সারদা, রোজভ্যালি, এমপিএস, ভিবজিওর— এমন বহু ভুইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থা কেড়ে নিয়েছিল মানু্ষের ঘুম, সঞ্চয়ের শান্তিটুকু৷ সেখান থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোগে কীভাবে চলছে চিটফান্ডের গ্রাস থেকে খেটে খাওয়া মানুষদের উদ্ধারের কাজ?
বিজ্ঞাপন
চিটফান্ডের জালে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার নজির পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর রয়েছে৷ সারদাকাণ্ডের পর থেকেই বিভিন্ন ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টদের আত্মহত্যা শিরোনামে এসেছে৷ কিন্তু শিরোনামে আসেনি যাঁরা ‘দিন আনি দিন খাই', তাঁদের লড়াই, হাহাকারের ঘটনা৷ এঁরা কেউ রিকশা চালান, কেউ পরিচারিকার কাজ করেন, কেউবা হোটেলে রান্নার কাজ করেন৷ সারদা, রোজভ্যালির সবচেয়ে বড় টার্গেট ছিলেন এঁরাই৷ ব্যাংকের কথা বাদ দিলেও পোস্ট অফিসে স্বল্প সঞ্চয় সুদের প্রকল্প এঁদের কাছে টানতে পারেনি৷ সঞ্চয় সম্পর্কে এখনকার মতো সচেতনতামূলক প্রচারও তখন ছিল না৷
উত্তর ২৪ পরগনার প্রমোদনগরের শিখা বিশ্বাসের লড়াই ছিল তখন থেকেই৷ ‘‘রোজ নামমাত্র টাকা জমিয়ে, বছরের শেষে থোক টাকা হাতে নাও, নিজের পায়ে দাঁড়াও'' — এই স্লোগান সামনে রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৫-১০ টাকা সংগ্রহ করেন তিনি৷ সঞ্চয় প্রকল্প চালানোর এমন নজির দেখতে ডয়চে ভেলে পৌঁছে গিয়েছিল প্রমোদনগরে৷
কলকাতার হাতে টানা রিকশার একাল
কলকাতার কোনো কোনো জায়গায় এখনো হাতে টানা রিকশার চল রয়েছে৷ যদিও সংখ্যাটা দিনদিন কমছে৷ আর কতদিন থাকবে? চলুন জানার চেষ্টা করি এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
যবে থেকে শুরু
হাতে টানা রিকশার উদ্ভাবন ১৬ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, জাপানে৷ ১৯ শতকে যানটি গোটা এশিয়ায় বহুল ব্যবহৃত এক গণ-বাহন হয়ে দাঁড়ায়৷ ১৮৮০ সালে ভারতে প্রথম রিকশা চালু হয় হিমাচল প্রদেশের সিমলায়৷ সেখান থেকে হাতে টানা রিকশা চলে আসে কলকাতায়৷ ১৯১৪ সাল নাগাদ কলকাতায় ভাড়াটে রিকশার চলন হয়৷ এরপর এত বছর পরেও কলকাতার কোনো কোনো অঞ্চলে টিকে আছে এই হাতে টানা রিকশা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
প্রধান সড়ক থেকে গলিতে
কলকাতার প্রধান সড়কপথগুলোতে এখন অবশ্য আর রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয় না পুলিশ৷ তার প্রথম কারণ রিকশার মতো ধীরগতির যানের কারণে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়৷ তবে অন্য আর একটি কারণ হলো, আজকের দিনে রিকশার সওয়ারি হওয়া নিরাপদও নয়৷ ফলে কিছুটা বাধ্য হয়েই রিকশারা আশ্রয় নিয়েছে পুরনো কলকাতার গলি-ঘুঁজিতে, যেখানে ব্যস্ত ট্রাফিকের তাড়াহুড়ো নেই৷ রিকশায় চড়ে দুলকি চালে সফর করাও উত্তর কলকাতার অনেক বাসিন্দারই এখনও পছন্দসই৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
এখনো ব্যবহারের কারণ
