এবার থেকে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ যত খুশি মজুত করতে পারবে সংস্থাগুলি৷ আর তার দাম খুব বেশি বেড়ে না গেলে সরকার কিছুই করবে না৷ ভারতে আইনে পরিবর্তন করে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
ভারতে চাল, ডাল, গম, তেল, আলু, পেঁয়াজের দাম বাড়ার পথ কি প্রশস্থ করে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার? প্রশ্নটা উঠছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন বিল সংসদে পাস হওয়ার পরে৷ কারণ, এই সংশোধনের ফলে চাল, গম, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি মজুদ করার ক্ষেত্রে আর কোনো সীমা থাকলো না৷ যুদ্ধ, কোনো ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা দাম অস্বাভাবিক বেড়ে না গেলে সরকার আর এই সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেঁধে দেবে না৷
বিরোধী দলীয় নেতা এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে কৃষকদের সর্বনাশ হবে৷ তাঁরা উৎপাদিত পণ্যের দাম পাবেন না৷ আর সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে, কারণ, বড় বড় সংস্থাগুলো প্রচুর পরিমাণে চাল, গম, সবজি মজুত করে বাজারে সংকট তৈরি করতে পারবে এবং দাম বাড়িয়ে নিতে পারবে৷ সরকার যেহেতু আর দাম বেঁধে দেবে না, তার ফলে কোপটা পড়বে সাধারণ মানুষের উপর৷
সরকারের যুক্তি হলো, চাল, ডাল, তেল ও কিছু সবজি মজুতের সীমা বেঁধে দেয়ায় প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও কৃষি পণ্যের ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছিলেন৷ এখন সময় বদলেছে৷ শিল্প ও কৃষক দুজনের স্বার্থে তাই আইনে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে৷ এর ফলে কৃষকদের আয় বাড়বে৷ শিল্প ও ব্যবসায়িক সংস্থার অসুবিধাও দূর হবে৷ খাদ্য ও গণবণ্টন প্রতিমন্ত্রী দানভে দাদারাও মঙ্গলবার সংসদে বলেছেন, ‘‘এর ফলে চাষিদেরও লাভ, ক্রেতাদেরও লাভ৷''
কী পরিবর্তন হলো
কৃষিতে সংস্কারের জন্য সরকার মোট তিনটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল৷ সংসদ চালু হওয়ার পর এ নিয়ে তিনটি বিল আনা হয়৷ প্রথম দুটি বিল আগেই পাস হয়ে গেছে৷ এই বিল পাস করতে গিয়েই রাজ্যসভায় তুলকালাম হয়েছে৷ ভোটাভুটির দাবি না মেনে শুধু ধ্বনিভোটে বিল পাস করা হয়েছে৷ ওয়েলে নেমে, রুলবুক ছিঁড়ে, মাইক ভেঙে ভয়ঙ্কর প্রতিবাদ করেছেন বিরোধীরা৷ আটজন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ তারপরেই রাজ্যসভা বয়কট করেছে বিরোধী দলগুলি৷ বিরোধীশূ্ণ্য রাজ্যসভায় তৃতীয় বিলটিও মঙ্গলবার পাস করিয়ে নেয়া হয়েছে৷
পেঁয়াজ রপ্তানি আয়ে শীর্ষ দেশগুলো
কোন কোন দেশ পেঁয়াজ রপ্তানি করে সব থেকে বেশি আয় করে সেই তালিকা করেছে ওয়ার্ল্ডস টপ এক্সপোর্ট ডটকম৷ ২০১৯ সালে পেঁয়াজ রপ্তানি করে শীর্ষ আয় করা দেশের তালিকা দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: bdnews24.com/A. Mannan
নেদারল্যান্ডস
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গত বছর ৮১ কোটি ৫২ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ বিশ্বের রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের সাড়ে ২০ শতাংশ রপ্তানি করেছে নেদারল্যান্ডস৷
ছবি: Imago Images/J. Tack
চীন
পেঁয়াজ রপ্তানি করে ২০১৯ সালে ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ বিশ্বের রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের ১৫ শতাংশ রপ্তানি করে চীন৷
ছবি: picture-alliance/Panimages
ভারত
বাংলাদেশের আমদানিকৃত পেঁয়াজের অন্যতম উৎস ভারত৷ গতবছর পণ্যটি রপ্তানি করে ৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে দেশটি৷ বিশ্বে পেঁয়াজ রপ্তানি বাজারের নয় দশমিক এক শতাংশ ছিল ভারতের দখলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Nanu
মেক্সিকো
বিশ্বে রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের আট দশমিক নয় শতাংশ রপ্তানি করে মেক্সিকো৷ এই দেশটি গতবার পেঁয়াজ রপ্তানি করে ৩৫ কোটি ৬০ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷
ছবি: Reuters/A. Latif
যুক্তরাষ্ট্র
পেঁয়াজ রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে ২৮ কোটি ৭৭ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ গতবার যত পেঁয়াজ রপ্তানি হয়েছে তারমধ্যে সাত দশমিক দুই শতাংশ রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Lage
মিশর
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবার ২৭ কোটি ২৫ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ বাংলাদেশ প্রায় সময়ই এই দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে৷
ছবি: AFP/Getty Images/K. Desouki
স্পেন
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গত বছর ২১ কোটি ৬৭ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ পেঁয়াজ রপ্তানি করে আয়ের দিক থেকে এই দেশটির অবস্থান সপ্তম স্থানে৷
