করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাত ছাড়া আর কোনো সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হয়নি৷ বেসরকারি খাতে তো উল্টো চাকরি যাচ্ছে অনেকের৷ ফলে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে হতাশা৷
বিজ্ঞাপন
তরুণদের কাছে এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় চাকরি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়া৷ এ বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে ৪১ তম বিসিএস-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু করোনার কারণে তা আটকে যায়৷ চাকরি প্রার্থী তরুণদের বড় একটি অংশ এই বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন৷ কিন্তু পরীক্ষা আটকে যাওয়ায় তারা এখন হতাশ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র নূর আলম অনার্স শেষ করেই সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন৷ তিনিও এখন হতাশ৷ তার কথা, ‘‘আমাদের এই সময়ে দৌড়ের মধ্যে থাকার কথা৷ কিন্তু এখন হল ছেড়ে বাড়িতে বসে ঝিমুচ্ছি৷ আমদের বন্ধুদেরও একই অবস্থা৷’’
কিন্তু এখন হল ছেড়ে বাড়িতে বসে ঝিমুচ্ছি: নূর আলম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মাস্টার্সের আরেক ছাত্র মীর আরশাদুল হক বলেন, ‘‘এখন তো বেসরকারি চাকরিও নেই৷ পড়াশুনাও বন্ধ৷ কোনো কাজ পাচ্ছি না৷ তাই বাড়িতে বসে আছি৷ পরিবারে হতাশা৷ আর সেই হতাশা আমার নিজের মধ্যেও৷ কবে যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে কেউ বলতে পারছে না৷’’
এদিকে করোনার আগে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো দেয়া হয়েছিল সেগুলোও এখন স্থগিত আছে৷ বিশেষ করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে করোনাকালে নতুন করে কোনো নিয়োগ হয়নি৷ আর বিসিএস-এর বাইরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নিয়োগও বন্ধ রয়েছে৷ বিশেষ করে পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর পদে বড় একটি নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল তা-ও বন্ধ৷ বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিয়োগ বন্ধ আছে৷
তবে জুন মাসে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে৷ তাতে ২২০৪ জন বিভিন্ন ক্যাডারের জন্য মনোনীত হন৷ এছাড়া গত জুলাই মাসে ৩৮ তম বিসিএস নন ক্যাডার পদের জন্য অনলাইনে আবেদন চাওয়া হয়েছে৷ ৩৯ তম বিশেষ বিসিএস থেকে করোনার মধ্যে ২০০০ চিকিৎসককে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷
৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য চার লাখ ১২ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন দুই হাজার ১৩৫ পদের বিপরীতে৷ ৪০ তম বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষার ফল আটকে আছে৷ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হবে না৷
শিক্ষিতদের এক-তৃতীয়াংশ বেকার
সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস-এর গবেষণা বলছে, এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ পুরোপুরি বেকার৷ গত ডিসেম্বরে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়৷ ছবিগুলো ফাইল থেকে নেয়া৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Z. H. Chowdhury
শিক্ষিতদের এক-তৃতীয়াংশ বেকার
সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা সংস্থা ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ বা বিআইডিএস-এর গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার ফল বলছে, দেশে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ (৩৩.১৯ শতাংশ) পুরোপুরি বেকার৷ ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ১৫ হাজার ২৫ জন শিক্ষিত তরুণ ফেসবুক ও ইমেলের মাধ্যমে এই জরিপে অংশ নেন৷
ছবি: Sawpan Chandra Dash
কতদিন ধরে বেকার?
জরিপ বলছে, শিক্ষাজীবন শেষে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত বেকার ছিলেন ১১.৬৭ শতাংশ, দুই বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে বেকার ১৮.০৫ শতাংশ এবং ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বেকার ১৯.৫৪ শতাংশ৷
ছবি: Sawpan Chandra Dash
সবচেয়ে বেশি বেকার স্নাতকেরা
গবেষণা বলছে, প্রায় ৩৬.৬ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার৷ স্নাতকোত্তরদের মধ্যে এই হার ৩৪.৩ শতাংশ৷ আর এসএসসি ও এইচএসসি পাস করাদের মধ্যে বেকারত্বের হার যথাক্রমে ২৬.৭৯ ও ২৭.৯৫ শতাংশ৷
ছবি: Bangla Tribune
চাকরির জন্য অপেক্ষা
গবেষণা বলছে, পড়াশোনা শেষ করার ছয় মাসের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন অর্ধেক তরুণ (৫০.৭৪)৷ ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩১ শতাংশকে৷ আর ১৮ শতাংশ তরুণকে দুই বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে৷
ছবি: Abdur Razzaque
দুইবছর পরও বেকার
মাস্টার্স পাস করার দুই বছর পরও বেকার ছিলেন ১৯.২১ শতাংশ৷ অনার্সের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৮.৭৩ শতাংশ৷
ছবি: DW/A. Khanom
প্রথম শ্রেণি পাওয়াদের বেকারত্ব
অনার্সে প্রথম শ্রেণি পাওয়াদের ১৭.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই বছরেরও বেশি সময় কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন৷ মাস্টার্সের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি আরও বেশি, ২৬.৮ শতাংশ!
