1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপের মুখে রাশিয়া ও গ্রিস

২৯ জানুয়ারি ২০১৫

ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুটিনকে চিঠি লিখেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো৷ একই প্রশ্নে রাশিয়াকে আরো কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধের হুমকি দিয়েছে ইইউ৷ তবে গ্রিস সমর্থন না দেয়ায় ক্ষুব্ধ তারা৷

Beschuss von Mariupol in der Ostukraine 24.01.2015
ছবি: picture-alliance/dpa/D.Bodrov/TASS

ইউক্রেনে চলমান সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫,১০০ জন মারা গেছে৷ এক রকেট হামলায় গত সপ্তাহান্তেও মারিউপোলে মারা গেছে ৩১ জন৷ ইউক্রেন সংকটের নিরসন হচ্ছে না৷ মৃত্যু, অর্থনৈতিক ক্ষতিও হ্রাস পাচ্ছে না৷ এবং এ সবের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী মনে করে ইউক্রেন সরকার এবং তার মিত্ররা৷ রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সমর্থনেই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনে সহিংসতা চালাচ্ছে – এ অভিযোগ আছে শুরু থেকেই৷ তখন থেকেই অভিযোগটি অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া৷ দেশটির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করা হয়েছে৷ তারপরও অনড় ভ্লাদিমির পুটিনের সরকার৷

গ্রিসের নির্বাচনের পর উল্লাস...ছবি: Reuters/A. Konstantinidis

সর্বশেষ উদ্যোগ হিসেবে পুটিনকে একটি চিঠি লিখেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো৷ তাতে গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন এবং ‘রুশ-পন্থি' বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি কার্যকর করার জন্য পুটিনকে ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়৷ সঙ্গে ইউক্রেনের পাইলট নাদিয়া সাভচেঙ্কোকে মুক্তি দেয়ার অনুরোধও জানানো হয় চিঠিতে৷ গত জুনে এক বিমান হামলায় রাশিয়ার দু'জন সাংবাদিক নিহত হন৷ সেই হামলায় নাদিয়া জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ ইউক্রেনের বিদ্রোহীরা নাদিয়াকে অপহরণ করে রাশিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

এখনো পোরোশেঙ্কোর চিঠির জবাব দেননি পুটিন৷ এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়াও জানাননি৷ এদিকে মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন ঠিক সেভাবে যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে ইউক্রেনে যুদ্ধরত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণ না করলে রাশিয়ার ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে৷

ইইউ-র বিবৃতি নিয়েও জন্ম দিয়েছে বিতর্ক৷ যৌথ বিবৃতিতে গ্রিস এবং সাইপ্রাস সরাসরি সম্মতি দেয়নি৷ ইইউ স্বভাবতই ক্ষুব্ধ৷ ইইউ পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুল্জ এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, এর ফলে গ্রিস ইইউ-তে থেকেও প্রকারান্তরে রাশিয়ার পাশে দাঁড়াল৷ জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল জেডডিএফ-কে তিনি বলেন, ‘‘খুব হতাশা নিয়ে লক্ষ্য করলাম, রাশিয়া প্রশ্নে ইইউ-এর সম্মিলিত অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াল গ্রিস৷'' গ্রিসের নতুন বামপন্থি প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘মি. সিপ্রাসের মতো একদিকে আপনি ইইউকে বলবেন আপনার দেশের প্রতি সংহতি জানাতে, অন্যদিকে প্রথমেই ইইউ-র সম্মিলিত অবস্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন – এটা মেনে নেয়া যায়না৷'' বৃহস্পতিবার গ্রিসে যাবেন শুল্জ৷ সিপ্রাসের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তাঁর৷

এসিবি/ডিজি (ডিজিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