1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিকিৎসায় বিপ্লব আনতে পারে মলিকিউলার কাঁচি

কর্নেলিয়া বর্মান/এসবি২৩ অক্টোবর ২০১৪

একই ওষুধ সবার কাজে লাগে না৷ তাই জিন থেরাপি চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে৷ যেমন মলিকিউলার কাঁচি৷ এর কাজ শরীরের কোষকে সংক্রমণমুক্ত রাখা৷পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল হলে মানুষের উপরেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব হবে৷

Gummiband als Aidsbekämpfung in Uganda
ছবি: I.Kasamani/AFP/GettyImages

বিজ্ঞানীরা এক চমকপ্রদ সাফল্য হাসিল করেছেন৷ হামবুর্গের গবেষকদের সঙ্গে তাঁরা এমন এক এনজাইম তৈরি করেছেন, যা অনেকটা কাঁচির মতো কাজ করে৷ তাই তাঁরা এটিকে মলিকিউলার বা আণবিক কাঁচি বলছেন৷ এই এনজাইম ভাইরাস জেনোম চিনতে পারে এবং সংক্রমিত কোষের জেনোম থেকে সেটিকে বার করতে পারে৷ বের করে আনা জেনেটিক অংশটি বিচ্ছিন্ন করলে কোষ আবার সুস্থ হয়ে ওঠে৷

সেল-কালচার নিয়ে সফল প্রচেষ্টার পর গবেষকরা এবার এই কাঁচি দিয়ে ইঁদুরের চিকিৎসা করেছেন৷ ড্রেসডেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রাংক বুখহলৎস বলেন, ‘‘আমরা একটি বিষয় দেখাতে পেরেছি৷ যে ইঁদুরগুলি মলিকিউলার কাঁচি বহন করছে, সেগুলির ক্ষেত্রে আমরা সংক্রমণ দূর করতে পেরেছি৷ কয়েকটি ক্ষেত্রে এমনকি ইঁদুরের শরীরে সংক্রমণের কোনো চিহ্নই আর অবশিষ্ট ছিল না৷ এর পর মানুষের শরীরেও এই প্রক্রিয়া একই ভাবে কাজ করবে বলে আমাদের আশা৷''

এই গবেষণার মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷ সংক্রমণ ঘটার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওষুধ দিয়ে ভাইরাসকে কাবু করা যাবে, যাতে তা ছড়িয়ে পড়তে না পারে৷ এই চিকিৎসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তথাকথিত ‘মিসিসিপি বেবি', এই হাসপাতালে যার চিকিৎসা চলছে৷ জন্মের মাত্র ৩০ ঘণ্টা পর মেয়েটিকে এমন ওষুধ দেওয়া হয়, যা প্রাপ্তবয়স্ক এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট৷ এইডস ভাইরাস যেন শরীরে ছড়িয়ে না পড়তে পারে, সেটাই ছিলো এর উদ্দেশ্য৷ প্রায় ২ বছর ধরে মনে হয়েছিলো, যে ছোট্ট এই মেয়েটির এইচআইভি সংক্রমণ সেরে গেছে৷ এর জন্য কোনো ওষুধ খেতে হয় নি৷ কিন্তু এখন এইডস ভাইরাস আবার ফিরে এসেছে৷ রোগ থামানো সম্ভব না হলেও এই কেসটি নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে৷ এর ফলে এইডস গবেষণায় অগ্রগতি ঘটবে৷

মলিকিউলার কাঁচি মানুষের ক্ষেত্রেও কাজ করে কিনা, জার্মানির ড্রেসডেন শহরের গবেষকরা তা শীঘ্রই পরীক্ষা করে দেখতে চান৷ এমন পরীক্ষার ব্যয়ভার বহন করার জন্য বিনিয়োগকারীও পাওয়া গেছে৷ অধ্যাপক বুখহলৎস বলেন, ‘‘এর ফলাফল কী হয়, তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে৷ আমার আশা, ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এমন চিকিৎসা পদ্ধতি সৃষ্টি হবে, যা সাধারণ রোগীদের উপরও আমরা প্রয়োগ করতে পারবো৷''

বিজ্ঞানীরা এক চমকপ্রদ সাফল্য হাসিল করেছেনছবি: aids2014

প্রক্রিয়াটা এ রকম৷ গবেষকরা তাঁদের মলিকিউলার কাঁচি রোগীদের রক্তের কোষে ঢুকিয়ে দেবেন৷ তারপর পরিবর্তিত কোষ আবার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে ঢোকানো হবে৷ বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে তারা গোটা ব্লাড সিস্টেম পরিশোধন করতে পারবে৷ চিকিৎসা যেহেতু নিজস্ব রক্তকোষেই ঘটছে, এ যাবৎ চালানো অন্যান্য থেরাপির তুলনায় তা শরীরের পক্ষে গ্রহণ করা অনেক সহজ হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