আধুনিক কোনো যন্ত্রচালিত যানের সঙ্গে গতি বা স্বাচ্ছন্দ্যে পাল্লা দিতে পারে না আদ্যিকালের রিকশা৷ তা-ও এটি কী করে কলকাতায় থেকে গেল, তার কিছু নির্দিষ্ট কারণ আছে৷ এখনও অনেক বয়স্ক মানুষ রিকশা চড়তে পছন্দ করেন কারণ, এই যানটি তাঁদের জন্য যাকে বলে একেবারে হ্যাসল-ফ্রি৷ ঠিক একই কারণে অনেক বাড়ির বাচ্চারাও স্কুলে যাওয়ার সময় রিকশায় চড়ে যায়৷ তবে কলকাতা শহরে রিকশার সবথেকে বড় উপযোগিতা বোঝা যায় বর্ষায়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
রিকশার ওয়ার্কশপ
যেহেতু শহরের রাস্তায় এখনও রিকশা চলে, মেরামতির জন্য রিকশার নিজস্ব হাসপাতালও নেই নেই করে এখনও দু-একটি টিকে আছে৷ এগুলো বিশেষভাবে হাতে টানা রিকশার মেরামতির জন্যই৷ অন্য কোনও কাজ এখানে হয় না৷ তবে আজকাল অসুবিধে হয়, কারণ রোজগার প্রতিদিনই কমছে৷ কাজ জানা লোকেরও অভাব৷ যদিও বা লোক পাওয়া গেল, তাদের দেওয়ার মতো যথেষ্ট কাজ পাওয়া যায় না৷ দোকানের মালিক শুয়ে বসেই দিন গুজরান করেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
কাঠ দিয়ে তৈরি চাকা
রিকশা তৈরি বা মেরামতিতে কিন্তু এখনও সেই পুরনো পদ্ধতিই বহাল৷ রিকশার চাকা যেমন এখনও কাঠ দিয়েই তৈরি হয়৷ মাঝখানের অংশটা যথারীতি লোহার, কিন্তু বাকি চাকার জন্য কারিগরদেরই জোগাড় করে আনতে হয় উঁচু মানের কাঠ যা শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা শহরের খানা-খন্দে ভরা এবড়ো খেবড়ো রাস্তা দিয়ে রিকশাকে গড়গড়িয়ে নিয়ে যাবে৷ সওয়ারিকে নিয়ে রিকশা যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য ভালো কাঠ বা লোহা যেমন দরকার, তেমনই দরকার ওস্তাদ কারিগর৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
খড় দিয়ে তৈরি বসার গদি
সওয়ারিদের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্যও রিকশাওয়ালারা সমান যত্নবান৷ যাত্রীদের বসার গদিটি যাতে ঠিকঠাক থাকে, এর জন্য নিয়মিত তার পরিচর্যা হয়৷ কাপড় আর রঙিন প্লাস্টিকের তৈরি এই গদির খোলে কী থাকে জানেন তো? না, তুলো বা ফোম নয়, নির্ভেজাল খড়৷ প্রকৃতি-বান্ধব উপাদান ব্যবহার করার এমন নমুনা কি আর কোনো শহুরে যানের ক্ষেত্রে দেখেছেন? রিকশা দূষণ ছড়ায় না, এটাও একটা খেয়াল রাখার মতো বিষয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
অমানবিক
তবু হাতে টানা রিকশা উঠে যাচ্ছে কলকাতা থেকে৷ কারণ, একজন মানুষ আর একজন মানুষকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, এটা অনেকের কাছেই খুব অমানবিক মনে হয়৷ সাইকেল রিকশাতে যদিও একই ঘটনা ঘটে, কিন্তু সেক্ষেত্রে চালক প্যাডেলের মাধ্যমে কিছুটা যান্ত্রিক সুবিধা পান৷ যদিও এই রিকশা নিয়ে রোমান্টিকতার কোনো শেষ নেই৷ পরিচালক বিমল রায়ের ‘দো বিঘা জমিন’ ছবির গোটা ক্লাইম্যাক্স সিনটিই গড়ে উঠেছে দুটি হাতে টানা রিকশার রেষারেষির মধ্য দিয়ে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
সময় কি বিদায় নেয়ার?
