প্রায় ‘ড্র্যাকুলা' কায়দায় উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ ইটালির জর্জো কিয়েলিনিকে কামড় দিয়েছিলেন এই সেদিন৷ সুয়ারেজের সেই কামড়ে এ ক’দিন পাগল ছিল দুনিয়া৷ আর বৃহস্পতিবার তাঁকে চার মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করলো ফিফা৷
বিজ্ঞাপন
কামড়ের ঘটনাটা সাইকোলজিক্যাল না প্যাথোলজিক্যাল, তা নিয়ে আলোচনায় যেতে চাননি জার্মান টেলিভিশনের ফুটবল বিশারদ অলিভার কান, যাঁকে বিশ্বের চিরকালের সেরা গোলকিপারদের মধ্যে গণ্য করা হয়৷ তবে তিনি আলোচনায় না গেলেও, আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফা এবার সুয়ারেজকে চার মাস বা অন্যভাবে বলতে গেলে নয়টি খেলা থেকে নিষিদ্ধ করেছে৷ অর্থাৎ বিশ্বকাপ থেকে এবারের জন্য একেবারে বাদ উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার৷
অলিভার কানের বক্তব্য
রিও ডি জানেরোর এক হোটেলের ছাদে জার্মানির অন্যতম টেলিভশন চ্যানেল জেডডিএফ-এর খোলা স্টুডিও-য় দাঁড়িয়ে অলিভার কান কথা বলতে চাইছিলেন যে বিষয়টি নিয়ে, সেটি হলো: ইউরোপীয় ফুটবলের দৈন্যদশা৷ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর আগেই স্পেন, ইংল্যান্ড ও ইটালির মতো নক্ষত্র খসে গেল৷ নেদারল্যান্ডসের সাফল্যে জার্মানরা সুখি, কেননা ওলন্দাজ বলতে এ দেশের মানুষ আরিয়েন রবেনকেই বোঝেন, যেমন ফ্রান্স বলতে ফ্রাংক রিবেরিকে বোঝায়৷ রবেন-রিবেরি আবার বায়ার্ন মিউনিখে খেলেন কিনা৷ আর জার্মান কোচ অটো রেহাগেল গ্রিক দলের দায়িত্বে থাকাকালীন গ্রিস ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে৷ সে যাবৎ জার্মানরা গ্রিসকেও মোটামুটি সমর্থন করে থাকেন৷
মোট কথা, ফুটবলে নিজের দেশকে সমর্থন করাটা যেমন স্বাভাবিক, তেমন পরের দেশের সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয়ে উত্তেজিত অথবা বিচলিত হওয়াটা নির্ভর করে ইতিহাস, ভুগোল ও নেচার স্টাডির ওপর – ঠিক যেন ইউরোভিশন সং কনটেস্টে ভোট দেওয়া! সেই ভোটদানের পেছনে যে সব ভালো লাগা, খারাপ লাগা থাকে, তার সঙ্গে গান গাওয়া কিংবা পপ সংগীতের যে কতটা সম্পর্কে, তা বলা মুশকিল৷ ঠিক সেইভাবেই, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যাঁরা এই বিশ্বকাপ নিয়ে মেতেছেন – ফেসবুকে, টুইটারে কিচিমিচির চোটে কান পাতা যাচ্ছে না – তাঁদের কতজন যে ফুটবলের ভূত-ভবিষ্যৎ নিয়ে আগ্রহী, আর কতজন ‘টোয়াইলাইট' কিংবা ‘টোয়াইলাইট'-এর প্রপিতামহ ‘ড্র্যাকুলা'-র কায়দায় উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ ইটালির জর্জো কিয়েলিনিকে কামড় দেওয়ার ফলে এক নতুন মজা, এক নতুন হুজুগে পেয়েছেন, তা বলা শক্ত৷
ফুটবল ভক্তদের নতুন উপাসনালয়
এবার বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্য যে স্টেডিয়ামগুলো তৈরি করা হয়েছে, তার পেছনে খরচ হয়েছে ব্রাজিলের প্রায় তিনশো কোটি ইউরো৷ এতে কিন্তু ব্রাজিলিয়ানরা মোটেও খুশি নন৷ এই ছবিঘরে স্টেডিয়ামের কিছু নমুনা দেখুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এটা পুরনো মারাকানা – ১৯৭৩
এই স্টেডিয়ামটি দেখলেই ব্রাজিলিয়ানদের পুরনো মারাকনার কথা মনে পড়ে যায়, ৯০-এর দশকে যা কিনা সব সামাজিক কর্মকাণ্ডের মিলনস্থল ছিল৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের জন্য এটা নতুন করে নির্মাণ করা হয়৷ এতে খরচ হয় ৪০০ মিলিয়ন, যা অনেক ব্রাজিলিয়ানের কাছেই জনগণের সম্পদ নষ্ট করার প্রতীক৷
