চীনারা চা পানকারী হিসাবে পরিচিত হলেও কফি পানের দিকেও ঝুঁকছে ইদানীং৷ অ্যামেরিকান কফি হাউস স্টারবাকস-এর রেকর্ড পরিমাণ লাভ দেখে সেটাই বোঝা যায়৷
বিজ্ঞাপন
১৫ বছর আগে অ্যামেরিকান কফি হাউস স্টারবাকস-এর শাখা খোলা হয় বেইজিং-এ৷ তখন অনেকেই মনে করেছিল শুধু অ্যামেরিকান কিংবা বিদেশিদের কাছেই সমাদর পাবে এটি৷
একে তো কফির তিতা স্বাদে চীনারা অভ্যস্ত নয়, তার ওপর দামও আকাশচুম্বী, তাই সনাতন টি-হাউস থেকে তাদের সরানো যাবে না – এমনটি ভাবা হয়েছিল প্রথম দিকে৷
জার্মানদের কাছে চায়ের কদর
বাঙালির আড্ডা চা ছাড়া জমে না, জার্মানদের আড্ডায় কী থাকে জানেন কি?
ছবি: imago/Joachim Schulz
নানা স্বাদের চা
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে চায়ের জনপ্রিয়তার কথা আমরা সকলেই জানি৷ আর বাঙালিদের আড্ডা মানেই ‘চা’৷ চায়ের সাথে সিঙাড়া, চানাচুর বা ঝালমুড়ি হলে তো কথাই নেই৷ তবে জার্মানরাও যে চা পান করতে পছন্দ করেন, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই৷ জার্মানিতে ১৯ শতকে রাশিয়া থেকে প্রথম চা আনার মধ্য দিয়েই চায়ের সাথে জার্মানদের পরিচয় ঘটে৷ আর বর্তমানে জার্মানিতে তিন হাজার রকমের চা পাওয়া যায়৷
ছবি: imago/imagebroker/Kröger
কফির পরিবর্তে চা
বেশির ভাগ জার্মান সকালে নাস্তার সাথে কফি পান করেন৷ কেউ কেউ বলেন, কফি ছাড়া নাকি তাদের ঘুমই ভাঙেনা৷ স্বাস্থ্য-সচেতন অনেক জার্মানই আজকাল চায়ের দিকে ঝুঁকছেন, চা’কে প্রাধান্য দিচ্ছেন৷ তবে শুধু সকাল আর বিকেল নয়, দিনের যে কোনো সময়ই জার্মানদের চা পান করতে দেখা যায়৷ যে কোনো ক্যাফেতেও কফির পাশাপাশি চা থাকে৷ এখানকার মানুষ চায়ের পুরো স্বাদ পেতে হালকা চা পছন্দ করেন৷
ছবি: Fotolia/yassend
সবুজ চা
চীন হলো চায়ের আদি জন্মস্থান৷ বেশিরভাগ গ্রিন টি আসে চীন থেকে৷ জার্মানরা গ্রিন টি বা সবুজ চা বেশ পছন্দ করেন, যাতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য প্রয়োজন৷ সবুজ চা’কে অনেক সময় জাদুর ওষুধ বলা হয়ে থাকে৷ যা নিয়মিত পান করলে ক্যানসার, আল্সহাইমার, ব্লাড প্রেশার, ডায়েবেটিস এর মতো কঠিন অসুখকে দূরে রাখতে সাহায্য করে৷
ছবি: Fotolia/gaai
বাংলাদেশের চা
চা আমদানী করা হয় ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ইটালি, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য অনেক দেশ থেকে৷ বাংলাদেশে ১৬৩টি চা বাগান রয়েছে৷ তার মধ্যে ১৪৮টি বাগানই শুধু সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়৷ বাংলাদেশের চা ইংল্যান্ড, অ্যামেরিকা, জার্মানি ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়৷ হয়তো অতটা বিস্তৃত আকারে নয়, আর সে কারণেই হয়তো জার্মানির চায়ের দোকানে বাংলাদেশের লেবেল আটা চা কখনো চোখে পড়েনি৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
মেয়েদের জন্য বিশেষ ‘চা’
পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, দাঁত ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব বা এ ধরণের শরীর খারাপ লাগলে তার জন্যও রয়েছে ভেষজ চা৷ বলা যায়, মানুষের শরীরের যে কোনো ধরনের ছোটখাটো সমস্যা সারাতে রয়েছে নানা প্রকারের চা৷ প্রকৃতির এই অফুরন্ত দানের মধ্যে মেয়েদের জন্য রয়েছে ‘যোগী’ চা বা ‘পাওয়ার’ চা৷ জার্মানির অনেক ফিটনেস সেন্টারে যোগব্যায়ামের পর ‘ইয়োগী’ চায়ের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে৷
ছবি: Fotolia/Robert Kneschke
মন্ত্রীসভায় ‘চা’
জার্মান শিক্ষামন্ত্রী ইয়োহানা ভাংকা সাপ্তাহিক মন্ত্রীসভায় নিজের কাপে চা ঢালছেন৷
ছবি: Odd Andersen/AFP/Getty Images
কোনটা চাই, পাতা ‘চা’ না ‘টি’ ব্যাগ?
