1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন আবার ইউরোপমুখী

১৩ ডিসেম্বর ২০১৩

প্রবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে ইউক্রেনের সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তির পথে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ অন্যদিকে রাশিয়া চাপ বজায় রেখেও রাজনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিচ্ছে৷

ছবি: Viktor Drachev/AFP/Getty Images

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি, নাকি রাশিয়ার নেতৃত্বে শুল্ক ইউনিয়নের – এই দুই বিকল্পের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে ইউক্রেনকে৷ ইইউ-র সঙ্গে চুক্তি থেকে শেষ মুহূর্তে সরে এসে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ৷ কিন্তু ইউক্রেনে সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কিছুটা হলেও ফল দেখা যাচ্ছে৷ ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা ক্যাথরিন অ্যাশটন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ইয়ানুকোভিচ ইইউ-র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে রাজি হয়েছেন৷ তবে এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ স্থির হয় নি৷ বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা আলোচনার জন্য ব্রাসেলস সফর শুরু করেছেন৷

উল্লেখ্য, চুক্তি থেকে ইউক্রেনের সরকার পিছিয়ে এলেও ইইউ আলোচনার পথ খোলা রেখেছিলো৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য চুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে নিজের দেশে কোটি কোটি ইউরো-র বিনিয়োগের জন্য চাপ দিচ্ছেন৷ তাঁর যুক্তি হলো, ইইউ-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পরিণাম হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য কমে গেলে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে৷ আপাতত দেশকে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণের চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ জার্মানি অবশ্য এমন পূর্বশর্তের বিরোধিতা করছে৷ অ্যাশটন আলোচনার পথ খোলা রেখেও ইউক্রেনের সরকারের উদ্দেশে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার স্পষ্ট পরিকল্পনা পেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷

কূটনৈতিক স্তরে কিছু অগ্রগতি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা এখনই পিছিয়ে আসতে প্রস্তুত নয়ছবি: DW/R. Goncharenko

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন অবশ্য ইউক্রেনের উপর থেকে চাপ কমাতে প্রস্তুত নন৷ তিনি আবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে ইউক্রেন-কে তিনি শুল্ক ইউনিয়নে দেখতে চান৷ তবে তিনি এক রাজনৈতিক সমাধান দেখতে চান বলে জানিয়েছেন৷

এদিকে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, যে ইউক্রেনের সরকার বিক্ষোভকারীদের দমন করতে সেনাবাহিনীকে কাজে না লাগানোর আশ্বাস দিয়েছে৷ দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা টেলিফোনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন৷

কূটনৈতিক স্তরে কিছু অগ্রগতি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা এখনই পিছিয়ে আসতে প্রস্তুত নয়৷ সরকারের তরফ থেকে আলোচনার প্রস্তাব সত্ত্বেও বিরোধী নেতা ভিটালি ক্লিচকো আগামী কয়েক দিনেও আরও বেশি মানুষকে দলে দলে বিক্ষোভে যোগ দেবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, অ্যামেরিকা ইউক্রেনের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে৷

এসবি / জেডএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