ছবি: imago/WEREK
সাঁও পাওলো – অ্যারেনা দে সাঁও পাওলো ‘ইটাকুয়েরাও’
এটা ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম, যেখানে ২০তম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার উদ্বোধন হয়েছে ১২ই জুন৷ ইটাকুয়েরাও নামটি কিন্তু শ্রমিকদের বসবাস এলাকার নামেই নামকরণ হয়েছে৷ স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজের সময় দু-দু’টি দুর্ঘটায় তিনজন শ্রমিক মারা গেছেন৷ স্টেডিয়ামটি নতুন করে নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৩১০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে খেলা দেখতে পারেন মোট ৬৫,৮০৭ জন ফুটবলপ্রেমী৷
ছবি: picpicture-alliance/AP Photo
সালভাদোর দা বাইয়া – অ্যারেনা ফন্টে নোভা
১৩ই জুনের প্রথম শীর্ষ খেলাটি হয়েছে এই স্টেডিয়ামে৷ বিশ্বকাপ ফুটবলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন এবং রানার্স আপ হল্যান্ডের মধ্যে ৷ সোমবারে এখানেই খেলা হবে জার্মানির সাথে পর্তুগালের৷ বিশ্বকাপের পরেও এই স্টেডিয়ামে খেলা হবে প্রথম বিভাগের একটি স্থানীয় দলের, যারা আন্তর্জাতিক খেলাতেও অংশগ্রহণ করে৷ স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ২৩০ মিলিয়ন ইউরো৷ স্টেডিয়ামটিতে মোট ৪৮,৭৪৭ জন ফুটবলভক্তের জন্য জায়গা রয়েছে৷
ছবি: YASUYOSHI CHIBA/AFP/Getty Images
ফর্টালেজা – এস্টাডিও কাস্তেলাঁও
২,৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই মেট্রোপলিটান শহরে দুটো ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব রয়েছে৷ এই ক্লাবগুলো সেরকম সফল না হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওদের খেলা দেখতে বিশাল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়৷ এবারের বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে জার্মানির গ্রুপ পর্যায়ের দ্বিতীয় খেলাটি হবে এখানে৷ স্টেডিয়ামটির নতুন করে নির্মাণ কাজ করতে মোট খরচ পড়েছে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো৷ এর ধারণ ক্ষমতা ৬৪,৮৪৬৷
ছবি: Getty Images/AFP
কুইয়াবা – অ্যারেনা পান্টানাল
বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিযোগিতা যেসব শহরে হবে, সেগুলোর মধ্যে কুইয়াবাই হচ্ছে সবচেয়ে ছোট, যার জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ লাখ৷ এটা জলাভূমি পান্টাল এলাকার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত আর এ কারণেই এই নামকরণ৷ এখানে সেরকম কোনো শীর্ষস্থানীয় ক্লাব নেই৷ তবে ২০১৬ সালে রিও ডি জানেরোতে যে অলিম্পিকের আসর বসবে, তার কিছু অনুশীলন অনুষ্ঠিত হবে এখানে৷ স্টেডিয়ামটির জন্য খরচ পড়েছে মোট ১৯০ মিলিয়ন ইউরো আর এর ধারণ ক্ষমতা ৪২,৯৬৮৷
ছবি: Getty Images
রেসিফে – অ্যারেনা প্যারনামবুকো
এই স্টেডিয়ামের নামকরণ এ রাজ্যের নামের সাথে মিল রেখে করা হয়েছে৷ শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্টেডিয়াম, যার নির্মাণ খরচ আনুমানিক ২৫০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে মোট ৪২,৮৪৯ জন ফুটবলপ্রেমী এক সাথে খেলা উপভোগ করতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
মানাউস – অ্যারেনা দা আমাজনিয়া
