বৃহস্পতিবার নাসা থেকে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ফ্যালকন নাইন রকেট। চার মহাকাশচারী আছেন ওই রকেটে।
বিজ্ঞাপন
গত মাসের শেষেই মহাকাশে যাওয়ার কথা ছিল ফ্যালকন নাইন রকেটের। একাধিক সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণের সময় প্রায় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার তার সফল উৎক্ষেপণ হয়। ২২ ঘণ্টা যাত্রা করে মহাকাশযানটি স্পেস স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে। মহাকাশচারীরা সেখানে গবেষণা চালাবেন। স্পেস এক্সের উদ্যোগে মহাকাশযানটিকে স্পেস স্টেশনে পাঠানো সম্ভব হলো।
মহাকাশযানে চার মহাকাশচারী আছেন। তাদের মধ্যে একজন জার্মান। তিনি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির কর্মী। ৫১ বছরের ম্যাথিয়াস মৌরার এই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাকি তিনজনই নাসার। ফ্লাইট কম্যান্ডার রাজা চারির বয়স ৪৪। মিশন পাইলট ৬১ বছরের টম মার্শবার্ন, মিশন স্পেশালিস্ট ৩৪ বছরের কায়লা ব্যারন। আগামী বেশ কিছুদিন তারা স্পেস স্টেশনে বসে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করবেন।
মহাকাশ ঘুরে এলেন স্টার ট্রেকের উইলিয়াম শ্যাটনার
স্টার ট্রেক সিরিজের এই বিখ্যাত অভিনেতা সম্প্রতি পর্যটনের জন্য পাড়ি দিলন মহাকাশে৷ ছবিঘরে থাকছে বিস্তারিত৷
ছবি: imago images/Cover-Images
নিউ শেপার্ডের যাত্রী যারা
ব্লু অরিজিন সংস্থার রকেটে চেপে মহাকাশের দিকে রওয়ানা দিলেন চার যাত্রী৷ স্টার ট্রেক সিরিজের অভিনেতা উইলিয়াম শ্যাটনারের সাথে রয়েছেন ব্লু অরিজিন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট অড্রি পাওয়ার্স, প্ল্যানেট ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস বশুইজেন ও মেডিডেটা সলিউশানস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা গ্লেন ডে ভ্রিস৷ নিউ শেপার্ড বা এনএস-১৮ রকেটে চেপে তারা উড়ে যান বুধবার৷
ছবি: Cover-Images/imago images
রকেটটি যেমন
ছবিতে দেখা যাচ্ছে ব্লু অরিজিনের নিউ শেপার্ড রকেটের প্রতিরূপ৷ টেক্সাসের ভ্যান হর্ন অঞ্চল থেকে এমন রকেটেই উড়লেন ৯০ বছর বয়েসি উইলিয়াম শ্যাটনার ও বাকি তিন যাত্রী৷
ছবি: Mario Tama/Getty Images
রকেটের পেছনে যিনি
এই রকেটটির এটি দ্বিতীয় যাত্রা৷ আমাজন সংস্থার প্রধান জেফ বেজোস, যিনি একাধারে ব্লু অরিজিনেরও পৃষ্ঠপোষক, তিন মাস আগেই এই রকেটে চেপে মহাকাশ ঘুরে আসেন৷ আগামী যাত্রার জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে টিকিট বিক্রি, যা থেকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন বেজোস৷ তবে বুধবারের রকেটের টিকিটের দাম জানা না গেলেও শ্যাটনার ছিলেন এই যাত্রায় আমন্ত্রিত অতিথি৷
ছবি: Patrick T. Fallon/AFP
৯০ বছরে মহাকাশে
উইলিয়াম শ্যাটনার বুধবার মহাকাশের উদ্দেশ্যে উড়ে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করলেন৷ ১০ মিনিট দীর্ঘ এই যাত্রা সম্পন্ন করে শ্যাটনার বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহাকাশ যাত্রী হলেন৷
ছবি: Blue Origin/REUTERS
সাব-অরবিটাল পর্যটন কী?
সাব-অরবিটাল মহাকাশ যাত্রায় কোনো রকেট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে বেরিয়ে মহাকাশে ভেসে থাকার বদলে কিছু দূর গিয়ে আবার পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের টানে ফিরে আসে৷ সাধারণ রকেটের মতো তা মহাকাশে ভেসে থাকে না বা নিজের অক্ষপথে থাকে না৷ এই ধরনের রকেট বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে স্পেস ট্যুরিজম বা মহাকাশ পর্যটনে, যার আওতায় রয়েছে এনএস-১৮ রকেটটিও৷
ছবি: Mike Blake/REUTERS
যেমন অনুভূতি হলো শ্যাটনারের
দশ মিনিটের এই ট্যুরে শ্যাটনার অনুভব করলেন মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণহীন ভেসে থাকার মুহূর্ত৷ উত্তেজিত শ্যাটনার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই অনুভূতি থেকে আমি কোনো দিন বেরোতে চাই না৷ আমি খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি৷ জীবন আর মৃত্যু যে কতটা আকস্মিক, তা উপলব্ধি করলাম৷ এক কথায় অসাধারণ! সব মানুষের এই দৃশ্য দেখা উচিত৷’’
ছবি: Blue Origin/REUTERS
6 ছবি1 | 6
পৃথিবী থেকে চারশ কিলোমিটার দূরে মহাকাশে আছে নাসার স্পেস স্পেস স্টেশন। এখন সেখানে তিনজন মহাকাশচারী আছেন। বিবিধ বিষয় নিয়ে তারা গত প্রায় এক বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন নতুন চার সদস্য।
গত ৩১ অক্টোবর ফ্যালকন নাইনের মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা সম্ভব হয়নি। দলের এক সদস্যের শরীর খারাপ হয়েছিল বলেও জানা গেছে। তবে কে অসুস্থ হয়েছিলেন, তার কী হয়েছিল তা জানায়নি স্পেস এক্স এবং নাসা। বস্তুত, নাসার সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট মডেলে কাজ করে স্পেস এক্স। বৃহস্পতিবারের সফল উৎক্ষেপণ স্পেস এক্সের মুকুটে নতুন পালক।