কাজ কম এবং দামে সস্তা বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টি ব্যাগ ব্যবহার করেন জার্মানরা৷ আর রয়েছে বিভিন্ন ফলের ফ্লেভার দেওয়া চা, ওয়াইট বা সাদা চা, আদা চা, লেবু চা৷ তবে সৌখিন চা প্রেমিরা পাতা চা দিয়েই চা তৈরি করেন৷ বলা বাহুল্য, সে চা খেতে অবশ্যই ভালো এবং দামেও তিন চারগুণ বেশি৷ চায়ের স্বাদ বজায় রাখতে সাধারণ চিনির বদলে মেশানো হয় ব্রাউন সুগার বা ক্যান্ডি সুগার৷ আমরা যাকে মিশ্রি বলে থাকি৷
ছবি: Mehr
বিশেষ চায়ের জন্য বিশেষ দোকান
প্রায় সব সুপারমার্কেটেই ৮ থেকে ১০ রকমের চা পাওয়া যায়, তবে চায়ের গুণগত মান বজায় রাখতে বিশেষ চায়ের জন্য রয়েছে আলাদা দোকান, যেখানে শুধুই চা বিক্রি করা হয়৷ নানা স্বাদ, রং আর গন্ধের চাইনিজ গ্রিন টি সৌখিন জার্মানরা পছন্দ করেন৷ যেমন ভালো জাতের গ্রিন টি ‘লুং শিং’-এর দাম কেজি প্রতি ৮০ ইউরো৷ গ্রিন টি ওজন কমাতে বা ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে বলে মেয়েদের কাছে বেশ প্রিয়৷
ছবি: cc-by-sa/Oskari Kettunen
‘চা’ শুধু পানীয় নয় – এর চেয়েও বেশি কিছু
জার্মানিতে শীতকালে চায়ের কদর অনেক বেশি৷ শীতের রাতে মোমের আলো আঁধারির রোম্যান্টিক পরিবেশে সুন্দর করে এক কেটলি চা বানিয়ে অনেকে আস্তে আস্তে তা পান করেন, বেশ রোম্যান্টিক পরিবেশে৷ কখনো বা চালিয়ে দেন ল্যাপটপে ভীষণ পছন্দের একটা ছবি, যেটা অনেকবারই হয়তো দেখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মসলা চা
শুধু শীতকালে বা বড়দিনের সময় বাজারে আসে মশলা চা৷ যাতে মেশানো থাকে আদা, এলাচ, দারুচিনি, লং, তেজপাতা জাতীয় গরম মশলা৷ বড়দিনের সময়টাতে বা প্রচণ্ড শীতে জার্মানদের কাছে এই চায়ের বেশ চাহিদা- যা নাকি শরীর গরম রাখতে খানিকটা সাহায্য করে৷
ছবি: DW/V.Kern
চা বানানোর রেসিপি
চায়ের বিশেষ দোকানগুলোতে চা কেনার সময়ই একটি তথ্যপুস্তিকা সাথে দিয়ে দেওয়া হয়৷ যাতে দেয়া থাকে কোন চায়ের পাতা কতক্ষণ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে, বা গরম পানির তাপমাত্রা কত হলে চায়ের পুরো গুণাবলী বা স্বাদ থাকবে ইত্যাদি৷ চায়ের স্বাদ বা রং অনেক সময় চায়ের কাপ বা কেটলির ওপরও নির্ভর করে-এরকম পরামর্শও দেওয়া হয়ে থাকে৷ আবার কিছু কিছু দোকানে চা কেনার আগে টেস্ট করে দেখারও ব্যবস্থা রয়েছে৷
ছবি: Sean Gallup/Getty Images
চা এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছেও প্রিয়
আজকাল সব দেশেই নানা ধরণের বিভিন্ন ডিজাইনের চায়ের সরঞ্জাম পাওয়া যায়৷ চা রাখার পাত্র বা চা পান করার পাত্রগুলোকে কখনো মনে হয় যেন ‘ডেকরেশন পিস’৷ অনেক জার্মান বাড়িতেই কয়েক রকমের চা দেখা যায়৷ যাদের ওজন নিয়ে সমস্যা তারা চায়ের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন৷ তাই এই প্রজন্মের স্বাস্থ্য সচেতন ছেলেমেয়েদের কাছে চা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷
ছবি: Getty Images
শরীর এবং মনে এনে দেয় প্রশান্তি
বেছে নিন সুন্দর একটি কেটলি, ভেতরটা ফুটন্ত পানি দিয়ে ধুয়ে নিন৷ এক চা চামচ লুং শিং আর আধা চা চামচ দার্জিলিং চা মিশিয়ে কেটলিতে দিয়ে গরম পানি ঢেলে দিন৷ ২ থেকে তিন মিনিট ভিজিয়ে রেখে তুলে ফেলুন আর কেটলির চায়ে মিশিয়ে দিন কয়েক ফোটা তাজা লেবুর রস৷ মুখে দিন এক টুকরো ক্যান্ডি সুগার৷ সেই সাথে আস্তে আস্তে পান করুন এই মাত্র তৈরি করা চা৷ দেখবেন কিছুক্ষণ পর শরীরটা কেমন ঝরঝরে লাগছে৷ সেই সাথে মনটাও!
