করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস টানা লকডাউন থাকার পর খুলে দেওয়া হলো সিডনির পাবলিক প্লেস৷ তবে শুধু সম্পূর্ণ টিকাধারীদের জন্যই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
করোনা সংক্রমণের হার কমে আসায় এবং শতকরা ৭০ ভাগ লোক পুরোপুরো টিকার আওতায় আসার পর সোমবার থেকে সিডনির বার, রেস্টুরেন্ট, ব্যায়ামাগার ও অফিস-আদালত অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের পাবলিক প্লেস খুলে দেওয়া হয়েছে৷
সোমবার রাত ১২টা এক মিনিটে শহরের বেশ কিছু রেস্তোঁরা বেশ জমজমাট দেখা গেছে৷ উৎসব উদপযাপনের মতো করে সেসসব রেস্তোঁরায় স্থানীয়দের ভিড় করতে দেখা গেছে৷
গত জুন মাসে সিডনিতে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কঠোর লকডাউন আরোপ করেছিল কর্তৃপক্ষ৷
উদযাপনওসতর্কতা
লকডাউনের কারণে যে ৫০ লাখ লোকের সিডনি শহরের জীবন-যাপন নিরানন্দ হয়ে ওঠেছিল তা আঁচ করা গেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও৷
স্কট মরিসন বলেন, ‘‘লকডাউন তুলে দেওয়ার এ মুহূর্তটি পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে উপভোগ করুন৷ অনেকেই আজকের এ দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন৷ আমরা এ দিনটি উদযাপন করব৷''
৬০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ বন্যার কবলে সিডনি
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য৷ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে রাজ্যের অন্তত ১৮ হাজার মানুষকে৷
ছবি: AMANDA HIBBARD, KATE FOTHERINGHA/REUTERS
প্রবল বৃষ্টিপাতে বন্যা
মুষলধারে বৃষ্টিতে নদীর তীর এবং বাঁধগুলো উপচে পানি ঢুকে পড়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনি এবং দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ডে৷
ছবি: ALEX MCNAUGHT/ REUTERS
জনগণকে হুঁশিয়ারি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৬০ বছরের মধ্যে সিডনিতে এমন ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়নি৷ এই বন্যার পানি এক সপ্তাহের মধ্যে কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তারা৷ তাই জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে৷
ছবি: JAIMI JOY/REUTERS
নিরাপদ স্থানে ১৮ হাজার মানুষ
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সিডনির পশ্চিমাঞ্চল থেকে অনেক মানুষকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷
ছবি: LOREN ELLIOTT/REUTERS
পোর্ট ম্যাককোয়েরির অবস্থা
নিউ সাউথ ওয়েলসের পোর্ট ম্যাককোয়েরির ছবি এটি৷ লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে৷
ছবি: ALEX MCNAUGHT/ REUTERS
ডুবে গেছে রাস্তা
পিট টাউন এবং উইন্ডসরের কাছে হক্সবারি রোডের চিত্র এটি৷ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে রাস্তায় থাকা গাড়ি৷
ছবি: LOREN ELLIOTT/REUTERS
নেপেন নদীর পানি লোকালয়ে
নেপেন নদীর পানি উপচে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে৷ এলাকাবাসী বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তায় নেমেছেন বন্যা পরিস্থিতি দেখতে৷
ছবি: Loren Elliott/REUTERS
ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল ঘোষণা
যেসব মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের জন্য তহবিল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন৷ বন্যাকবলিত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের বসবাস৷
ছবি: Jill Gralow/REUTERS
উদ্ধারকর্মীদের অভিযান
উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানুষ ও পোষা প্রাণীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন৷
ছবি: LOREN ELLIOTT/REUTERS
যোগাযোগ ব্যবস্থা
নদীর পানি উপচে সড়ক এবং সেতুগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে৷ কিছু কিছু ঘরবাড়িতে জানালা পর্যন্ত পানি উঠেছে৷
ছবি: LOREN ELLIOTT/REUTERS
বন্ধ স্কুল
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২২ মার্চ থেকে ১৫০টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷
ছবি: Loren Elliott/REUTERS
বন্যায় বিয়ে
বন্যায় আটকে পড়েছেন বর-কনে৷ চার্চে যাওয়ার সময় বন্যার পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় গাড়ি থামাতে বাধ্য হন তারা৷ পরে হেলিকপ্টারে করে যথাসময়ে চার্চে পৌঁছান৷
ছবি: AMANDA HIBBARD, KATE FOTHERINGHA/REUTERS
11 ছবি1 | 11
এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রধান ডমিনিক পেরোটেট এ দিনটিকে ‘স্বাধীনতার দিন' বলে উল্লেখ করেন৷
অবশ্য ডমিনিক কিন্তু জনগণকে সতর্ক করতে ভুলেননি৷ তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে৷ তা না হলে সংক্রমণ আবারো বাড়তে পারে৷''
‘‘এখনো কিছু সীমাবদ্ধতা আছে৷ লকডাউন আসলে সবার জন্য তুলে দেওয়া হয়নি৷ আস্তে আস্তে সব কিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে৷ পরস্পরের সহযোগিতায় আমরা সবকিছুই স্বাভাবিক করতে পারব এবং সবাইকে নিরাপদ রাখতে পারব৷''
করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে কঠোর লকডাউন চলছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে৷ বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ৷
এমন কঠোর পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম বলে দাবি করছেন কেউ কেউ৷
এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২৭ হাজার পাঁচশ৷ আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার চারশ ৪০ জন মারা গেছেন৷