বিশ্বকাপের শুরুতেই ইংল্যান্ড ও ইটালি – এই দুটি শক্তিশালী দলের মধ্যে খেলা হবে এই স্টেডিয়ামে৷ এখানে অনেকদিন হয়ত আর কোনো খেলাই হবে না, কারণ মানাউস-এর কোনো ক্লাবই জাতীয় লীগে খেলে না৷ ক্লাবটির নির্মাণ কাজের সময় চারজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল৷ স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতা ৪২,৩৭৪৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রাজিলিয়া – এস্টাডিও ন্যাশনাল
এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য সবচেয়ে ব্যায়বহুল ও মর্যাদাপূর্ণ স্টেডিয়াম, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়৷ তাছাড়া এখানে তেমন কোনো ফুটবল ক্লাবও নেই৷ ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাজিলিয়ার এই স্টেডিয়ামটি শহর থেকে বেশ দূরে অবস্থিত, যার নির্মাণ কাজে খরচ পড়েছে মোট ৬৩০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে মোট ৬৮,০০৯ জন মানুষ এক সাথে খেলা দেখতে পারেন৷
ছবি: Getty Images
রিও ডি জানেরো – এস্টাডিও ডো মারাকানা
সাবেক জাতীয় মনুমেন্টটি এখন অনেক ভক্তের চোখে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়৷ ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা হয়েছিল এখানে, যে খেলায় দর্শকের সংখ্যা ছিল ১৭০,০০০৷ তবে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে হয়ত এর অর্ধেক দর্শকও হবে না৷ তা সত্ত্বেও এটাই বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, যার নির্মাণ কাজে খরচ হয়েছে ৪,০০০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে ৭৩,৫৩১ দর্শকের এক সঙ্গে খেলা উপভোগ করার জন্য জায়গা রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
9 ছবি1 | 9
এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে
সুয়ারেজ এর আগেও বিপক্ষ দলের প্লেয়ারদের কামড়ে বেশ কয়েকটা ম্যাচের জন্য ‘সাস্পেন্ড' হয়েছেন৷ ২০১০ আর ২০১৩ সালের সেরকম দু'টি ঘটনা নথিভুক্ত৷ আবার প্রতিপক্ষকে কামড়ে দেওয়ার ব্যাপারটাও ফুটবলের একক নয়: বক্সিং-এর মাইক টাইসন-ও ‘কামড়াতেন'৷ মঙ্গলবার সুয়ারেজ কিয়েলিনিকে কামড়ানোর দু'মিনিটের মধ্যেই উরুগুয়ে খেলার একমাত্র গোলটি করে এবং ইটালি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়৷ লোকে যার মানে করছে, সুয়ারেজের কামড়টি ছাড়া ইটালি ড্র করত এবং পয়েন্টের হিসেবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যেত৷
কিন্তু কেমন খেলেছে ইটালি? কী মনোভাব নিয়ে খেলেছে? যতটা সম্ভব কম দৌড়োদৌড়ি করে আধবুড়ো খেলোয়াড়দের বেশি কষ্ট না করিয়ে স্রেফ সাট্টার হিসেব ঠিক রেখে যে বিশ্বকাপে নক-আউট স্টেজে পৌঁছনো যায় – হয়ত তার বেশিও এগনো যায় – আমরা কি সেই ধরনের বিশ্বকাপ দেখতে চাই? প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ ডাকাত সর্দারের মতো পির্লো কী করলেন অথবা না করলেন, তা-তে ফুটবল দুনিয়ার কি এসে যায়? গোডিনের হেডে গোল খাবার পর যে ইটালির নড়তে-চড়তে দশ মাস, তারাই যেন কাঁকড়াবিছের কামড় খেয়ে সজাগ, সপ্রতিভ, ক্ষিপ্র এবং আক্রমণাত্মক হয়ে উঠল৷ ফুটবলের বিজনেসম্যানরা যেন আবার স্পোর্টসম্যান হয়ে উঠলেন৷ সুয়ারেজের শৈশব কিংবা মনস্তত্ত্ব নিয়ে মাথা ঘামানোর আগে আমাদের কি ফুটবল, তার মানসিকতা, তার নৈতিকতা, তার ‘বাণিজ্যিকতা' নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত নয়? বাকি সবাই, সব দেশ এবং সব স্বার্থ জিতল, শুধু ফুটবল হারল, সেটাই কি আমরা চাই?
ফুটবল তারকাদের সুন্দরী বান্ধবীদের ছবি
স্মার্ট, সুন্দরী, যৌন আবেদনময়ী – বিশ্বখ্যাত তারকাদের বান্ধবীদের সঙ্গে সবগুলো বিশেষণই যে মানানসই! তাই চলুন, মাঠ কাঁপানো ফুটবলারদের ঘর কাঁপানো সুন্দরী সঙ্গিনীদের একনজর দেখে নেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নগ্ন রোনাল্ডো
বিখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য কয়েকবছর আগে নগ্ন হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ তৎকালীন বান্ধবী ইরিনা শেইখের সঙ্গে তোলা সে ছবি প্রকাশও হয়েছে৷ রুশ মডেল শেইখের সঙ্গে রোনোল্ডোর সম্পর্কের শুরু হয় ২০১০ সালে৷ তবে, কয়েকবছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সেই সম্পর্ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নেইমারের নতুন প্রেম
সুপার মডেলদের প্রতি ফুটবলারদের টান বোধহয় একটু বেশিই থাকে৷ ব্রাজিলের নেইমারের কথাই ধরুন৷ রোনাল্ডো এবং মেসির মতো তিনিও এক মডেলের সঙ্গেই থাকেন৷ সাও পাওলোতে জন্ম নেয়া গাব্রিয়েলা লেন্সির সঙ্গে নেইমারের সম্পর্ক অবশ্য খুব বেশি দিনের নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উদার বালোতেল্লি
গত ইউরো কাপে জার্মানিকে লজ্জায় ফেলা মারিও বালোতেল্লি মেয়েদের ব্যাপারে একটু বেশিই উদার৷ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বান্ধবী বদল করেছেন ২৩ বছর বয়সি এই তারকা৷ সর্বশেষ ২০১৩ সালে ফ্যান্নি নেগুয়েশার সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন তিনি৷ এই সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশা করছেন অনেকে৷ তবে বালোতেল্লির উপর ভরসা করা একটু কঠিনই!
