আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু সম্ভবত খরা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গবেষণা প্রকল্পে খরার আগাম সতর্কতা সংকেত ও পানিসম্পদের উন্নততর ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ চলেছে৷
বিজ্ঞাপন
আফ্রিকাতে সারা বছর প্রতি মরসুমে খরার বিপদ৷ পানির আকালের ফলে স্থানীয় পরিবেশ প্রণালী বিপন্ন হয়ে পড়ে, যার ফলে কৃষিপ্রধান এলাকাগুলির বিপদ বাড়ে৷ জলবায়ু পরিবর্তন থেমে নেই, কাজেই আফ্রিকায় আরো ঘন ঘন খরা হবে ও সেই খরা তীব্রতর হবে বলে গবেষকদের আশঙ্কা৷
দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপো প্রদেশে এই ছোট্ট দুগ্ধ সমবায়টি স্থানীয় গ্রামবাসীদের জন্য দুধ উৎপাদন করে থাকে৷ সমবায় সভাপতি স্টিফেন লেবোৎসা বললেন,‘‘খরা হলে ছোট খামারগুলো ধসে পড়বে, কাজ করতে পারবে না,কোনোরকম লাভ করতে পারবে না৷ আমি যদি খরার ব্যাপারে আগে থেকে সতর্কবার্তা পেতাম, তাহলে আমি আমার গরুবাছুরদের জন্য কিছুটা খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারতাম; দেখতে পারতাম, আমার বাঁধটা ঠিক রয়েছে কিনা, তাতে যথেষ্ট পানি আছে কিনা৷''
একদল ইউরোপীয় ও আফ্রিকান বিজ্ঞানীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গবেষণা প্রকল্পে লিম্পোপোয় এসেছেন ও ঘুরে দেখছেন, খরার প্রস্তুতির জন্য স্থানীয় চাষিদের কী ধরনের সাহায্য দেওয়া যেতে পারে৷
ভয়াবহ খরায় কেনিয়ায় রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরা চলছে কেনিয়ায়৷ সরকার জানিয়েছে, ২৭ লাখ মানুষ খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত৷ অনুর্বর এলাকাগুলোতে ২০ শতাংশ পশু মারা গেছে৷ উত্তরাঞ্চলে গ্রামবাসীরা পশুর মৃতদেহ পোড়াচ্ছে যাতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে না পড়ে৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
তুর্কানা উপজাতিদের গ্রাম
কেনিয়ার লইয়ানগালানির কাছে তুর্কানা উপজাতিদের গ্রামটির দৃশ্য৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
পোড়ানোর জন্য মৃতদেহ সংগ্রহ
তুর্কানা উপজাতির এক পুরুষ ছাগলের মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য নিকটবর্তী গ্রামে নিয়ে যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
আশ্রয়স্থল
লইয়ানগালানির কাছের একটি গ্রামে শিশু কোলে দাঁড়িয়ে আছেন তুর্কানা উপজাতির এক নারী৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
পানি সংগ্রহ
লইয়ানগালানির কাছের একটি গ্রাম থেকে একটি টিনে করে পানি নিয়ে যাচ্ছেন এক নারী৷ কেনিয়া সরকার জানিয়েছে, সেদেশে ২৭ লাখ মানুষ খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
পশু পালন যাদের জীবিকার উৎস
তুর্কানা’র মানুষরা পশু পালন করেই জীবন ধারণ করেন৷ পশু মজুদ এবং পশু পালন তাদের সম্পদের মূল উৎস৷ এত পশুর মৃত্যু তাদের জন্য ভয়াবহ একটা ক্ষতি৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
‘ডেস্টকিং’ কর্মসূচি
লেক তুর্কানার সৈকতে একটি নৌকা বাঁধা৷ সেদিকে হেঁটে যাচ্ছে কয়েকটি গাধা৷ সরকার ‘ডেস্টকিং’ কর্মসূচি শুরু করেছে৷ যেসব পশুপালক তাদের পশু বেচতে পারছে না, এই কর্মসূচিতে তাদের অর্থ দেয়া হয়৷ প্রতিটি ছাগল বা ভেড়ার জন্য দেয়া হয় কমপক্ষে ২০ ডলার, যা একটি স্বাস্থ্যবান পশুর দামের অর্ধেক৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
