চার ইইউ দেশের সঙ্গে তুরস্কের গ্যাস পাইপলাইন চুক্তি
১৩ জুলাই ২০০৯
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পাইপলাইনটির মাধ্যমে রাশিয়াকে পাশ কাটিয়ে তুরস্ক ও বলকান অঞ্চলের মধ্য দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হবে অস্ট্রিয়ায়৷
সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সেদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও রুমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীরা পাইপলাইন চুক্তিতে সই করেন৷ আশা করা হচ্ছে, এর ফলে গ্যাসের জন্য ইউরোপের রুশ নির্ভরতা কমবে৷ এদিকে চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তুরস্ক মনে করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে মুসলিম প্রধান দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নে অর্ন্তভূক্তির পথ প্রশস্ত হবে৷
দীর্ঘ বিলম্বিত নাবুকো নামের পাইপলাইনটি দিয়ে কাস্পিয়ান সাগর ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে গ্যাস নিয়ে যাওয়া হবে অস্ট্রিয়ায়৷তিন হাজার তিনশ কিলোমিটার দীর্ঘ সরবরাহ লাইনটি ২০১৪ সালে চালু হবে বলে প্রত্যাশা সবার৷ তিন হাজার একশ কোটি ঘনমিটার গ্যাস পাম্প করার ক্ষমতা সম্পন্ন লাইনটির জন্য সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় আট হাজার কোটি ইউরো৷ সব ঠিক হলেও কোন্ দেশ থেকে গ্যাস নেওয়া হবে তা চূড়ান্ত হয়নি এখনো৷ যদিও ইতোমধ্যে ইরাক, মিশর ও সিরিয়া এ প্রকল্পে গ্যাস সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, আজারবাইজান হতে পারে গ্যাসের প্রাথমিক উৎস৷ তা সত্ত্বেও এই পাইপলাইন ইউরোপের বাড়তি চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে পারবে না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা৷
সোমবার সম্পাদিত চুক্তিতে গ্যাস পাইপলাইন বসাতে সম্মত এই দেশগুলোর প্রতিশ্রুত পরিবহণ ও কর বিষয়ক খুঁটিনাটি অর্ন্তভুক্ত ছিল৷ কিন্তু আলোচিত প্রকল্পে সরবরাহ ও অর্থায়নের বিষয় এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে৷
প্রকল্পটির জোরদার সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই একে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, কাস্পিয়ান এলাকা থেকে ইউরোপে গ্যাস নিয়ে যাওয়ার সম্মিলিত স্বপ্ন পূরণের পথে এটি একটি মাইলফলক৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ইয়ান কেলি এক বিবৃতিতে অবশ্য বলেন, সামনে আরো কঠিন কাজ রয়ে গেছে৷
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তাইয়িপ এরদোয়ান বলেন, ইইউর জ্বালানি নীতিতে তাঁর দেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার৷ শুধু জ্বালানির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলেও তাদের ইইউ এর সদস্য হওয়া উচিত৷
চুক্তি হলেও রাশিয়ার পাল্টা পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক দর কষাকষিতে নাবুকো সত্যিই বাস্তবায়িত হবে কিনা তার দিকেই তাকিয়ে আছে সবাই৷
প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক