বাংলাদেশে চায়ের ইতিহাস অনেক পুরনো৷ পাটের পর চা রপ্তানি করে একসময় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত বাংলাদেশ৷ দেশটি এখনও চা রপ্তানি করলেও, রপ্তানির চারগুণ চা তাদের আমদানি করতে হয় শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটানোর জন্য৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে চা উৎপাদনকারী মালিকদের সংগঠন চা সংসদ-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে ৬ কোটি ৪০ লাখ কেজি চা পান করেছে এ দেশের মানুষ, যা ২০০৯ সালের তুলনায় এক কোটি কেজি বেশি৷
আসলে গত প্রায় ২৩ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানি কমে চলেছে৷ ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, ২৩ বছরে ধারাবাহিকভাবে চা রপ্তানি থেকে আয়ও কমেছে৷ চা রপ্তানি করে ১৯৯০ সালে যেখানে আয় হয়েছিল ১৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, তখন ২০১৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকায়৷
চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা রপ্তানি হয়েছিল৷ অথচ ২০১৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫ লাখ ৪০ হাজার কেজিতে৷ যদিও ২০১৪ সালে তা বেড়ে মোট চা রপ্তানি প্রায় ১৬ লাখ ৬০ হাজার কেজিতে উন্নীত হয়৷
আরদাসির কবির
রপ্তানি কমলেও চা উৎপাদন অবশ্য বাড়ছে বাংলাদেশে৷ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে মোট ১ কোটি ৮৩ লাখ ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন করা হয়৷ ২০১৫ সালের উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ১০ লাখ ৮ হাজার কেজি৷
শুধু তাই নয়, চায়ের অভ্যন্তরীণ ভোগও বাড়ছে বাংলাদেশে৷ ১৯৯০ সালে অভ্যন্তরীণ ভোগের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ কোটি ৬ লাখ ১ হাজার কেজি৷ সেখানে ২০১৫ সালে এই অভ্যন্তরীণ ভোগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার কেজি৷
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে চা আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩ হাজার কেজির মতো৷
চা চাষের শুরু, অবস্থার অবনতি
সিলেটের মালনিছড়া চা-বাগানের মাধ্যমে ১৮৫৪ সালে বাংলাদেশে চা চাষ শুরু হয়৷ তবে বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে৷ বর্তমানে হেক্টর প্রতি গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ২৪৭ কেজি চা৷
চা সংসদের তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমিতে এ, বি এবং সিএই – এই তিন শ্রেণির ১৬৩টি চা-বাগান রয়েছে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯০টি চা-বাগান রয়েছে মৌলবীবাজার জেলায়৷ এছাড়া হবিগঞ্জ ও সিলেটে ২০টি করে, চট্টগ্রামে ২২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাঙামাটিতে একটি করে চা-বাগান রয়েছে৷
জার্মানদের কাছে চায়ের কদর
বাঙালির আড্ডা চা ছাড়া জমে না, জার্মানদের আড্ডায় কী থাকে জানেন কি?
ছবি: imago/Joachim Schulz
নানা স্বাদের চা
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে চায়ের জনপ্রিয়তার কথা আমরা সকলেই জানি৷ আর বাঙালিদের আড্ডা মানেই ‘চা’৷ চায়ের সাথে সিঙাড়া, চানাচুর বা ঝালমুড়ি হলে তো কথাই নেই৷ তবে জার্মানরাও যে চা পান করতে পছন্দ করেন, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই৷ জার্মানিতে ১৯ শতকে রাশিয়া থেকে প্রথম চা আনার মধ্য দিয়েই চায়ের সাথে জার্মানদের পরিচয় ঘটে৷ আর বর্তমানে জার্মানিতে তিন হাজার রকমের চা পাওয়া যায়৷
ছবি: imago/imagebroker/Kröger
কফির পরিবর্তে চা
বেশির ভাগ জার্মান সকালে নাস্তার সাথে কফি পান করেন৷ কেউ কেউ বলেন, কফি ছাড়া নাকি তাদের ঘুমই ভাঙেনা৷ স্বাস্থ্য-সচেতন অনেক জার্মানই আজকাল চায়ের দিকে ঝুঁকছেন, চা’কে প্রাধান্য দিচ্ছেন৷ তবে শুধু সকাল আর বিকেল নয়, দিনের যে কোনো সময়ই জার্মানদের চা পান করতে দেখা যায়৷ যে কোনো ক্যাফেতেও কফির পাশাপাশি চা থাকে৷ এখানকার মানুষ চায়ের পুরো স্বাদ পেতে হালকা চা পছন্দ করেন৷
ছবি: Fotolia/yassend
সবুজ চা
চীন হলো চায়ের আদি জন্মস্থান৷ বেশিরভাগ গ্রিন টি আসে চীন থেকে৷ জার্মানরা গ্রিন টি বা সবুজ চা বেশ পছন্দ করেন, যাতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য প্রয়োজন৷ সবুজ চা’কে অনেক সময় জাদুর ওষুধ বলা হয়ে থাকে৷ যা নিয়মিত পান করলে ক্যানসার, আল্সহাইমার, ব্লাড প্রেশার, ডায়েবেটিস এর মতো কঠিন অসুখকে দূরে রাখতে সাহায্য করে৷
ছবি: Fotolia/gaai
বাংলাদেশের চা
চা আমদানী করা হয় ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ইটালি, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য অনেক দেশ থেকে৷ বাংলাদেশে ১৬৩টি চা বাগান রয়েছে৷ তার মধ্যে ১৪৮টি বাগানই শুধু সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়৷ বাংলাদেশের চা ইংল্যান্ড, অ্যামেরিকা, জার্মানি ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়৷ হয়তো অতটা বিস্তৃত আকারে নয়, আর সে কারণেই হয়তো জার্মানির চায়ের দোকানে বাংলাদেশের লেবেল আটা চা কখনো চোখে পড়েনি৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
মেয়েদের জন্য বিশেষ ‘চা’
পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, দাঁত ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব বা এ ধরণের শরীর খারাপ লাগলে তার জন্যও রয়েছে ভেষজ চা৷ বলা যায়, মানুষের শরীরের যে কোনো ধরনের ছোটখাটো সমস্যা সারাতে রয়েছে নানা প্রকারের চা৷ প্রকৃতির এই অফুরন্ত দানের মধ্যে মেয়েদের জন্য রয়েছে ‘যোগী’ চা বা ‘পাওয়ার’ চা৷ জার্মানির অনেক ফিটনেস সেন্টারে যোগব্যায়ামের পর ‘ইয়োগী’ চায়ের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে৷
ছবি: Fotolia/Robert Kneschke
মন্ত্রীসভায় ‘চা’
জার্মান শিক্ষামন্ত্রী ইয়োহানা ভাংকা সাপ্তাহিক মন্ত্রীসভায় নিজের কাপে চা ঢালছেন৷
ছবি: Odd Andersen/AFP/Getty Images
কোনটা চাই, পাতা ‘চা’ না ‘টি’ ব্যাগ?