এখানে সেখানে পশুর মৃতদেহ
একই এলাকায় পড়ে আছে একটি ছাগলের মৃতদেহ৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
শিশুরাও নেমেছে পশুর মৃতদেহ সংগ্রহে
কেবল প্রাপ্তবয়স্করাই নন, শিশুরাও পশুদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে তা পোড়াতে সাহায্য করছে৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
ছাগলের মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে এক শিশু
এখানে ছাগলের মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে এক শিশু৷
ছবি: Reuters/G. Tomsevic
মানুষের জীবন বিপন্ন
খরার কবলে অনেক মানুষেরই জীবন বিপন্ন৷ একটি ঝোপের পাশে বসে আছে এক উপজাতি পুরুষ৷ বেশ অসুস্থ তিনি৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
পশুর মৃতদেহ পোড়ানো
একই এলাকায় ছাগলের মৃতদেহ পোড়ানো হচ্ছে৷ আর সেখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এক উপজাতি পুরুষ৷ কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলে মারা যাওয়া সব পশুর দেহ স্তূপ করে পোড়ানো হচ্ছে, কেননা, এসব মৃতদেহ পঁচে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে৷
ছবি: Reuters/G.Tomasevic
11 ছবি1 | 11
খরার ঝুঁকি
গবেষণা সমন্বয়কারী জঁ-মারি ওনেমা জানালেন, ‘‘স্বভাবতই খরা জনগণের সবচেয়ে দুর্বল অংশের উপর আঘাত হানে, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, এমনকি স্বাস্থ্যবিধানে সমস্যার সৃষ্টি করে৷ গোটা আফ্রিকা মহাদেশেই তা পরিলক্ষিত হয়৷ আমাদের প্রকল্পের লক্ষ্য হল, আফ্রিকায় খরা জনিত ঝুঁকিগুলি কমানো বা নির্মূল করা৷''
কৃষকরা প্রধানত টেলিভিশনে স্বল্পমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসের উপর নির্ভর করেন৷ স্যাটেলাইট এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত তথ্যভিত্তিক মাঝারি বা দীর্ঘমেয়াদি মডেলগুলি এতোই জটিল যে, সাধারণ মানুষদের পক্ষে তা বোধগম্য নয়৷
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ মিশা ভ্যার্নার বললেন, ‘‘এসব অবশ্যই খুব টেকনিক্যাল তথ্য, যা একজন খামারচাষির পক্ষে সহজে বোঝা সম্ভব নয় – আর বোঝার প্রয়োজনও নেই বলে আমি মনে করি৷ চাষিরা কীভাবে চাষ করবেন, গাইবাছুরকে কী খাদ্য দেবেন, এই সব সিদ্ধান্ত নেন এবং এমন সব মানদণ্ড ব্যবহার করেন, যার সঙ্গে এই সব মানচিত্রের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই৷ ওরা বোঝেন, ওদের খামার কীভাবে চলে; সেটা ওদের বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ তবে আমরা ওদের কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর দিতে পারি, যার সাহায্যে ওরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, খরার ক্ষেত্রে আরো সহজে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন৷''
সুলভ সতর্কতা
গবেষকরা একটি আগাম সতর্কসংকেত প্রণালী নিয়োগ করার প্রস্তাব দিচ্ছেন, যা যাবতীয় লভ্য তথ্যের ভিত্তিতে কিছু সহজ সুপারিশ করতে পারবে৷ বিজ্ঞানীরা, কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় মানুষজন মিলে সেই খরা সতর্কতা প্রণালীকে নির্ভরযোগ্য ও কর্মক্ষম করে তুলবেন৷
খরা, বন্যা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের কয়েকটি জাত