তাই দিনের শেষে পড়ন্ত সূর্যের আলোয় যখন ছায়া দীর্ঘতর হয়, আর রাস্তার একধারে স্থবির হয়ে অপেক্ষায় থাকে সওয়ারি না পাওয়া একটি রিকশা, ব্যস্ত শহর তার পাশ দিয়ে ছুটে যেতে যেতে তার কর্কশ কলরবে যেন বারবার মনে পড়িয়ে যায়, এবার সময় হয়েছে বিদায় নেওয়ার৷ আধুনিক সময়ের গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না রিকশা৷ সে কারণেই রাজপথ থেকে সরে গিয়ে তাকে মুখ লুকোতে হয়েছে গলিতে৷ খুব শিগগিরই বোধহয় সেই আড়ালটুকুও যাবে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhayay
8 ছবি1 | 8
মেয়াদ শেষের পরও টাকা না পেয়ে এজেন্টদের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আমানতকারীরা৷ কয়েক বছরেই টাকা দ্বিগুণ হওয়ার লোভ দেখিয়ে অনেকের সঞ্চয়ে থাবা বসিয়েছিল বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলো৷ সেসব কথা মনে করেই শিখা বললেন, ‘‘পরিচারিকা ললিতা মিস্ত্রি বা সুমিত্রা চন্দ্রের মতো অনেকেই ওই ভুঁইফোঁড় সংস্থায় টাকা রেখে ঠকেছেন৷ অনেকে স্বামীকে গোপন করে এসব জায়গায় টাকা রেখেছিলেন, তাঁদের অসুবিধে আরও৷ আজ তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন৷''
শিখার প্রত্যয়ী কন্ঠস্বরে উঠে এল, ‘সোসাইটি ফর পিপলস্ অ্যাওয়ারনেস', সংক্ষেপে ‘স্প্যান'-এর কথা৷ এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাত ধরেই শিখার মতো বহু মহিলার উঠে আসা৷ ১৯৮৯ থেকে স্প্যানের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প শুরু হয়৷ শিখাদের প্রশিক্ষন দিয়ে তৈরি করে নিয়েছিল এই সংস্থাই৷ তারপর ১৯৯৪ সাল থেকে শিখার হাতে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের দায়িত্ব এসে পড়ে৷ মহিলা চালিত এই দলে শিখার সঙ্গে রয়েছে রেবা রায়, অপর্ণা সাহা, মিঠু মণ্ডল, কনক বৈদ্য, পারুল মণ্ডল, চম্পা মল্লিকের হাত৷ ১৯৯৭ সাল থেকে স্প্যানের আর্থিক সাহায্য ছাড়া শিখারা নিজেরাই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷ শিখার অতীতচারিতায় এসে পড়ে সেই প্রথমদিকের ১০ জনের কথা৷ সে সময় ৫০ পয়সা, এক টাকা বা দু' টাকা দিয়ে যাঁরা এই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প শুরু করেছিলেন৷ আজ শিখাদের প্রকল্পের গ্রাহক ৭০০-৮০০ জন৷
‘এমনভাবে তো আর ব্যাংকে টাকা জমানো যাবে না’
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিখারা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন৷ ৪৪ বছরের শিখাই নেতৃত্ব দেন প্রচেষ্টা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির৷ এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে চলে সেলাই শিবির, ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা৷ শিখাদের কোনও মাসিক বেতন নেই৷ সেলাই করে বা ক্যাটারিংয়ের অর্ডার সরবরাহের উপার্জিত টাকা থেকেই চলে সব ব্যয়ভার৷ শিখাদের অফিস যেখানে, সেই ভবনটি অবশ্য স্প্যানের৷ এ জন্য শিখাদের আলাদা ভাড়া গুণতে হয় না৷
কীভাবে চলে স্বল্প সঞ্চয়ের প্রকল্প?