কাজ কম এবং দামে সস্তা বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টি ব্যাগ ব্যবহার করেন জার্মানরা৷ আর রয়েছে বিভিন্ন ফলের ফ্লেভার দেওয়া চা, ওয়াইট বা সাদা চা, আদা চা, লেবু চা৷ তবে সৌখিন চা প্রেমিরা পাতা চা দিয়েই চা তৈরি করেন৷ বলা বাহুল্য, সে চা খেতে অবশ্যই ভালো এবং দামেও তিন চারগুণ বেশি৷ চায়ের স্বাদ বজায় রাখতে সাধারণ চিনির বদলে মেশানো হয় ব্রাউন সুগার বা ক্যান্ডি সুগার৷ আমরা যাকে মিশ্রি বলে থাকি৷
ছবি: Mehr
বিশেষ চায়ের জন্য বিশেষ দোকান
প্রায় সব সুপারমার্কেটেই ৮ থেকে ১০ রকমের চা পাওয়া যায়, তবে চায়ের গুণগত মান বজায় রাখতে বিশেষ চায়ের জন্য রয়েছে আলাদা দোকান, যেখানে শুধুই চা বিক্রি করা হয়৷ নানা স্বাদ, রং আর গন্ধের চাইনিজ গ্রিন টি সৌখিন জার্মানরা পছন্দ করেন৷ যেমন ভালো জাতের গ্রিন টি ‘লুং শিং’-এর দাম কেজি প্রতি ৮০ ইউরো৷ গ্রিন টি ওজন কমাতে বা ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে বলে মেয়েদের কাছে বেশ প্রিয়৷
ছবি: cc-by-sa/Oskari Kettunen
‘চা’ শুধু পানীয় নয় – এর চেয়েও বেশি কিছু
জার্মানিতে শীতকালে চায়ের কদর অনেক বেশি৷ শীতের রাতে মোমের আলো আঁধারির রোম্যান্টিক পরিবেশে সুন্দর করে এক কেটলি চা বানিয়ে অনেকে আস্তে আস্তে তা পান করেন, বেশ রোম্যান্টিক পরিবেশে৷ কখনো বা চালিয়ে দেন ল্যাপটপে ভীষণ পছন্দের একটা ছবি, যেটা অনেকবারই হয়তো দেখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মসলা চা
শুধু শীতকালে বা বড়দিনের সময় বাজারে আসে মশলা চা৷ যাতে মেশানো থাকে আদা, এলাচ, দারুচিনি, লং, তেজপাতা জাতীয় গরম মশলা৷ বড়দিনের সময়টাতে বা প্রচণ্ড শীতে জার্মানদের কাছে এই চায়ের বেশ চাহিদা- যা নাকি শরীর গরম রাখতে খানিকটা সাহায্য করে৷
ছবি: DW/V.Kern
চা বানানোর রেসিপি
চায়ের বিশেষ দোকানগুলোতে চা কেনার সময়ই একটি তথ্যপুস্তিকা সাথে দিয়ে দেওয়া হয়৷ যাতে দেয়া থাকে কোন চায়ের পাতা কতক্ষণ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে, বা গরম পানির তাপমাত্রা কত হলে চায়ের পুরো গুণাবলী বা স্বাদ থাকবে ইত্যাদি৷ চায়ের স্বাদ বা রং অনেক সময় চায়ের কাপ বা কেটলির ওপরও নির্ভর করে-এরকম পরামর্শও দেওয়া হয়ে থাকে৷ আবার কিছু কিছু দোকানে চা কেনার আগে টেস্ট করে দেখারও ব্যবস্থা রয়েছে৷
ছবি: Sean Gallup/Getty Images
চা এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছেও প্রিয়
আজকাল সব দেশেই নানা ধরণের বিভিন্ন ডিজাইনের চায়ের সরঞ্জাম পাওয়া যায়৷ চা রাখার পাত্র বা চা পান করার পাত্রগুলোকে কখনো মনে হয় যেন ‘ডেকরেশন পিস’৷ অনেক জার্মান বাড়িতেই কয়েক রকমের চা দেখা যায়৷ যাদের ওজন নিয়ে সমস্যা তারা চায়ের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন৷ তাই এই প্রজন্মের স্বাস্থ্য সচেতন ছেলেমেয়েদের কাছে চা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷
ছবি: Getty Images
শরীর এবং মনে এনে দেয় প্রশান্তি
বেছে নিন সুন্দর একটি কেটলি, ভেতরটা ফুটন্ত পানি দিয়ে ধুয়ে নিন৷ এক চা চামচ লুং শিং আর আধা চা চামচ দার্জিলিং চা মিশিয়ে কেটলিতে দিয়ে গরম পানি ঢেলে দিন৷ ২ থেকে তিন মিনিট ভিজিয়ে রেখে তুলে ফেলুন আর কেটলির চায়ে মিশিয়ে দিন কয়েক ফোটা তাজা লেবুর রস৷ মুখে দিন এক টুকরো ক্যান্ডি সুগার৷ সেই সাথে আস্তে আস্তে পান করুন এই মাত্র তৈরি করা চা৷ দেখবেন কিছুক্ষণ পর শরীরটা কেমন ঝরঝরে লাগছে৷ সেই সাথে মনটাও!