ছবি: imago/Milestone Media
শোয়াইনস্টাইগারের বান্ধবী
জার্মান ফুটবলার বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের বান্ধবী হিসেবেই বেশি পরিচিত সারা ব্রান্ডনার৷ তবে পেশাগতভাবে তিনি মডেল৷ ২০০৭ সাল থেকে একসঙ্গেই আছেন এই জুটি৷
ছবি: Getty Images
সাংবাদিক বান্ধবী
স্পেনের ফুটবল তারকা ইকার ক্যাসিয়াসের বান্ধবী সারা কার্বোনেরো পেশায় সাংবাদিক৷ ছেলেবন্ধুটি যখন মাঠে খেলায় ব্যস্ত থাকেন, তিনি তখন মাঠে থাকেন খেলা ‘কভার’ করতে৷ মাঝে মাঝে গোলপোস্টের কাছে গিয়ে কাসিয়াসকে ‘একটু বিরক্তও’ করেন তিনি৷
ছবি: imago/alterphotos
সংগীতশিল্পীর ছেলেবন্ধু
সংগীত তারকা হিসেবে বেশ পরিচিত ম্যান্ডি কাপ্রিস্টো৷ ২৪ বছর বয়সি এই জার্মান গায়িকার সঙ্গে মেসুত ও্যজিলের সম্পর্কের শুরু হয় ২০১৩ সালে৷
ছবি: imago/Future Image
মেসির সাফল্যের নেপথ্যে
ফুটবল মাঠে লিওনেল মেসির সফলতার পেছনে যে নারীর বিশেষ অবদান রয়েছে, তিনি হলেন আন্তোনেলা রোকুৎসো৷ মেসির সন্তানের মা তিনি৷ গত তিন বছর ধরে একসঙ্গে আছেন এই জুটি৷ রোকুৎসো পেশায় একজন মডেল৷
ছবি: imago/GEPA pictures
মডেল নার্গি
ইটালির ফুটবলার আলেকসান্দ্রো মাট্রির বান্ধবী ফেডেরিকা নার্গি৷ ১৯৯০ সালে জন্ম নেয়া এই নারীও পেশায় মডেল৷
ছবি: imago/Milestone Media
শাকিরার বন্ধু
কলম্বিয়ান সংগীত শিল্পী শাকিরা অবশ্য নিজের পরিচয়েই গোটা বিশ্বে পরিচিত৷ একের পর এক সুপার হিট গান দেওয়া এই শিল্পীর সঙ্গে ফুটবলার জেরার্ড পিকের সম্পর্ক চলছে সেই ২০১০ সালে থেকে৷ এই জুটির একমাত্র সন্তানের নাম মিলান পিকে মেবারক৷
ছবি: imago/PicturePerfect
গ্যার্কের সঙ্গে খেদিরা
জার্মান টেলিভিশন সঞ্চালিকা এবং ফ্যাশন মডেল লেনা গ্যার্কের সঙ্গে সামি খেদিরার সম্পর্কের শুরু হয় ২০১১ সালে৷ আগে বার্লিন এবং নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করলেও এখন খেদিরাকেই বেশি সময় দেন গ্যার্কে, থাকেন তাই মাদ্রিদে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
না, অলিভার কান অতটা দার্শনিকতা করেননি৷ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ইউরোপীয় ফুটবলে কি হচ্ছে, তাই নিয়ে৷ বলেছেন, প্রিমিয়ার লিগে যত ভালো প্লেয়ার খেলে, বিশ্বের আর কোনো লিগে ততটা নয়৷ যার ফল এই যে, ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বদেশের উঠতি তারকারা নিজেদের জায়গা করে নিতে পারছে না৷ জার্মানিতে আগামী প্রজন্মের ফুটবলার তৈরি করার দরকারি কাজটাকে এক কথায় বলে ‘নাখভুক্স', অর্থাৎ ‘ছানাপোনা'৷ নেইমার নামধারী ২২ বছরের যে তরুণ আজ ব্রাজিলকে তার ‘হেক্সা', অর্থাৎ ষষ্ঠ বিশ্বকাপ এনে দেবে – বছর খানেক আগেও সে ছিল ঐ ‘নাখভুক্স' বা ছানাপোনা৷ সান্টোসের মতো ক্লাব পাখিপোষার মতো করে এই সব ছানাপোনা বড় না করলে আজ আমরা কাকে নিয়ে মাততাম?
কেন, সাতাশ-বছর-বয়সি এক প্রায় সমপরিমাণ প্রতিভাধর ফুটবলারকে নিয়ে, যে বল যত ভালোই কন্ট্রোল করতে পারুক না কেন, উত্তেজনার মাথায় নিজের স্নায়ু কন্ট্রোল করতে পারে না৷
আচ্ছা, লাইনের বাইরে জলের বোতল এবং হাঁটুর ডাক্তার ছাড়া সাইকিয়্যাট্রিস্ট রাখার ব্যবস্থা করা যায় না?