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে৷ তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো বেশ কিছু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা৷ ছবিঘরে থাকছে সেগুলোর কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মধ্যম খরা, ঠান্ডা ও লবণাক্ততা সহনীয় ধান
ব্রি ৫৫ হচ্ছে আউশ ও বোরো মৌসুমের ধান৷ এটি মাঝারি খরা, ঠান্ডা ও লবণাক্ত পরিবেশ সহ্য করতে পারে৷ আউশ মৌসুমে হেক্টর প্রতি ৫ টন ফলন হলেও বোরো মৌসুমে এই জাত ফলন দেয় প্রতি হেক্টরে সাত টন৷ ব্রি ৫৫ ধান ১০-১২ দিন সেচহীন অবস্থায় এবং ১৫-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৮ ডিএস/মিটার (প্রতি মিটারে ৮ ডেসিসিমেন্স) লবণাক্ত পরিবেশে টিকে থাকতে পারে৷ ১৪৫ দিনের মধ্যে এ ধান কাটার উপযোগী হয়৷
ছবি: M. Mamun
অধিক খরা সহিষ্ণু জাত
ব্রি ৫৭ জাতের এই ধানটিও আমন মৌসুমের৷ এটিও খরা সহনীয় ধান৷ পানির স্তর ২০ সেমি নীচে নেমে গেলেও এ জাতটি টিকে থাকতে পারে৷ এর ফলন হেক্টর প্রতি সাড়ে ৩ থেকে চার টন৷ ১০৫ দিনে এ ধান কাটার উপযোগী হয়৷
ছবি: M. Mamun
খরা সহনীয় জাত
খরা সহনীয় আগাম আমন মৌসুমের ধান হলো ব্রি ৫৬৷ ১৫ থেকে ১৬ দিন সেচহীন অবস্থায় টিকে থাকতে পারে৷ ব্রি ৫৬ প্রতি হেক্টরে চার থেকে সাড়ে চার টন ফলন দেয়৷ বীজতলা থেকে শুরু করে ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটার উপযোগী হয়৷
ছবি: M. Mamun
খরাপ্রবণ এলাকার ধান
ব্রি ৪৩ বোনা আউশের আগাম জাত ও কিছুটা খরাসহিষ্ণু৷ ছিটিয়ে, সারি করে এবং ডিবলিং- এই তিন পদ্ধতিতেই এর বীজ বোনা যায়৷ জাতটির জীবনকাল মাত্র ১০০ দিন৷ উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এই ধান হেক্টর প্রতি সাড়ে তিন টন ফলন দিয়ে থাকে৷
ছবি: M. Mamun
অতি খরা সহনশীল
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে ব্রি ৭১ ধানের জাত৷ খরা সহনশীল জাতটি প্রজনন পর্যায়ে ২১ থেকে ২৮ দিন বৃষ্টি না হলেও টিকে থাকতে পারে৷ দেখতে মাঝারি মোটা আকৃতির৷ জীবনকাল ১১৪ থেকে ১১৭ দিন৷ অতি খরা বা মাটির আর্দ্রতা ২০ শতাংশের নীচে থাকলেও প্রতি হেক্টরে ৩.৫ টন, মধ্যম মানের খরায় চার টন ও খরা না থাকলে পাঁচ থেকে ছয় টন পর্যন্ত ফলন হয়৷
ছবি: M. Mamun
ঝড়, বৃষ্টি সহিষ্ণু ধান
ব্রি ২৯ জাতের ধান চাষে সেচ, সার ও সময় কম লাগে৷ ঝড়, বৃষ্টিতেও হেলে পড়ে না৷ ১৬০ দিনে ফসল ঘরে তোলা যায়৷ বিঘা প্রতি ফলন ২৪-২৮ মন৷
ছবি: M. Mamun
বন্যা সহিষ্ণু ধান
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানের ফসলি জমি প্রায়ই আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়৷ এ ধরনের বন্যা সহ্য করতে পারে এমন কিছু জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ এর মধ্যে একটি ব্রি ৫১৷ এটি টানা ১৫ থেকে ১৭ দিন পানির নীচে ডুবে থাকলেও নষ্ট হয় না৷ বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে৷ হেক্টরে ৪ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়৷ দক্ষিণাঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় ধানের জাত এটি৷
ছবি: M. Mamun
অধিক বন্যা সহনশীল
ব্রি ৭৯ জাতের ধানের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ১৮ থেকে ২১ দিন বন্যার পানিতে ডুবে থাকলেও ফলনের তেমন ক্ষতি হয় না৷ আর এত দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে না পড়লে স্বাভাবিক অবস্থায় এটি হেক্টর প্রতি ৭ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম৷