ছবি: imago/Joachim Schulz
13 ছবি1 | 13
চা বোর্ড জানায়, নব্বইয়ের দশকে চা রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম৷ দেশীয় চায়ের গুণগত মান ভালো থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের কাছে চায়ের চাহিদা ছিল বেশি৷ তাই তখন এ দেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকাতে ওপরের দিকেই ছিল চা৷ সে কারণেই নব্বইয়ের দশকে চা রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম৷ আর এখন কোনো অবস্থানই নেই বাংলাদেশ৷
চা বাগানগুলোতে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাংলাদেশে আজ প্রায় ৯০ হাজার৷ অস্থায়ীভাবে কাজ করছে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক৷ বাংলাদেশ সরকারের সাথে ২০০৯ সালে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, বাগানের শ্রেণিভেদে শ্রমিকরা যথাক্রমে দৈনিক ৪৮.৪৬ টাকা এবং ৪৫ টাকা হারে মজুরি পেতেন৷ এছাড়া স্থায়ী শ্রমিকদের রেশন হিসেবে প্রতিদিন আধা-কেজি চাল অথবা আটা দেয়া হয়৷ তবে সেই মজুরি বেড়ে এখন ৮০ ও ৭৫ টাকা হয়েছে বলে জানান চা বাগান মালিকরা৷
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র , ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, রাশিয়া, চেক ও স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, জাপান, মিশর, সুদান, জর্ডান, গ্রিস, সাইপ্রাস, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে চা রপ্তানি করা হয়৷ এই দেশের চা পৃথিবীব্যাপী ‘সিলেট টি' নামে খ্যাত৷
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান আরদাসির কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা বাড়াই চা রপ্তানি কমে যাওয়ার প্রধান কারণ৷ মুশকিল হলো, প্রতিবছর শতকরা দু'ভাগ হারে চা উৎপাদন বাড়ছে আর চাহিদা বাড়ছে তিনভাগ হারে৷'' তিনি বলেন, ‘‘চা এমন একটি পণ্য, যার উৎপাদন রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়৷ গত দু'বছর চায়ের উৎপাদন যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে, তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১০ বছর আগে৷ একটি চারা চা গাছ থেকে চা পেতে সময় লাগে ১০ বছর৷''
তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে চা আমদানি বাড়ার পিছনে সরকারের কিছু নীতিমালা দায়ী৷ অন্যান্য চা উৎপাদনকারী দেশ আমদানি নিরুৎসাহিত করলেও বাংলাদেশ হেঁটেছে উল্টো পথে৷ এখন ৯২ শতাংশ শুল্ক হারে এ দেশে চা আমদানি করা যায়৷ অথচ ভারতে এ হার ১১০ এবং শ্রীলঙ্কায় ১৩০ শতাংশ৷ এছাড়া নিম্নমানের চায়ে সয়লাব হচ্ছে দেশ৷''
তিনি বলেন, ‘‘গত দু'বছর চা ব্যবসায়ীরা ভালো ব্যবসা করতে পারেননি৷ অভ্যন্তরীণ বাজারে বাংলাদেশের চা এখন সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে৷ তারপরও বাজারে নিম্নমানের চা আসায় দেশের চা শিল্প ক্ষতিপ্রস্ত হচ্ছে৷ তার ওপর সরকার চা শিল্পের জন্য কোনো প্রনোদনা দিচ্ছে না৷ বরং ভূমিকরসহ নানা ধরনের কর নিচ্ছে তারা৷''
বাংলাদেশ এখন অরগ্যানিক চা উৎপাদন করা শুরু করেছে৷ এর উৎপাদক ‘কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট'৷ ময়াগুড়ি টি এস্টেট ও টিটিসিএল চা বাগানও অরগ্যানিক চা উৎপাদন করছে৷
চা সংসদ জানায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৫টি দেশে বর্তমানে চা উৎপাদিত হচ্ছে এবং বিশ্ববাসী দিনে ৩০০ কোটি কাপ চা পান করছে৷