ছবি: imago/Joachim Schulz
13 ছবি1 | 13
সংশয় দূর হয় দ্রুত
স্টারবাকস-এর কর্মকর্তারাও তাদের দোকানটি চলবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না৷ চা পানকারী চীনারা কাগজের কাপে কাপুচিনো ও লাটে মাখিয়াটোর প্রতি আগ্রহ দেখাবে কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছিল না৷ কিন্তু এই সংশয় দ্রুতই দূর হয়ে যায়৷
১৫টি শাখা প্রতিষ্ঠান নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন স্টারবাকস-এর ৬০০-র ওপর শাখা চীনের নানা স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে৷ অ্যামেরিকার পর চীনই এখন স্টারবাকস-এর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বাজার৷ এজন্য আগামী বছরের মধ্যে স্টারবাকস তার শাখা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
স্টারবাকস-এর এই সাফল্যের কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা দেওয়া যায় এভাবে, চীনের বড় বড় শহরের বাসিন্দাদের কাছে কফি অনেক আগেই লাইফস্টাইলের অংশে পরিণত হয়েছে৷
কফির স্বাদে সুখানুভূতি
উচ্চমধ্যবিত্তরা কফির স্বাদে এক ধরনের সুখানুভূতি খুঁজে পান৷ ইতোমধ্যে দক্ষিণ পূর্ব চীনে কফি উৎপাদনও শুরু হয়েছে৷
কফি পানে জার্মানরা এগিয়ে
বিশ্বে গরম পানীয়গুলোর মধ্যে কফি সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়৷ কফি পান করার দিক থেকে জার্মানি তৃতীয় নম্বরে রয়েছে৷ প্রথম অ্যামেরিকা, দ্বিতীয় ব্রাজিল৷ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানরা শতকরা ৩০ ভাগ বেশি কফি পান করেন৷
ছবি: Fotolia
জার্মানদের জনপ্রিয় পানীয় কফি
কফির ইতিহাস জানতে হলে প্রায় ৪০০ বছর পেছন ফিরে তাকাতে হবে৷ কফি মূলত এসেছে ইথিওপিয়া থেকে৷ ২০১২ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে জার্মানরা গড়ে জন প্রতি ১৪৯ লিটার কফি পান করেন৷ গত বছর মোট ৪০২,০০০ টন দানা কফি এবং ১২.৮০০ টন ইন্সট্যান্ট কফি পান করা হয়েছে৷ পানি বা বিয়ারের চেয়ে কফি বেশি পান করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কাপুচিনো
কাপোচিনু, এসপ্রেসো, কাফেলাটে – এরকম বিভিন্ন কফির মধ্যে কাপোচিনু বেশ জনপ্রিয়৷ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে৷ বিভিন্ন ক্যাফেতে নানা ধরণের ‘ফ্রেশ’ কফি পাওয়া যায়৷ তাছাড়াও অফিস আদালত, দোকান, স্টেশনসহ প্রায় সব জায়গাতেই অটোম্যাটিক কফি শপ থাকে৷ অর্থাৎ যেখানে কফির কাপ, কফি, দুধ, চিনি সবই ঢুকানো থাকে আর দাম লেখা থাকে কফির ছবির গায়ে৷ পয়সা ঢুকিয়ে দিলেই কফি বের হয়ে আসে৷
ছবি: Fotolia/Nataliya Peregudova
জার্মানদের প্রিয় পানীয় কফি কিভাবে তৈরি হয়?
আসল কফি বলতে যা বোঝায় তা হচ্ছে কফির বীজ বা দানাকে পাউডার করে কফি তৈরির মেশিনে পানি ঢেলে যে তৈরি করা হয় সেটাই৷ প্রায় প্রতিটি জার্মান বাড়িতেই এই মেশিন দেখা যায়৷
ছবি: Fotolia
কফি পানে জার্মানরা এগিয়ে
বিশ্বে গরম পানীয়গুলোর মধ্যে কফি সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়৷ কফি পান করার দিক থেকে জার্মানি তৃতীয় নম্বরে রয়েছে৷ প্রথম অ্যামেরিকা, দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ব্রাজিল৷ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানরা শতকরা ৩০ ভাগ বেশি কফি পান করেন৷
ছবি: Bilderbox
কফিতে কি কি আছে?
