1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চালকবিহীন লোকাল ট্রেন চলছে হামবুর্গে

১২ ডিসেম্বর ২০২২

শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পরিবেশ বাঁচানোর তাগিদ, কর্মীসংখ্যার অভাব – এমন সব সমস্যা সত্ত্বেও পরিবহণ অবকাঠামোর উন্নতির চাপ বাড়ছে৷ জার্মানিতে এক ঢিলে সব পাখি মারতে নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷

Deutschland Erste digitale S-Bahn in Hamburg gestartet
ছবি: Marcus Brandt/dpa/picture alliance

হামবুর্গ শহরে চারটি স্বচালিত ‘এস বান’ বা সাবার্বান ট্রেন সক্রিয় রয়েছে, যা এক পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় চলছে৷ জার্মান রেল কোম্পানি ও পৌর কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল এস-বান প্রকল্পে সব মিলিয়ে ছয় কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছে৷

গণপরিবহণ ব্যবস্থার জন্য সেটা বড় এক পদক্ষেপ৷ কারণ বাড়তি লাইন না বসিয়েই এবার আরও ঘনঘন এবং আরও বেশি ট্রেন চালানো সম্ভব৷ ডিজিটাল এস-বান প্রকল্পের প্রধান ক্রিস্টফ গনসালভেস বলেন, ‘‘ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আমরা রেল ব্যবস্থায় আরও ধারণ ক্ষমতা ও স্থিতিশীলতা আনতে চাই৷ এই প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য হলো, এই প্রথম কোনো চালু রেল প্রণালীর মধ্যে অটোমেটেড ট্রেন চালানো হচ্ছে৷ সেই প্রযুক্তি শুধু সাবার্বান ট্রেনের জন্য সৃষ্টি করা হয় নি৷ এমন প্রযুক্তি পণ্য পরিবহণ, আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক বা দূরপাল্লার ট্রেনেও প্রয়োগ করা সম্ভব৷’’

ট্রেনের নীচেই মূল যন্ত্রপাতি বসানো রয়েছে৷ জটিল নামের নানা সিকিউরিটি সিস্টেম পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ রাখে, ট্রেনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করে৷ ক্রিস্টফ গনসালভেস বলেন, ‘‘এটিও – অর্থাৎ অটোম্যাটিক ট্রেন অপারেশন ইউরোপে অটোমেটেড যানগুলির সাধারণ মানদণ্ড৷ ইটিসিএস – অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ট্রেন কনট্রোল সিস্টেম ইউরোপের সাধারণ রেল নিরাপত্তা প্রণালী৷ এই ব্যবস্থা ট্রেনকে অতি দ্রুত চলা বা অতি দূরে যাওয়া থেকে বিরত করে৷’’

জার্মানির স্বয়ংক্রিয় ট্রেন

03:56

This browser does not support the video element.

এই সব প্রণালী রেল ব্যবস্থাকে আরও সময়নিষ্ঠ ও দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি ৩০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়েও সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে রেল কোম্পানিগুলি অটোনমাস ট্রেনের মাধ্যমে ব্রেকসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের ক্ষয়ের মাত্রা কমানোর আশা করছে৷ তবে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সংশয় এখনো দূর হচ্ছে না৷

সুইকাউ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ এলেনা কোয়েক মনে করেন, ‘‘কোনো যানের নিয়ন্ত্রণ, যেমন ব্রেক করা বা গতি বাড়ানো আসল সমস্যা নয়৷ যাত্রার প্রক্রিয়ার ধাপগুলি একটি সমস্যা৷ যেমন বিঘ্ন ঘটলে কী হবে? স্বয়ংক্রিয় পরিবহণের ক্ষেত্রে ড্রাইভার উপস্থিত না থাকলে কী ঘটবে? আজকাল সেই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা চলছে৷’’

সে কারণে হামবুর্গের স্বয়ংক্রিয় এস-বান ট্রেনে একজন করে চালক রাখা হচ্ছে৷ কারণ অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ সে রকম কিছু ঘটলে ইমার্জেন্সি ব্রেক প্রয়োগ করতে হবে৷

অর্থাৎ শুধু প্রযুক্তিগত কারণেই চালকের উপস্থিতির প্রয়োজন হয় না, আইনগত কারণেও তাঁর গুরুত্ব রয়েছে৷ মনে রাখতে হবে, জার্মানির আইন অনুযায়ী এখনো চালকবিহীন ট্রেন চালানো সম্ভব নয়৷ বার্লিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বির্গিট মিলিউস বলেন, ‘‘সব ট্রেন চালক ছাড়াই চলবে, বর্তমানে এমন লক্ষ্যমাত্রা কাম্য বা বিশ্বাসযোগ্য বলে আমার মনে হয় না৷ সেটা অর্থহীন এবং অপ্রয়োজনীয়৷ কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই চালকবিহীন প্রযুক্তির প্রয়োগ অর্থবহ হতে পারে, যেমন বর্তমানে কর্মীর অভাবের কারণ যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তা মেটাতে এভাবে বাড়তি ট্রেন চালানো সম্ভব৷’’

বিশেষজ্ঞদের মতে, কমপক্ষে বড় শহরাঞ্চলে এই প্রযুক্তির চাহিদা অবশ্যই রয়েছে৷ ভবিষ্যতেও সেখানে আরও বেশি মানুষ ট্রেন ব্যবহার করবেন৷

মার্টা গ্রু়ডজিনস্কা/এসবি

জার্মানিতে তৈরি হাইড্রোট্রেন

03:18

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