সোমবারই প্রকাশিত হয়েছিল অ্যামেরিকার চিঠি৷ যাতে বলা হয়েছিল ইরাক থেকে সরানো হবে মার্কিন সেনা৷ কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি দিয়ে পেন্টাগন জানালো, ভুল করে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল৷
বিজ্ঞাপন
ইরাকের পার্লামেন্ট চায় না৷ তাই সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে মার্কিন সৈন্য৷ চিঠি দিয়ে ইরাকি সামরিক বাহিনীকে এ কথা জানানোর পরে, পেন্টাগন ফের জানালো 'ভুল হয়ে গিয়েছে বিলকুল'৷ অর্থাৎ, ইরাক থেকে আপাতত সৈন্য সরানোর কোনও ভাবনাই অ্যামেরিকার নেই৷
বাগদাদে ইরানের জেনারেল কাসিম সোলেইমানের উপর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল অ্যামেরিকা৷ নিহত হন সোলেইমান৷ তার পর থেকেই মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ মার্কিনবিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে গোটা অঞ্চলে৷ এমন পরিস্থিতিতে ইরাকের পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে৷ যাতে বলা হয়, অ্যামেরিকাকে ৫২০০ সৈন্যকে ইরাকের মাটি থেকে সরিয়ে নিতে হবে৷ মনে রাখা দরকার, মধ্য প্রাচ্যে ইরাক অ্যামেরিকার একটি শক্ত ঘাঁটি৷ সাদ্দাম পরবর্তী সময়ে ইরাকে বেশ কিছু শক্ত সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে অ্যামেরিকা৷ ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে লড়াইও করেছে ইরাক থেকেই৷ ইরাকের সরকারও অ্যামেরিকার মুখাপেক্ষী৷ ফলে ইরাকের মাটি ব্যবহার করে মধ্য প্রাচ্যে অ্যামেরিকা তার কূটনৈতিক অবস্থান শক্ত করেছে দীর্ঘদিন ধরে৷ কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই ইরাকও অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে৷ যদিও ইরাকি পার্লামেন্টের প্রস্তাব এখনও সরকার গ্রহণ করেনি৷ সম্ভবত গ্রহণ করবেও না৷ কারণ, ইরাকে এই মুহূর্তে তদারকি সরকার ক্ষমতায়৷ যারা ভীষণ ভাবে অ্যামেরিকার উপর নির্ভরশীল৷
ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের ঘোষণা খামেনির
সোলাইমানি হত্যায় ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি৷ সোলাইমানি দেখানো পথে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছে লেবাননের হেজবুল্লাহও৷ চলুন দেখা যাক এই ঘটনায় কার প্রতিক্রিয়া কেমন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Office of the Iranian Supreme Leader
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা
দীর্ঘ টানাপড়েন, হুমকি-পালটা হুমকির পর অবশেষে ইরানের ওপর বড় আঘাত হানলো মার্কিন বাহিনী৷ ইরাকে মার্কিন বিমান হানায় নিহত হয়েছেন ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসিম সোলাইমানি৷ যার ফলে অ্যামেরিকা এবং ইরানের মধ্যে যে প্রক্সি যুদ্ধ চলছিল, তা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Office of the Iranian Supreme Leader
পেন্টাগন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এ হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন৷ ভবিষ্যতে ইরানকে যেকোনো হামলার পরিকল্পনা থেকে বিরত রাখতেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dunaway
ডনাল্ড ট্রাম্প
বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়ার হামলার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ বলেছিলেন, ‘‘কোনো প্রাণহানি বা আমাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে তার জন্য ইরানই দায়ী থাকবে৷ সেজন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে৷ এটা কোনো সতর্কবার্তা নয়, এটা হুমকি৷’’ সোলাইমানিকে হত্যার পর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে মার্কিন পতাকা শেয়ার করেছেন ট্রাম্প৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
মার্কিন কংগ্রেস
তবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান এলিওট এনজেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, কংগ্রেসকে অবগতকরণ কিংবা কোনো আলোচনা ছাড়াই সোলাইমানির বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়েছে। কংগ্রেসকে না জানিয়ে এমনতর গুরুতর পদক্ষেপ সরকারের কংগ্রেস অবমাননার শামিল বলেও মন্তব্য করেন এনজেল।