ছবি: M. Mamun
লবণ সহিষ্ণু, অধিক ফলনশীল
আমন জাতের ব্রি-৭৩ ধান লবণসহিষ্ণু ও অধিক ফলনশীল৷ চাল মাঝারি চিকন ও সাদা৷ ভাতও হয় অন্য চালের চেয়ে ঝরঝরে৷ প্রতি হেক্টরে স্বাভাবিক ফলন হয় সাড়ে চা টন৷ কম লবণাক্ত জমিতে এ ধান ৬ দশমিক ১ টন ফলন দিতে পারে৷ এ জাতের ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের উপদ্রবও অনেক কম৷
ছবি: M. Mamun
একাধারে বন্যা ও লবণসহিষ্ণু
ব্রি ৭৮ জাতের আমন ধানটি একাধারে বন্যা ও লবণসহিষ্ণু৷ বাংলাদেশে এই জাতের ধান এটিই প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছে৷ এর আগে আলাদাভাবে লবণাক্ততা ও বন্যা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছিল৷ সে রকম দুই জাতের ধানের জিন একীভূত করে ব্রি-৭৮ উদ্ভাবন করা হয়েছে৷
ছবি: M. Mamun
জোয়ার-ভাটায় চাষের উপযোগী
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জোয়ার-ভাটা এলাকায় চাষের উপযোগী জাত ব্রি ৭৬৷ এ জাতের ধানগাছের উচ্চতা ১৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়৷ এ জাতের ধান অন্য যে-কোনো আমনের চেয়ে হেক্টরপ্রতি এক টন বেশি ফলন দেয়৷
ছবি: M. Mamun
উচ্চমাত্রার আমিষযুক্ত ধান
১৯৯৭ সালে ইরান থেকে নিয়ে আসা ‘আমল ৩’-এর সঙ্গে বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় মেগাজাত ব্রি ২৮-এর সংকরায়ণ ঘটিয়ে ব্রি’র বিজ্ঞানীরা নতুন জাতের একটি ধানের উদ্ভাবন করেছেন৷ এর নাম ব্রি ৮১৷ বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন জাতের ধানের ফলন হবে প্রচুর, মানের দিক থেকে হবে রপ্তানিযোগ্য৷ এছাড়া এতে আমিষও থাকবে বেশি৷
ছবি: M. Mamun
উচ্চ ফলনশীল সরু চালের ধান
জাতের নাম ব্রি ৬৩৷ এই জাতের ধান থেকে বোরো মৌসুমে উচ্চমানের চাল পাওয়া যায়৷ এর চাল সরু ও গুণাগুণ বালাম চালের মতো বলে জাতটি সরু বালাম নামে পরিচিত৷ এ ধানের চাল বাসমতির মতো লম্বা ও চিকন৷ ১৪৮ থেকে ১৫০ দিনে ফসল ঘরে তোলা যায় এবং উপযুক্ত পরিচর্যায় হেক্টরে সাড়ে ছয় থেকে সাত টন ফলন হয়৷ ব্রি ৬৩-র আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত ধানের জাতের চেয়ে অনেক কম৷
ছবি: M. Mamun
13 ছবি1 | 13
যুগ্ম গবেষণা কেন্দ্রের খরা গোষ্ঠীর প্রধান ইয়ুর্গেন ফোগ্ট বললেন, ‘‘ইউরোপীয় পর্যায়ে আমরা নানা ধরনের ডাটা দিতে পারি, যেমন আবহাওয়া সংক্রান্ত ডাটা – মনিটরিং ডাটা অথবা অন্তত আগামী কয়েকদিনের জন্য ডাটা ফোরকাস্ট বা আবহাওয়ার পূর্বাভাস৷ কাজেই যুগ্ম গবেষণা কেন্দ্রে আমাদের একটি কাজ হল নানা ধরনের ‘ইন্ডিকেটর' নির্দেশ করা, যেগুলি মহাদেশ পর্যায়ে বা আঞ্চলিক পর্যায়ে, এমনকি স্থানীয় পর্যায়েও অঙ্ক কষে বার করা সম্ভব৷''
গবেষকরা গোটা আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনা বিশ্লেষণ করে দেখছেন; দেখছেন কীভাবে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলগুলিতে প্রশাসন ও সহযোগিতার উন্নতি ঘটানো সম্ভব৷
দক্ষিণ আফ্রিকার পানি বিভাগের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জ্যাকি ভেন্টার বললেন, ‘‘পরিস্থিতি হল এই যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পর্যাপ্ত পানি নেই৷ বর্ষাকালটা ছোট এবং দীর্ঘ শীতে নদীনালায় পানি কমে আসে৷ কাজেই পানিসম্পদের উন্নততর ব্যবস্থাপনা নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন৷''