কফিতে রয়েছে কফিইন, যা মানুষের ব্রেনকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ ডায়েবেটিস, বাত এবং পারকিনসনের রোগীদের জন্য কফি খুবই উপকারী৷ তবে উচ্চ রক্তচাপ বা হবু মায়েদের কফি পান করা থেকে দূরে থাকাই ভালো, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একথাই বলেন তাঁরা৷
ছবি: Deutscher Kaffeeverband e.V.
ইন্সট্যান্ট কফির কদর বাড়ছে
জার্মানিতে বীজ বা দানা কফির চেয়ে মানুষ ইন্সট্যান্ট কফির দিকে আজকাল বেশি ঝুঁকছে৷ কারণ, এই কফি অনেক সহজ উপায়ে তৈরি করা যায়৷ গত কয়েক বছর থেকে আরো সহজ উপায়ে তৈরি কফি বাজারে এসেছে৷
ছবি: BilderBox
ব্রাজিলের কফি খেত
ইথিওপিয়া এবং ব্রাজিলসহ বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে কফি চাষ হয়ে থাকে৷
ছবি: Svane Bender-Kaphengst / NABU
কফি প্যাডস বা ক্যাপসুল
কফি, দুধ এবং চিনি সবই আলাদা করে ছোট ছোট ব্যাগ বা কৌটোতে ভরা থাকে, সেগুলো কফি মেশিনে ঢুকিয়ে মেশিন চালিয়ে দিলেই কফি তৈরি হয়ে গেলো৷ যখন খুশি, যতবার খুশি ইচ্ছে মতো পান করা যায়৷ এসব কফি তৈরির জন্য আলাদা কফি মেশিনও তৈরি করা হয়েছে৷ বলা বাহুল্য, এসব মেশিনের দাম একেবারে কম নয়৷
ছবি: fotolia/berc
অন্যান্য পানীয়ের চেয়ে কফির চাহিদা বেশি
জার্মানির হামবুর্গের কফি সংঘের প্রধান হলগার প্রাইবিশ ভাষায়, ‘জার্মানি হচ্ছে কফি পানের দেশ, যে দেশে অন্যান্য পানীয় মধ্যে কফি সবচেয়ে বেশি পান করা হয়৷
ছবি: Fotolia
9 ছবি1 | 9
গত বছর চীনের মহাকাশযান শ্যেনজুতে প্রতীক স্বরূপ একটি চা-পাতার পরিবর্তে কফির বীজ সাথে দেওয়া হয়েছিল৷ চীনা কর্তৃপক্ষ কফিকে শুধু পশ্চিমের হাতে ছেড়ে দিতে চান না৷
পশ্চিমের যে-কোনো কিছুই আধুনিক ও চটকদার, এরকমই মনে করা হয় চীনে৷ তাই স্টারবাকসও তার গরম পানীয় অন্যান্য দেশের চেয়ে উচ্চ মূল্যেই বিক্রি করে চীনে৷ এক কাপ সাধারণ কফির দাম প্রায় চার ইউরো৷
স্টারবাকস-এর প্রতি সংহতি
তবে পশ্চিমি জীবানুভূতির জন্য উঁচু দামও যে কোনো বাধা নয়, তা বুঝতে পেরেছে চীনের সরকারি টেলিভিশন সিসিটিভি-ও৷ এক রিপোর্টে এই টিভি চ্যানেল স্টারবাকস-এর কফির গলাকাটা দামের সমালোচনা করায় উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়৷ ব্লগাররা স্টারবাকস-এর পক্ষ নিয়েই মন্তব্য করেন৷ চীনের বড় বড় শহরে স্টারবাকসকে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য মোটা অংকের ভাড়া গুণতে হয় এই যুক্তি দেন তাঁরা৷ অবশ্য ম্যানহাটানের চেয়ে বেইজিং-এ ভাড়া বেশি কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে পারে৷
প্রতিযোগীরাও বসে নেই
তবে স্টারবাকস ভবিষ্যতেও তার সাফল্য ধরে রাখতে পারবে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না৷ কেননা প্রতিযোগীরাও বসে নেই৷ ইতোমধ্যে ব্রিটেনের ‘কোস্টা কফি' চীনে ৩০০টি শাখা খুলেছে৷ অন্যদিকে দক্ষিণ কোরীয় ‘ক্যাফে বেনে' আগামী বছরের মধ্যে ৩,০০০ শাখা খুলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে৷