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Schwenkenbecher
খামেনির প্রতিশোধের বার্তা
কুদস ফোর্সের প্রধান কাসিম সোলাইমানিকে যারা হত্যা করেছে সেই ‘অপরাধীদের’ জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। খামেনি বলেছেন, “প্রতিরোধ বাহিনীর জিহাদ দ্বিগুণ উদ্যমে অগ্রসর হবে, অবশ্যই পবিত্র এ যুদ্ধে যোদ্ধাদের জন্য নিশ্চিত বিজয় অপেক্ষা করছে।’’ সোলেইমানির মৃত্যুতে তিনদিনের ‘রাষ্ট্রীয় শোকের’ ঘোষণাও দিয়েছে ইরান।
ছবি: ravapress.ir
হেজবুল্লাহর শোক
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ আন্দোলন৷ এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, বিশ্বজুড়ে সব প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে এসব খুনি অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দেয়া। সোলাইমানির দেখানো পথে হেজবুল্লাহ অগ্রসর হবে বলেও জানান নাসরাল্লাহ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/B. Hussein
ইরানের পাশে রাশিয়া
সোলাইমানির হত্যা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা উসকে দেবে বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া৷ সংবাদ সংস্থা তাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘‘সোলাইমানি পরম বিশ্বস্ততার সঙ্গে ইরানিদের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করেছেন। আমরা ইরানি জনগণের প্রতি গভীর শোক জানাচ্ছি।’’
ছবি: picture-alliance/dpa/TASS/A. Shcherbak
ইরাকে যুদ্ধের শঙ্কা
মার্কিন হামলায় সোলাইমানি ছাড়াও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসসহ আরো চারজন নিহত হয়েছেন৷ এই হামলাকে আগ্রাসন আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ইরাকের মাটিতে মার্কিন সেনা উপস্থিতির শর্তের লঙ্ঘন ঘটেছে এ হামলায়। এর ফলে ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি৷ মুহান্দিস ছিলেন আধা সামরিক বাহিনী হাশেদ আল-শাবির উপপ্রধান।
ছবি: Getty Images/AFP/A. Al-Rubaye
তেহরানে বিক্ষুব্ধ জনতার ঢল
ইরাকে মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল নিহতের ঘটনায় তীব্র বিক্ষোভ চলছে তেহরানে৷ জুম্মার নামাজের পর হাজার হাজার মানুষ নেমে এসেছেন রাস্তায়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/V. Salemi
ট্রাম্পের পাশে ইসরায়েল
রাষ্ট্রীয় সফরে গ্রিসে থাকা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সফর সংক্ষেপ করে দেশে ফেরত গেছেন৷ এয়ারপোর্টে সাংবাদিকদের নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে৷ ট্রাম্প দক্ষভাবে সে কাজটিই করেছেন৷ ইসরায়েল ট্রাম্পের পাশে আছে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/Y. Karahalis
10 ছবি1 | 10
এমন অবস্থায়, সোমবার প্রকাশ পায় একটি চিঠি৷ যাতে দেখা যাচ্ছে ইরানের সামরিক প্রধানকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ অফিসার লিখেছেন, ইরাক সার্বভৌম দেশ এবং তাদের পার্লামেন্টকে অ্যামেরিকা গুরুত্ব দেয়৷ ফলে তাদের প্রস্তাব মেনে নিয়ে দিন কয়েকের মধ্যে মার্কিন সৈন্য সরানো হবে৷ তবে তাদের যাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা সকলকেই দেখতে হবে৷
এই চিঠি প্রকাশ পাওয়ার পরেই মঙ্গলবার বিবৃতি জারি করে পেন্টাগন৷ তাতে বলা হয়, এই চিঠি ভুল করে দেওয়া হয়েছে৷ কী ভাবে এই ভুল হল, তা দেখা হচ্ছে৷ ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না৷
কূটনৈতিক মহল অবশ্য প্রশ্ন তুলেছে, এত বড় ভুল কী ভাবে করল অ্যামেরিকা? এটা কি সত্যিই ভুল, না কি সিদ্ধান্ত বদলেছে পেন্টাগন৷ মধ্য প্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে এর প্রভাবই বা কী হবে? প্রশ্ন অনেক, উত্তর অজানা৷ উল্লেখ্য, অ্যামেরিকা সৈন্য না সরালেও জার্মানি সাময়িক সময়ের জন্য ইরাক থেকে শান্তি বাহিনী সরিয়ে নিচ্ছে৷
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো
ইরাক থেকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি৷ আছে হাজারো সৈন্য৷ এই ঘাঁটিগুলো দিয়ে ইরানকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: imago/StockTrek Images
ইরাক
ইরাকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫,২০০ সৈন্য রয়েছে৷ তবে তা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে পেন্টাগন৷ এর অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি ক্যাম্প থেকে এরিমধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারও করা হয়েছে৷ বর্তমানে গ্রিন জোন, বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা, আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে দেশটির সেনাসদস্য রয়েছে৷ গত নভেম্বরে আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স৷
ছবি: imago/StockTrek Images
কুয়েত
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কুয়েত৷ দুই দেশের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তি৷ দেশটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি৷ যেখানে প্রায় ১৩ হাজার সৈন্য রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/S. Nelson
সিরিয়া
সিরিয়ার কোথায় যুক্তরাষ্ট্রের কত সংখ্যক সৈন্য রয়েছে সে বিষয়টি প্রকাশিত নয়৷ অক্টোবরে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২০০০ সৈন্য ছিল, বর্তমানে যা ৮০০ জনে নেমে এসেছে৷ যেসব ঘাঁটি চালু আছে তার একটি সিরিয়ান-জর্ডান সীমান্তে৷ এর কাছেই রয়েছে ইরানীয় আর তাদের সমর্থিত বাহিনী৷
ছবি: -picture alliance/AP Photo/Z. Garbarino
জডার্ন
ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল, আর সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে জডার্নের৷ কৌশলগত দিক থেকে তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান এটি৷ দেশটির মুভাফফাক ছালটি বিমান ঘাঁটি থেকে সিরিয়ায় আইএস বিরোধী হামলা চালানো হয়েছে৷ অবশ্য কিং ফয়সাল বিমান ঘাঁটিতে ২০১৬ সালে তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল জডার্নের বিমান বাহিনীর গুলিতে৷
ছবি: AP
সৌদি আরব
সৌদি আরবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার সেনাসদস্য রয়েছে৷ অক্টোবরে সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পর ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সংঘাতের শঙ্কায় সেখানে আরো সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. Nureldine
বাহরাইন
বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ ঘাঁটি রয়েছে৷ দ্বীপ রাষ্ট্রটি বরাবরই সৌদি আরবের মিত্র৷ ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমর্থকও তারা৷ বর্তমানে সেখানে সাত হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে৷
ছবি: AP
ওমান
ওমানের অবস্থান হরমুজ প্রণালীর কাছে আরব উপকূলে, যা জ্বালানি পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ৷ ২০১৯ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রেকে বিমান ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় ওমান৷ বর্তমানে সেখানে ৬০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E. Noroozi
সংযুক্ত আরব আমিরাত
হরমুজ প্রণালীর পাশে থাকা আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত৷ তাদেরও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে ভাল সম্পর্ক বিদ্যমান৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে পাঁচ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে পেন্টাগন৷
ছবি: picture-alliance/AP/K. Jebreili
কাতার
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিটি কাতারের আল উদিদে৷ এর আধুনিকায়নে ২০১৮ সালে ১৮০ কোটি ডলারে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে কাতার৷ বর্তমানে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য নিযুক্ত রয়েছে৷
ছবি: Reuters/N. Zeitoon
তুরস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য রয়েছে তুরস্কেও৷ দেশটির ইনজিরলিক বিমান ঘাঁটিসহ বেশ কিছু জায়গায় মার্কিন সেনা অবস্থান করছে৷