1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চালের দাম কবে কমবে?

২৭ ডিসেম্বর ২০২০

বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েছে৷ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হওয়ায় এ অবস্থা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ এতে কি স্থিতিশীল হবে চালের বাজার?

বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েছে৷ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হওয়ায় এ অবস্থা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ এতে কি স্থিতিশীল হবে চালের বাজার?
ছবি: DW/H. Ur Rashid

বাংলাদেশে চালের দাম এখন ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ৷ অথচ এখন আমনের ভরা মৌসুম৷ বাজারে বিআর-২৮ চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায়৷ আর মিনিকেট ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা৷ গত এক সপ্তাহে এই দাম দফায় দফায় বেড়েছে৷ সপ্তাহান্তে কেজিতে বেড়েছে পাঁচ-ছয় টাকা৷

বাংলাদেশে বছরে তিন কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়৷ যা চাহিদা তা এই চাল দিয়েই মিটে যায়৷ তাহলে চালের সংকট কেন সৃষ্টি হলো?  কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক রোববার এক অনুষ্ঠানে এজন্য দায়ী করেছেন আড়তদার-মিলারদের৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি বলেন, ‘‘...বাংলাদেশের মিলাররা, আড়তদাররা, জোতদাররা, যারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে, তারা চালের দাম বাড়ায় এবং এবারও তারা সেই কাজ করছে৷ মৌসুমের সময় তারা এখনও ধান কিনছে এবং ধান ও চালের দাম দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে৷’’

হিসাব বলছে, এবার আমনের উৎপাদন ১০ লাখ টন কম হয়েছে৷ পরিস্থিতি বিবেচনায় তাই চালকল মালিক এবং বড় কৃষকরা ধান বা চাল বাজারে ছাড়ছেন না৷ বেশি দামের আশায় মজুত করেছেন, যা বাজারে সংকট তৈরি করেছে৷

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম

This browser does not support the audio element.

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সরকারের মজুত ঘাটতিও৷ গত বোরো-আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি৷ দাম ও বাজার ঠিক রাখতে যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকারের মজুত সব সময় ১০ লাখ টন থাকার কথা, সেখানে এবার আছে পাঁচ লাখ টন৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সরকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে না পারার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে৷ সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘‘আমরা সবাই বলছি ভরা মৌসুম৷ সেটা হয়তো মৌসুমের হিসাবে ঠিক আছে৷ কিন্তু বাস্তবে নয়৷ কারণ এ বছর তিন দফা বন্যার শিকার হয়েছেন কৃষক৷ আর নানা কারণে সরকার স্টকের চাল বিতরণ করতে হয়েছে৷ ফলে প্রতিবছর এই সময়ে সরকারের ১০ লাখ টনের মজুত থাকলেও এখন আছে ৫ লাখ টন৷’’

ঠিক এমন বাস্তবতায় বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলে ২৫ শতাংশ শুল্কে চাল আমদানির অনুমতির কথা জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়৷ ১০ জানুয়ারির মধ্যে আবেদনের ভিত্তিতে আমদানিকারকদের এই সুবিধায় চাল আনার অনুমতি দেবে সরকার৷ তবে শুধু ব্যবসায়ী নয় সরকার নিজেও মজুত ঘাটতি মেটাতে চায় আমদানি করে৷ ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে পাচঁ থেকে ছয় লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী৷

ড. নাজনীন আহমেদ

This browser does not support the audio element.

এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম৷ তার মতে শুল্ক কমিয়ে আমদানির এই ব্যবস্থা কাজে লাগাতে আশপাশের দেশ থেকে দ্রুত এখন চাল আনতে হবে৷ এতে চালের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করেন তিনি৷ তবে ড. নাজনীন আহমেদ মনে করেন, আমদানিটা সঠিক হিসাব করে আনতে হবে৷ কারণ পরিস্থিতি বুঝে চালকল মালিকরাও চাল ছাড়তে শুরু করবেন৷ এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন৷ সামনের বোরো ধান ওঠার সময় যেন তারা ধানের ভালো দাম পান তা লক্ষ্য রাখার উপর জোর দেন তিনি৷ তার মতে, ‘‘সরকারকে পাবলিক স্টক ১০ লাখ টন আর রাখলে চলবে না৷ এটা ১৫ লাখ টন করতে হবে৷ সামনের বোরো মৌসুমে এটা যাতে করা যায় সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে৷ ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি সক্ষমতা বাড়াতে হবে৷''

রোববার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘‘চাল আমদানি এবং শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে আমরা দুইটি বিষয় মাথায় রেখেছি৷ ভোক্তার যাতে কষ্ট না হয়৷ আবার কৃষকও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়৷ তাই নিয়ন্ত্রিতভাবে আমদানির অনুমতি দেয়া হবে৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