ছবি: Sawpan Chandra Dash
উচ্চ বেতন
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা মাস্টার্স পাস করেছেন তাদের ২৮.৭৫ শতাংশের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকার উপরে৷ আর অনার্স ডিগ্রিধারীদের ১৮.২ শতাংশ মাসে ৪০ হাজারের বেশি বেতন পান৷ অর্থাৎ মাস্টার্স করলে বেশি বেতনে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Z. H. Chowdhury
কম বেতন
মাস্টার্স পাস করে মাসিক ১০ হাজার টাকার নীচে বেতনে চাকরি করছেন ৫.৯২ জন৷ আর ১১.৪৩ শতাংশ অনার্স ডিগ্রিধারীর বেতন মাসে ১০ হাজার বা তার চেয়ে কম৷
ছবি: DW/H.U.R Swapan
8 ছবি1 | 8
বাংলাদেশে ৯০ লাখ মানুষ আনুষ্ঠানিক খাতে চাকরি করেন৷ এর মধ্যে ১৫ লাখ সরকারি খাতে, বাকি ৭৫ লাখ বেসরকারি খাতে৷ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন ছয় কোটি ৮ লাখ মানুষ৷
বাংলাদেশে প্রতি বছর চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন ২৫ লাখ তরুণ৷ তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ লাখ তরুণের চাকরির সংস্থান হয়, বাকিরা বেকার থাকেন৷
বাংলাদেশের সরকারি খাত সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থানে সক্ষম৷ বাকি ৯৬ শতাংশ এখনো বেসরকারি, ব্যক্তিমালিকানা বা আত্মকর্মসংস্থানে জড়িত৷
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানে সরকারি খাতে চাকরি আছে মাত্র ৩.৮ ভাগ, বেসরকারি খাতে ১৪.২ ভাগ, ব্যক্তি খাতে ৬০.৯ ভাগ এবং অন্যান্য খাতে ২১.১ ভাগ৷
বাংলাদেশ ইন্সটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ (বিআইডিএস) অনলাইনে ৫ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯০৯ জনের ওপর একটি জরিপ চালায়৷জরিপে অংশ নেয়া ১৩ শতাংশ মানুষ ফর্মাল সেক্টরে কাজ করতেন, তবে তারা জানান, তারা চাকরি হারিয়েছেন৷
এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে নিয়োগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল৷ এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ ছিল৷ তবে এখন খুব স্বল্প পরিসরে নিয়োগ শুরু হয়েছে ৷ বিডি জবস-এর প্রধান নির্বাহী একেএম ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘‘এই নিয়োগও হচ্ছে লার্জ স্কেল কোম্পানিতে৷ এসএমই খাত আসলে নতুন নিয়োগ এখনো শুরু করতে পারেনি৷ কারণ, তাদের ব্যবসা বসে গেছে৷’’
এসএমই খাত আসলে নতুন নিয়োগ এখনো শুরু করতে পারেনি: ফাহিম মাশরুর
কিছু নিয়োগ হচ্ছে কোম্পানির স্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে৷ আরেকটি অংশ হলো করোনার সময় যার চাকরি হারিয়েছেন বা গ্রামে গিয়ে আর ফেরেননি তাদের জায়গায়৷ আর নতুন কাজ তৈরি হওয়ার যে আশা করা হয়েছিল তা হয়নি৷ সার্ভিস সেক্টরে ডেলিভারি ম্যানের মতো কিছু নতুন কাজের সুযোগ হয়েছে৷ মাশরুর বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে৷ তবে উন্নতি হচ্ছে৷ স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা প্রতিদিন গড়ে ৩০০ চাকরির বিজ্ঞাপন পেতাম, এখন তা অনেক কম৷’’
তবে আগামীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ কতটা বাড়বে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ আছে৷ কারণ, উৎপাদনের ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে৷ সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘‘কম জনশক্তি দিয়ে কতটা সক্ষমভাবে উৎপাদন করা যায় তার একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও আগের মতো কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে৷’’