৬-৭ জনের দল করে প্রতি সন্ধেবেলা ‘প্রচেষ্টা'র সদস্যরা বেরিয়ে পড়েন৷ সামর্থ্য অনুযায়ী যে যেমন পারেন, তাই নেওয়া হয় সকলের কাছ থেকে৷ গ্রাহকদের কেউ ভ্যান রিকশা চালান, কেউ মাছ বিক্রি করেন৷ এমন খেটে খাওয়া মানুষদের ওপর জোরাজুরি চলে না৷ বাড়ির মহিলারা রোজ যা ৫-১০-২০ টাকা করে পারেন, জমা দেন৷ তাতে কোনওদিন ১-২ হাজার টাকা হলো, তো কোনওদিন ৫০০ টাকা! কেউ আবার মাসে ১০০ টাকাও জমা দেন৷
শিখা বলেন, ‘‘এমনভাবে তো আর ব্যাংকে টাকা জমানো যাবে না৷ আবার বাড়িতে রাখলে খরচ হয়ে যাবে৷ তার চেয়ে এই ভালো!'' বছর শেষে অনেকটা থোক টাকা হাতে পাওয়া আর নিশ্চিন্তের ঘুম৷ এখানে গ্রাহকদের ১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়৷ এমনকি ইচ্ছে করলে তাঁরা জমা টাকা থেকে ঋণও নিতে পারেন৷ তাতে সুদ নেওয়া হয় ২ শতাংশ হারে৷ এইভাবেই অনেক গ্রাহক মেয়ের বিয়ের টাকা জমিয়েছেন, কেউ স্বামীকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন, কেউ বা এই সঞ্চয়ের টাকা খাটিয়েই ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছেন৷
‘ক্যুইক অ্যান্ড ইজি মানি'র অসুবিধা অনেক’
এরকম ছোট ছোট স্থানীয় উদ্যোগের সাফল্য সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করলেন পিয়ারলেস জেনারেল ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির অন্যতম প্রেসিডেন্ট পতিতপাবন রায়৷ তিনি বললেন, ‘‘সারদা বা রোজভ্যালির ‘ক্যুইক অ্যান্ড ইজি মানি'র অসুবিধা অনেক৷ এসব সংস্থা রিটার্ন এবং মার্কেটিংয়ের জোরে মানুষের কাছে পৌঁছেছিল৷ স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প বেশি রিটার্ন না দিতে পারলেও তা নিশ্চিত এবং নিরাপদ৷ একসময় পিয়ালেসও কম রিটার্ন দিয়েছে৷'' তাঁর মতে, শিখাদের মতো এমন উদ্যোগের ভবিষ্যতে অনেক সুযোগ রয়েছে৷ তিনি স্বল্প উদ্যোগে বড় হয়ে ওঠার নজির তুলে ধরতে বন্ধন ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশে আনিসুর রহমানের এমন উদ্যোগের উদাহরণ দেন৷
সারদা, রোজভ্যালির টোপে ক্ষতি হয়েছে অনেক৷ সেলাই করে জীবিকানির্বাহরত কবিতা দাস এবং স্প্যানের কর্মী প্রমীলা গাইনও বাদ যাননি সারদার কবল থেকে৷ তাঁদের হাহাকার আজ অনেকটাই বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছে৷ নিজেদের ভুল শুধরে তাঁরা আবার ফিরে এসেছেন স্বল্প সঞ্চয়ের ঘরে৷ শিখারা আরও আত্মপ্রত্যয়ী এবার— ৮০০ থেকে গ্রাহকসংখ্যা আরও বাড়াতে হবে যে! কোটি কোটি মানুষের দেশে এ ধরনের প্রয়াস হয়তো খুবই ক্ষুদ্র৷ কিন্তু এই চারাগাছ বড় সামাজিক আন্দোলনের পথ দেখাতে পারে ভবিষ্যতে৷
