চেয়ারে বসে শুধু ছবি এঁকেছিলেন। এখন তার সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে গান্ধী মূর্তির পাশে বসে।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
পার্শ্ব শিক্ষকদের বিক্ষোভ
দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। কিছুদিন আগে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের বিক্ষোভে চারজন শিক্ষিকা বিষ পর্যন্ত খেয়েছিলেন। সরকার তাদের বেতন বাড়ানোর কথা বললেও, তাদের স্থায়ী নিয়োগের দবি মানেনি। আন্দোলন চলবে বলে জানাচ্ছন তারা। উপরের ছবিটি অতীতে পার্শ্ব শিক্ষকদের বিক্ষোভের।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নার্সদের বিক্ষোভ
সম্প্রতি নার্সদের বিক্ষোভ দেখেছে কলকাতা। বেতন পরিকাঠামো নিয়ে তাদের ক্ষোভ রয়েছে। তাছাড়া সমান কাজের জন্য সমান বেতন, বদলির ক্ষেত্রে অনিয়ম সহ নানা দাবিতে তারা বিক্ষোভ দেখান।
ছবি: Satyajit Shaw,/DW
হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নার্সরা বিক্ষোভ বন্ধ রেখেছেন। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মন্ত্রী ও সচিবরা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছেন। আদালত এক মাস দেখবে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়। ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে। ততদিন বিক্ষোভ বন্ধ রাখতে হবে।
ছবি: Satyajit Shaw,/DW
অপেক্ষায় নার্সরা
নার্সরা এক মাস অপেক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্য সরকার ও হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের জন্য তারা অপেক্ষা করবেন। দরকার হলে পরে আবার রাস্তায় নামবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ছবি: Satyajit Shaw,/DW
10 ছবি1 | 10
শুভাশিসের দাবি, ''মমতার সাবেক মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস বলেছেন, টাকা নিয়ে শিক্ষকের চাকরি দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রীর মেয়েকে যে বেআইনিভাবে চাকরি দেয়া হয়েছিল, সেটাও স্পষ্ট হয়ে গেছে। বাম আমলেও অভিযোগ আসতো। তার জন্য তদন্ত কমিশন বসতো। এখানে তো বিভাগীয় তদন্তও হলো না। তারপর তিনি কী করে এই সব কথা বলেন?''
শুভাশিস জানিয়েছেন, ''সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় ওয়াংচু কমিশন করেছিলেন। তারপর দুইজন মন্ত্রীর চাকরি গেছিল। বাম আমলে একাধিক কমিশন হয়েছে। মমতা ক্ষমতায় আসার পর বাম আমলের ঘটনা নিয়ে কমিশন করেছেন। কিন্তু নিজের আমলের অভিযোগ নিয়ে কোনো তদন্ত হয় না।''
তার মতে, ''আসলে দুর্নীতির সঙ্গে ভোট পাওয়ার সম্পর্ক এখন আর নেই। তাই মমতা ভোট পেয়ে যাচ্ছেন বলে এই সবের তোয়াক্কা করছেন না।''
একইভাবে চলছে
প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্তর বক্তব্য, ''কেন্দ্রে মোদী এবং রাজ্যে মমতা, চাকরির কথা উঠলেই সব দায় বিরোধীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। সম্প্রতি অগ্নিপথ নিয়ে মোদী এটাই করেছেন। এখন রাজ্যে শিক্ষকের চাকরি নিয়ে মমতাও তাই করছেন। এটা হলো ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা। আর কিছু নয়। দুর্নীতির বড় অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা।''