এই করোনায় একমাত্র কৃষি খাতই সক্ষমতার সাথে টিকে আছে৷ এই খাতটিকে করোনা দুর্বল করতে পারেনি বলে জানান ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক এ কে এম মোরশেদ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশের বেকার সমস্যাকে করোনা আরো তীব্র করেছে৷ ছয় মাস তো অর্থনীতিই অচল হয়ে পড়েছিল৷ তবে এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে৷’’
চাকরি থেকে অবসরের বয়স কোথায় কেমন
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)-র সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে নারীদের চাকরি থেকে অবসরের গড় বয়স ৬৪ বছর ৩ মাস এবং পুরুষদের ৬৩ বছর ৭ মাস৷ দেখে নিন কোন দেশে অবসরের সর্বোচ্চ বয়স কত৷
ছবি: Anja Kueppers
ভারত
ভারতে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬০ বছর৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ক্ষেত্রে তা পাঁচ বছর বেশি, অর্থাৎ ৬৫ বছর৷
ছবি: DW/P. Tiwari
চীন
চীনে নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে বৈষম্য স্পষ্ট৷ সেখানে নারীরা সর্বোচ্চ ৫০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন, তবে পুরুষদের ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Hong
জাপান
১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাপানের চাকরি থেকে অবসরের সর্বোচ্চ বয়স ছিল ৫৫৷ তবে ১৯৯৮ সালে তা বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়৷ তারপর থেকে অবসরের বয়সসীমা ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে৷ এখন যে কেউ ৬২ বছর ৭ মাস পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন৷ ২০২৫ সালের মধ্যে তা বেড়ে ৬৫ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E.K.Brown
রাশিয়া
রাশিয়াতেও নারী আর পুরুষের চাকরি থেকে অবসরের বয়স এক নয়৷ নারীদের ৫৫ আর পুরুষদের ৬০ বছর৷
ছবি: picture alliance/Zumapress
ব্রিটেন
ব্রিটেনেও এক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি৷ পুরুষদের চাকরি থেকে অবসর নেয়ার বয়স ৬৫ বছর আর নারীদের ৬০ বছর৷ তবে ২০২০ সালের মধ্যে নারী-পুরুষের জন্য অভিন্ন বয়স নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের৷
ছবি: Anja Kueppers
নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেন
এই দেশগুলোতে অবসর নেয়ার বয়স ৬৫ থেকে ৬৬ বছরের মধ্যে৷ জার্মানিতে চাইলে ৬৫ বছরের আগেও অবসর নেয়া যায়, তবে পেনশন পাওয়া যায় ৬৫ বছরের পর থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Wolf
সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকদের অবসর নেয়ার সর্বোচ্চ বয়স মাত্র ৪৯ বছর৷ তবে বিদেশিরা স্বাভাবিক অবস্থায় ৬০ বছর এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Emirates News Agency
লিবিয়া
২০১৭ সালে অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করা হয়৷ তবে চাইলে বয়স ৬৫ হলেও অবসর নেয়া যায়৷
ছবি: Getty Images/D. McNew
আইসল্যান্ড, নরওয়ে
এই দু’টো দেশে অবসরের সর্বোচ্চ বয়স ৬৭৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Scanpix Denmark
অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম
এই দুই দেশে অবসরের বয়স এখন সাড়ে ৬৫ বছর৷ তবে ২০২৩ সালে তা ৬৭ বছর করা হবে৷ তারপর থেকে বছরে ছয় মাস করে বাড়িয়ে ২০৩৫ সালে অবসরের বয়স ৭০ করার কথা ভাবছে সরকার৷
ছবি: Imago/robertharding
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে অবসরের গড় বয়স ৬৬ বছর৷ সাধারণভাবে বয়সসীমা ৬৫ নির্ধারণ করেছে সরকার৷ তবে যাঁদের জন্ম ১৯৩৮ সাল বা তার পরে, তাঁরা ৬৫ বছরের পরেও চাকরির মেয়াদ বাড়াতে পারেন৷ ১৯৫৯ সালের পরে জন্ম নেয়া ব্যক্তিদের ৬৭ বছর পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ রয়েছে৷