মাতৃভূমি লোকাল
এ ট্রেন নারীদের জন্য নির্দিষ্ট হওয়ায় পুরুষ যাত্রীরা পিতৃভূমি লোকাল চালুর দাবি তোলেন৷ আপাতত মাতৃভূমিতে পুরুষদের জন্য জোড়া হয়েছে সাধারণ কামরা৷ আর ট্রেন চলছে নারীর সুখ-দুঃখ নিয়ে৷
ছবি: DW/P. Samanta
রেলই যখন ভরসা
পশ্চিমবঙ্গে শহরতলির বিপুল সংখ্যক নারীকে যাতায়াতের জন্য ভারতীয় রেলের উপর নির্ভর করতে হয়৷ ট্রেনে মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা কামরা৷
ছবি: DW/P. Samanta
একান্ত মহিলা কামরা
রেলের অনেক শাখায় প্রচণ্ড ভিড়ে, ধাক্কাধাক্কি করে শুধু পা রাখার জায়গাটুকু থাকে৷ তবে পুরুলিয়ার বারোমাস্যায় এটাই এখন অভ্যেস৷
ছবি: DW/P. Samanta
সঙ্গী যখন পুরুষ
আলাদা কামরা থাকলেও সেখানে সব নারী যাত্রীর স্থান সংকুলান হয় না৷ তাই সাধারণ কামরাতেও তাঁরা উঠতে বাধ্য হন৷ সেখানেও পুরুষ সহযাত্রীর সঙ্গে জায়গা পাওয়ার লড়াই৷
ছবি: DW/P. Samanta
যেন ঠাঁই নাই
মহিলা কামরাতে ওঠার লড়াইটাই বা কম কী! ঠেলেঠুলেও ট্রেনে উঠে কেউ বাদুড়ঝোলা, কেউ থেকে যান প্ল্যাটফর্মে৷
ছবি: DW/P. Samanta
অপেক্ষা তাই মাতৃভূমির
সাধারণ ট্রেনের মহিলা কামরা মাত্র দু’টি৷ তাই ভিড় এড়াতে মহিলাদের অপেক্ষা থাকে মাতৃভূমি লোকালের জন্য৷
ছবি: DW/P. Samanta
শান্তির সফর
মাতৃভূমি লোকাল ফাঁকা থাকার সুযোগে উঠে পড়ছিলেন পুরুষরা৷ রেল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সেটা বন্ধ হয়েছে৷ তাই এখন অবাধ স্বস্তির সফর৷
ছবি: DW/P. Samanta
একান্ত নিজস্ব ও ঘরোয়া
একবার ট্রেনে উঠে পড়লে সফর হয় দ্রুত ও নিরুপদ্রব৷ কেউ আড্ডায় মশগুল, কেউ উল বোনেন, কারও চোখ প্রিয় বই-পত্রিকায়৷
ছবি: DW/P. Samanta
রাতবিরেতেও ভরসা মাতৃভূমি
রাতে কলকাতা থেকে শহরতলিমুখী নারীদের ভরসা মাতৃভূমি৷ পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় ভিড় হাওড়া শাখার চেয়ে বেশি৷
ছবি: DW/P. Samanta
ফেরিওয়ালা সর্বত্রই
মাতৃভূমিতে পুরুষদের ওঠা নিয়ে ধুন্ধুমার হয়েছিল হাবড়া স্টেশনে৷ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল৷ তবে চুলের ক্লিপ বা টিপের পাতা ফেরি করা পুরুষে আপত্তি নেই মহিলাদের!
ছবি: DW/P. Samanta
সুরক্ষায় রেল পুলিশ
গণ্ডগোল এড়াতে মাতৃভূমি লোকালে মহিলা পুলিশের প্রহরা৷ মাতৃভূমিতে সাধারণ কামরা জুড়লেও তাই সফর এখন বেশ নিরাপদ৷
ছবি: DW/P. Samanta
শক্তিরূপেণ
রেলের রোজনামচায় জড়িয়ে নারীর সুখ-দুঃখ৷ পুরুষ সহযাত্রীর সঙ্গে সংঘর্ষ এখন অতীত, নিরুপদ্রব সফরে মাতৃভূমি চলছে নারীশক্তির ধ্বজা উড়িয়ে৷