1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোবোট-মানুষ সম্পর্ক

২৬ এপ্রিল ২০১৩

আর ঢালাও পণ্য নয়, ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী আলাদা রঙের, আলাদা ধরণের পণ্য তৈরি করে দেবে রোবোট৷ ভবিষ্যতের এই উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে জার্মানিতে চলছে গবেষণা৷

ছবি: Deutsche Messe AG

উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নতুন দিশা

ভবিষ্যতের উৎপাদন প্রক্রিয়ার একটা ঝলক পাওয়া যাচ্ছে আজই৷ চিপ-এর সাহায্যে বোতলই উৎপাদন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে৷ বোতলই ঠিক করছে, তার মধ্যে কোন ডিটারজেন্ট ঢালা হবে, কোন ছিপি লাগানো হবে৷ ভবিষ্যতে এভাবেই উৎপাদন হবে৷ জার্মানির কাইজার্সলাউটার্ন শহরে এক গবেষণা কেন্দ্রে আজ সেই পরীক্ষা চলছে৷ যেমন একটি বোতল হলুদ ডিটারজেন্ট ও কালো ছিপি চেয়েছিল৷ ক্রেতা যা চায়, ঠিক তাই করছে সেটি৷

ক্রেতারা আজকাল বেশ খুঁতখুঁতে হয়ে পড়ছেন৷ তারা কম সময়ে একই পণ্যের নানা বৈচিত্র চাইছেন৷ অর্থাৎ দ্রুত উৎপাদন করতে হবে, পণ্য বেশি টেকসই করারও দরকার নেই৷ এটা শিল্পজগতের জন্য এক চ্যালেঞ্জ৷ তাদের এমন সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা আগের তুলনায় অনেক সহজে কাজের ধরন বদলে ফেলতে পারে৷

যন্ত্রের সাথে যন্ত্রের সংলাপ

মিউনিখে আউগুস্ট ভিলহেল্ম শেয়ার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন৷ তিনি ছোট আকারে এমন এক উৎপাদন প্রক্রিয়া সাজিয়েছেন, যার অংশগুলি একে অপরের সঙ্গে কথা বলে৷ আধুনিক সফটওয়্যারের সাহায্যে যন্ত্র সত্যিই অন্য যন্ত্রের সঙ্গে কথা বলে৷ এই সফটওয়্যার একেবারে নতুন এক জগতের দরজা খুলে দিয়েছে৷ তিনি জানালেন, এখানে সবকিছু একে অপরের সাথে যুক্ত৷ মেশিন মেশিনের সঙ্গে কথা বলে, মেশিন পণ্যের সঙ্গে কথা বলে৷ পণ্যও অন্য পণ্যের সঙ্গে কথা বলে৷ সাপ্লায়ার তাদের সাপ্লায়ারের সঙ্গে কথা বলে৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবাই যুক্ত রয়েছে৷

গবেষণা কেন্দ্রে রোবোটকেও আরও সহজ করে তোলার চেষ্টা চলছে৷ কারণ ভবিষ্যতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ও যন্ত্রকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে৷ ফলে তারা নিজেদের মধ্যে সহজে কথাবার্তা বলতে না পারলে চলবে না৷ আউগুস্ট ভিলহেল্ম শেয়ার এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘পরিষেবা ক্ষেত্রে, বিশেষ করে লজিস্টিক্স-এ রোবটের ব্যবহার বাড়ছে৷ ভবিষ্যতে গাড়িতে মাল তোলার কাজের মতো প্রক্রিয়ায় মানুষ ও রোবোটের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়বে বলে আমরা মনে করি৷''

‘মানুষের প্রয়োজন ফুরাবে না'

কাইজার্সলাউটার্ন-এও মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে গবেষণা চলছে৷ তবে মানুষের প্রয়োজন একেবারে ফুরিয়ে যাবে না৷ কী করতে হবে, সফটওয়্যার তা দেখিয়ে দেবে৷ অনেক কাজ খুব সাবধানে করতে হয়, তাতে বোধশক্তির দরকার হয়৷ সেখানে মানুষ ছাড়া চলবে না৷ সেখানকার বিজ্ঞানী কাটারিনা মুরা বললেন, ‘‘আমাদের ধারণা, কিছু পণ্য আর বড় আকারে উৎপাদন করা হবে না৷ উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রক্রিয়াগুলি ছোট বা মাঝারি আকারে ভাগ হয়ে যাবে৷ অটোম্যাটিক পদ্ধতিতে তা সম্ভব নয়৷ মানুষকেই হাতে করে সেই কাজ করতে হবে৷''

বড় আকারে উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে খুব পারদর্শী কর্মীর দরকার হবে৷ সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকলে চলবেই না৷ নতুন নতুন পেশা তৈরি হবে৷ তবে মানুষ ছাড়া একেবারে খালি কারখানা কখনোই চলবে না৷ আউগুস্ট ভিলহেল্ম শেয়ার মনে করেন, ‘‘মানুষের জন্য অনেক কাজ বাকি থাকবে৷ তবে সেগুলি হবে উঁচু দরের কাজ৷ কম্পিউটার তো আর নিজে থেকে চলে না, মেশিনও নয়৷ কাজের পরিকল্পনা চাই, মেশিন তৈরি করা চাই৷ আমরা শিল্পক্ষেত্রের মধ্যেও আরও বেশি করে পরিষেবার দিকে ঝুঁকবো৷ যন্ত্রপাতি চালানোর কাজ ছেড়ে গবেষণা, উন্নতির মতো উঁচু দরের কাজ করবো৷''

নতুন এই সিস্টেমে ক্রেতারা একই পণ্য বলতে গেলে নিজেদের পছন্দমতো গড়ে নিতে পারবেন৷ খুঁটিনাটি পরিবর্তন চাইতে পারবেন৷ পরিমাণে কম চাইলেও তা উৎপাদন করা যাবে৷ এভাবে প্রতিযোগিতার বাজারে জার্মানি আগামী দশকগুলিতেও ভালোভাবে টিকে থাকবে৷

এসবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