ছবি: Reuters/N. Frandino
নিউজিল্যান্ড
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবার এগারো কোটি ৪০ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Melville
পোল্যান্ড
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবছর ১০ কোটি ৪৩ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ ওয়ার্ল্ডস টপ এক্সপোর্ট ডটকমের তালিকায় পেঁয়াজ রপ্তানি করে শীর্ষ আয়ের দিক থেকে দেশটির অবস্থান নবম৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Skarzynski
ফ্রান্স
ইউরোপের এই দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি করে ২০১৯ সালে নয় কোটি ৬১ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ গতবার রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের দুই দশমিক চার শতাংশ রপ্তানি করে দেশটি৷ তাদের অবস্থান দশম৷
ছবি: AFP/M. Bertorello
পেরু
দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি করে গতবার আট কোটি ৫৬ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তুরস্ক
২০১৯ সালে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ ডলার আয় করেছে পেঁয়াজ রপ্তানি করে৷ তাদের অবস্থান ১২তম৷
ছবি: picture-alliance/TASS/dpa/S. Bobylev
জার্মানি
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবার চার কোটি ৫১ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ গতবার রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের এক দশমিক এক শতাংশ রপ্তানি করে দেশটি৷
ছবি: imago/blickwinkel/McPhoto/K. Steinkamp
ইটালি
ইউরোপের এই দেশটি ২০১৯ সালে চার কোটি ৩০ লাখ ডলার রপ্তানি করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Huguen
ক্যানাডা
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবার চার কোটি ১৯ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/G. Wenbao
পাকিস্তান
মোট রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশের থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও শুধু পেঁয়াজ রপ্তানি করে পাকিস্তান গতবার প্রায় তিন কোটি ১৫ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০১৯ সালে তাদের অবস্থান ছিল ১৯তম৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Qureshi
16 ছবি1 | 16
এই বিলে বলা হয়েছে, চাল-ডালের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ও সবজির ক্ষেত্রে একশ শতাংশ দাম বাড়লে তবেই সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ গত এক বছরের দামের গড় করে তার থেকে একশ শতাংশ বা ৫০ শতাংশ বাড়ার হিসাব করা হবে৷
আপত্তি কোথায়
বিরোধী নেতাদের দাবি, তিনটি বিলকে একসঙ্গে দেখতে হবে৷ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এবার তো বড় বড় কর্পোরেট আগে থেকে কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি করবে৷ তারাই বলে দেবে কৃষক কী ফসল উৎপাদন করবে এবং সেই ফসল সংস্থাগুলি কী দামে কিনবে৷ এর ফলে ফসলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তারা৷ বাজারে একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারবে৷ মান্নানের দাবি, বড় কর্পোরেটের হাতে শুধু যে প্রচুর মজুত থাকবে তা-ই নয়, তারা উৎপাদনকে প্রভাবিত করে নিজেদের লাভ বাড়াবার সুযোগও পাবে৷ এর ফলে জিনিসের দাম বাড়তে বাধ্য৷ কৃষকের সর্বনাশ হবে৷ সাধারণ মানুষের কোমর ভেঙে যাবে৷
দাম বাড়ার আশঙ্কাটা বিশেষজ্ঞদের মনেও রয়েছে৷ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান সুমিত দত্ত মজুমদার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘এই সব কৃষিপণ্য একেবারে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ব্যবহার করেন৷ সবগুলোই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য৷ এর মজুত ও দামের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দাম বাড়ার একটা আশঙ্কা তো থেকেই যায়৷ সাধারণ মানুষের কাছে অতি প্রয়োজনীয় জিনিস বলে এতদিন এগুলির দাম ও মজুত বেঁধে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷''
দাম বাড়া নিয়ে একই রকম আশঙ্কা রয়েছে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিজনেস এডিটর জয়ন্ত রায়চৌধুরির৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''এতে কর্পোরেট ও বড় সংস্থার লাভ হবে৷ মজুত বেশি থাকলে তারা তাঁদের ব্যবসা আরো ভালোভাবে চালাতে পারবে৷ তবে দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকছেই৷''
অনেকে ঘৃণা করে, কেউ কেউ চেটেপুটে খায়
এমন খাবার যে কেউ খেতে পারে তা অনেকে ভাবতেই পারেন না৷ কারো কারো মতে, এমন খাবারের কৌটো খোলা উচিত গভীর জলে, যাতে দুর্গন্ধে কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়েন! এমন খাবারও কিন্তু অনেকে চড়াদামে কিনে খান৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
সুইডেনের ‘গভীর জলের খাবার’!
