1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিচিত্র পেশা

১৮ জুলাই ২০১২

আগের তুলনায় আজকালকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে৷ তাদের চিন্তাভাবনা এখন অনেক বেশি উন্মুক্ত, ফলে তাদের পেশাগত পছন্দও বেশ অভিনব৷

ছবি: DW/A.Cizmecioglu

আমাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবস্থায় একটা রচনা লিখেছি স্কুলে, যার শিরোনাম হতো – ‘বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও'৷ মাস্টারমশাইরা এমন রচনা লিখতে বলতেন কারণ তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তিমুখী মানসিকতা এবং ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষা একটা আঁচ পেতে চাইতেন৷ যদিও সেই উদ্দেশ্য কতটা সফল হত বলা শক্ত, কারণ অন্তত নীচু ক্লাসে অনেক ছাত্রই অম্লানবদনে লিখে আসত, বড় হয়ে সে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের ড্রাইভার বা বাস কন্ডাক্টার হতে চায়৷ মেয়েদের মধ্যে আবার লেখিকা বা শিল্পী হওয়ার প্রবণতা দেখা যেত বেশি৷ অবশ্য একটু বড় হতেই ইচ্ছেগুলো বদলে যেত ডাক্তার বা এঞ্জিনিয়ার হওয়ার দিকে৷ অনেকসময়ই বাড়ির লোকজনের মধ্যে স্থায়ী সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার দিকে একটা পক্ষপাতিত্ব দেখা যেত৷ আর খুব উচ্চাভিলাষী হলে তারা হতে চাইত পাইলট৷

কিন্তু সময় বদলেছে৷ এখনকার ছেলেমেয়েরা স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার আগেই বাইরের জগতের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায়, সৌজন্য টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট৷ আজকে তারা অনেক খবরই রাখে, ১৫-২০ বছর আগেও যেসব খবর তাদের নাগালে ছিল না৷ এই যে জানার পরিধি বেড়ে যাওয়া, এর প্রভাব পড়ছে আজকের প্রজন্মের পেশাগত পছন্দ অপছন্দের উপরেও৷ এমন অনেক অভিনব পেশার কথা তারা ভাবছে, যা স্রেফ বিষয়গত বৈচিত্র্যে আমাদের অবাক করছে৷

সফটওয়্যার ডিজাইনিং এর প্রতি অনেক তরুণের ঝোঁক দেখা যাচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa

সদ্য আইসিএসই পরীক্ষায় পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছে রাজর্ষি হালদার৷ বাবা-মায়ের এক ছেলে রাজর্ষির অবসর সময়ের অনেকটাই কাটে রকমারি ভিডিও এবং কম্পিউটার গেমস খেলে৷ সম্ভবত সেই আকর্ষণের জায়গা থেকেই রাজর্ষি সফটওয়্যার ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, যাতে সে ভবিষ্যতে কম্পিউটার গেমস উদ্ভাবনকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারে৷ মজার কথা হচ্ছে, এই ভার্চুয়াল খেলাকে নিজের বৃত্তিগত দক্ষতার সঙ্গে যুক্ত করতে চাইলেও, মাত্র ১৬ বছরের রাজর্ষির কিন্তু পরিষ্কার ধারণা আছে এই পেশার দূর্বলতাগুলো নিয়ে৷

তা হলে কি সিদ্ধান্ত বদলাবে রাজর্ষি? না, এখনই সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত সে নেবে না, কারণ নিজের দেশে এই পেশার ভবিষ্যৎ এখনও উজ্জ্বল না হলেও বিকল্প সংস্থানের কথাও রাজর্ষির মাথায় আছে৷

ক্লাস নাইনের উন্নতি মুখার্জি৷ ওর বাবা-মা, দুজনেই পেশায় চিকিৎসক৷ কিন্তু উন্নতির ইচ্ছে, বড় হয়ে ও ফ্যাশন ডিজাইনার হবে৷

এটাও কিন্তু নেহাত ছেলেমানুষী ইচ্ছে নয়৷ উন্নতি খুব সহজ কথায় বুঝিয়ে দিতে পারে যে, কেন ফ্যাশন ডিজাইনিং পেশা হিসেবে ওর কাছে আগ্রহজনক৷

উন্নতি এবং রাজর্ষি, দু'জনের সঙ্গে কথা বলেই একটা বিষয় খুব স্পষ্ট হয় যে আজকাল ছেলে-মেয়েদের জানাশোনার পরিধি যতই বাড়ছে, ওদের চিন্তাও ততই উন্মুক্ত হচ্ছে৷ ফলে ওদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাও এক অন্য ভুবনের, এক অন্যতর সাফল্যের দিশা দিচ্ছে আমাদের৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