1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চার পুরসভায় তৃণমূলের বিপুল জয়

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগর পুরসভা জিতে নিল তৃণমূল। বিরোধীরা কোনো পুরসভাতেই তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেনি।

বিধাননগরে তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস। ছবি: Subrata Goswami/DW

বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও আসালসোল পুরসভায় ভোট হয়েছিল শনিবার। সোমবার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল, চারটিতেই তৃণমূল বিপুলভাবে জিতেছে। এর মধ্যে বিধাননগর ও চন্দননগর মিলিয়ে তিনটি আসনে বিরোধীরা জিতেছে। শিলিগুড়িতে তুলনামূলকভাবে বিরোধীরা ভালো ফল করেছে। আসানসোলেও তারা কিছু আসনে জিতেছে। কিন্তু কোনো পুরসভাতেই তৃণমূলকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারেনি তারা। 

বিধাননগরে ৪১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে ৩৯টিতে এবং কংগ্রেস ও নির্দল একটিতে। আসানসোলের ১০৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৮০টিতে এগিয়ে এবং বিজেপি সাতটিতে এগিয়ে। বামেরা তিন ও কংগ্রেস দুইটি আসনে এগিয়ে আছে।  চন্দননগরে ৩৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে ৩০টিতে, বামেরা একটিতে এগিয়ে। শিলিগুড়িতে ৪৭টি আসন আছে। তৃণমূল ৩৭টি, বিজেপি পাঁচটি, বামেরা চারটি ও কংগ্রেস একটি আসনে এগিয়ে আছে। 

জয়ের পর তৃণমূল কর্মীর উচ্ছ্বাস। ছবি: Subrata Goswami/DW

বিধাননগর ও চন্দননগরে তৃণমূল বিপুলভাবে এগিয়ে গেছে। বিরোধীদের অবস্থা খুবই খারাপ। শিলিগুড়ি ও আসানসোলে তাও বিরোধীরা ওই দুই পুরসভার তুলনায় কিছুটা বালো ফল করেছে। কিন্তু তারা তৃণমূলের ধারেকাছে আসতে পারেনি। 

শিলিগুড়িতে হেরে গেছেন সিপিএমের সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তবে আসানসোলে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী জিতেছেন। হারের পর বিরোধী নেতারা ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেছেন। 

ভোটের দিন বিধাননগর ও আসানসোলে ব্যাপক গোলমাল ও ভোট-চুরির অভিযোগ উঠেছিল। বিধাননগরে সাংবাদিকদের মারধর করা হয়েছিল। তবে শিলিগুড়িতে এরকম কোনো অভিযোগ ওঠেনি। অশোক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, শিলিগুড়িতে ভোট শান্তিতে  হয়েছে। 

বিজেপি-র সাবেক রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বিধাননগরে প্রবলভাবে ভোট-চুরি করেছে তৃণমূল। তাই প্রত্যাশিত ফলাফল হবে না। পুরভোটে হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনও জানিয়েছে বিজেপি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেছেন। 

জেতার পর তৃণমূল সমর্থদের নাচ। ছবি: Subrata Goswami/DW

রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক বলেছেন, আসানসোলে তারা বিপুলভাবে জিতবেন। বিরোধীরা নেই বললেই চলে।

কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকার বলেছেন, শিলিগুড়িতে বাম ও কংগ্রেস জোট হয়নি। এর জন্য সিপিএমের মনোভাবই দায়ী। দুই দল জোট করে লড়লে অনেক ভালো ফল হতো।

মমতার প্রতিক্রিয়া

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, ''উত্তরবঙ্গের জন্য বিজেপি কিছুই করেনি। তারই প্রভাব ভোটে পড়েছে। এই ভোটের পর আমাদের আরো নম্র হতে হবে। মেয়র কে হবেন, তা দলের মধ্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। তবে গৌতম দেব শিলিগুড়ির মেয়র হবে। বাকি তিনজনের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।''

বিধাননগরে তৃণমূল কর্মীদের বিজয়োৎসব। ছবি: Subrata Goswami/DW

মমতার অভিযোগ, ''বিজেপি, বাম, কংগ্রেসের মধ্যে আঁতাত হয়েছে। জগাই-মাধাই-গদাই এক হয়েছে।'' 

মমতা এটাও বলেছেন, তিনি উত্তরপ্রদেশে গেছিলেন। সেখানে সমাজবাদী পার্টি জিতবে। প্রথম পর্বে তারা ৩৭টি আসন পাবে বলেও মমতা জানিয়েছেন। 

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এবিপি আনন্দ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