সুইডেনের এই টিনজাত খাবার নিয়ে চালু আছে অনেক মজার মজার কৌতুক৷ অনেকেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন, ‘‘বাপু, শখ থাকলে এ খাবার বেশি করে খাও, কিন্তু কৌটোটা খোলো জলের নীচে ডুব দিয়ে!’’ খাবারটির নাম সুরস্ট্যোর্মিং৷ এক ধরনের মাছ পচিয়ে তৈরি এ খাবারটি এত দুর্গন্ধযুক্ত যে অনেক বিমানে তা নিয়ে ঢোকা বারণ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Farnsworth
হাঙরের পচা মাংশ
এমনিতে হাঙরের মাংশ খুব বিষাক্ত৷ কিন্তু যত পুরোনো হয়, বিষ ততই কাটতে থাকে৷ ‘হ্যাকার্ল’ নামের এই খাবারটিও হাঙরের পচা মাংশ দিয়ে তৈরি৷ এ খাবার বেশি খাওয়া হয় আইসল্যান্ডে৷
ছবি: imago stock&people
ষাঁড়ের অণ্ডকোষ!
মধ্য ইউরোপে এক সময় ষাঁড়ের শরীরের এই বিশেষ অংশটি খুব খাওয়া হতো৷ তবে এখন খুব বেশি লোক আর প্রকাশ্যে এ খাবার খায় না৷ তাই বলে একেবারে দুষ্প্রাপ্যও নয় এটি৷ বিশেষ কিছু রেস্তোরাঁয় এখনো পরিবেশন করা হয় এ খাবার৷ এক সময় মনে করা হতো, এটি খেলে যৌনক্ষমতা বাড়ে৷
ছবি: DW
দাঁত না থাকলে...
প্রাচীন কালে দীর্ঘদিন সাগরে থাকার ফলে ভিটামিনের অভাবে একসময় নাকি নাবিকদের সব দাঁত পড়ে যেতো৷ তাঁরা তখন কী খেতেন, জানেন? আলু, বিটরুট, মাংশ আর মাছ৷ শুনতে খুব স্বাভাবিক শোনালেও খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক হতো না৷ নরম করার জন্য মাছ আর মাংশটা খুব পচিয়ে নেয়া হতো৷ উত্তর জার্মানির কিছু অঞ্চলে এখনো খাওয়া হয় এ খাবার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
যে খাবারে কিলবিল করে কীট
ইটালির সার্ডিনিয়া অঞ্চলের বিখ্যাত এ খাবারের নাম ‘কাজু মার্কু’৷ কাজু মার্কু মানেই হলো পচা চিজ৷ খাবারটির মূল উপাদান যে পচা চিজ তা তো বুঝতেই পারছেন৷ সে পচা এমন পচা যে সেখানে কীট জন্ম নেয় এবং সেই কীট কিলবিল করে তার বেঁচে থাকা নিশ্চিত করে সানন্দে! এমন খাবারও চেটেপুটে খান অনেকে৷
ছবি: DW
5 ছবি1 | 5
কী হতে পারে
বিলে বলা আছে, চাল-ডালের দাম ৫০ শতাংশ ও সবজির দামএকশ শতাংশ না বাড়লে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না৷ বিরোধীদের দাবি, এখানেই তো দাম বাড়ানোর ছাড়পত্র পেয়ে যাচ্ছে কর্পোরেটগুলি৷ আব্দুল মান্নান যেমন বলছেন, ''ব্যবসায়ীদের খুশি করতেই এই বিল আনা হয়েছে৷ তারা লাভ বাড়াতে পারলেই খুশি হবে৷ দেখে নেবেন, এই কৃষি ও শ্রমিক বিলই মোদী সরকারের চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে৷''
এই কারণেই সবকটি বিরোধী দল মিলে ঠিক করেছে, সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই তাঁরা আন্দোলনে নামবে৷ একযোগে নয়৷ প্রত্যেকেই নিজের মতো করে আন্দোলন করবে৷ কেন্দ্রীয় স্তরে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করা হবে৷ কৃষিবিল নিয়ে মোদী সরকার এমনিতেই কিছুটা চাপে আছে৷ অকালি দলের মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন৷ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছে৷
বিজেপি মনে করে, বিরোধীদের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই৷ নরেন্দ্র মোদীর আছে৷ ফলে তাঁর কথাই লোকে শুনবে৷ বিশ্বাস করবে৷ বিরোধীদের আপত্তি তাঁদের মনে দাগ কাটবে না৷
বিরোধীদের বক্তব্য, জিনিসের দাম বাড়লে তখন সাধারণ মানুষ সবই বুঝতে পারবেন৷ এই লড়াই একদিনের নয়৷ তাঁরাও দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন৷