ইলেকট্রিক খেলনাগুলোতে কী সুন্দর আলো জ্বলে, কত্তো রকমের শব্দ করে, যা বাচ্চাদের খুবই প্রিয়৷ তবে আগে ইলেক্ট্রিক খেলনায় বড় সাইজের ব্যাটারি ব্যবহার করা হতো৷ তবে আজকাল থাকে পাতলা বোতামের মতো খুবই ছোট মাইক্রো ব্যাটারি৷ তাই ফেডারেল ইন্সটিটিউট ফর রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট-এর এ বিষয়ে সতর্কবাণী– ইলেকট্রিক পার্টস গিলে ফেললে এবং তা শ্বাসনালীতে ঢুকে গেলে শিশুর স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে৷

ব্যাটারির কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে অ্যামেরিকায়৷ দুর্ঘটনার হার আগের তুলনায় দ্বিগুণ বলে জানান কলম্বাস নেশনওয়াইড শিশু হাসপাতালের গবেষকরা৷ তবে এই আশঙ্কা কিন্তু জার্মানিতেও রয়েছে৷ কারণ, শিশুদের খেলনায় মাইক্রো ব্যাটারির ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে এবং জার্মানিতেও ডাক্তারদের এসব সমস্যার মোকাবেলা হতে হচ্ছে৷ এ তথ্য জানান, জার্মানির শিশু-কিশোরদের রোগ বিষয়ক অ্যাসোসিয়েশনের ড. হ্যারমান ইয়োসেফ কাল৷

এরকম ব্যাটারি যদি শিশুর খাদ্যনালী বা পেটে চলে যায় তাহলে মারাত্মক সমস্যা করতে পারে৷ ভেতরে পুড়ে গিয়ে কোষের ক্ষতি কিংবা রক্তক্ষরণও হতে পারে৷ গলায় আটকে গেলে ক্রনিক ইনফেকশন থেকে ফুসফুস ইনফেকশনও হতে পারে৷

শিশুরা হাতের কাছে যা পায় সেটাই মুখে দেয়, না হয় ভেঙেচুরে দেখতে চায় ভেতরে কী আছে৷ ওষুধ বা ছুরির মতো ধারালো জিনিস যেন শিশুর হাতের কাছে না থাকে, সে ব্যাপারে বড়রা সবসময়ই সতর্ক থাকেন৷ তবে ব্যাটারিও কিন্তু এসবের চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়!

যদি মা-বাবার মনে হয় শিশুসন্তান ব্যাটারি গিলে ফেলেছে, তাহলে সাথে সাথেই হাসপতালে চলে যেতে হবে৷ কারণ, সেই সময় কিন্তু প্রতিটি মিনিটি মহামূল্যবান৷ অনেক সময় বড়রা খেয়াল না করার কারণে তাঁদের সামনেও শিশুরা এ কাজটি করে থাকে৷ এরকম সন্দেহ হলে বা শিশু অস্বাভাবিক আচরণ করলে দেরি না করে হাসপাতালে চলে যাওয়াই উত্তম বলে মনে করেন ডা. কাল৷

হাসপাতালে নেয়ার পর এক্সরে-তে ব্যাটারি দেখা গেলে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে ব্যাটারি বের করে ফেলা সম্ভব৷

ছোট শিশুরা হাতের সামনে যা পায় সেটাই মুখে দেয়৷ কাজেই এক্ষেত্রে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই৷ তাছাড়া শিশুর খেলনা কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে ছোট ব্যাটারি নয়, বড় ব্যাটারি ব্যবহারের ব্যবস্থা যেন থাকে৷ আর তা না হলে যেন অন্তত ব্যাটারি খোলার জন্য স্ক্রুড্রাইভার ব্যবহার করতে হয়, যাতে শিশু নিজে সেটা খুলতে না পারে৷