1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডেভিড হকনির জগৎ

১২ জানুয়ারি ২০১৭

আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত শিল্পী ডেভিড হকনির বয়স ৮০ ছুঁতে চলেছে৷ বাস করতেন লস অ্যাঞ্জেলেসে; ছেড়েছুড়ে ফিরেছেন ইংল্যান্ডে৷ তাঁর ৬০ বছরের শিল্পকর্ম নিয়ে জার্মানিতে বেরিয়েছে একটি প্রমাণ সাইজের বই, ডেভিড হকনির ছবি দিয়ে ভরা৷

ডেভিড হকনি
ছবি: DW

ব্রিটিশ চিত্রকর ডেভিড হকনি গত জানুয়ারি থেকে তাঁর প্রকাশকের সঙ্গে বইটি নিয়ে কাজ করেছেন৷ বইটি হলো তাঁর ছয় দশক ব্যাপী শিল্প ও শিল্পীজীবনের একটি আলেখ্য৷

বইয়ের নাম রেখেছেন ‘এ বিগার বুক', কেননা ৭৯ বছর বয়সি ডেভিড হকনির যে ছবিটি সবচেয়ে বিখ্যাত, সেটির শীর্ষক ছিল ‘এ বিগার স্প্ল্যাশ', একটি সুইমিং পুলের ছবি৷ হকনি জানালেন, ‘‘এ বিগার স্প্ল্যাশ নামটা দেওয়া হয়েছিল কারণ ‘দ্য স্প্ল্যাশ' বলে একটা ছবি ছিল৷ আরেকটা ছোট ছবির নাম ছিল ‘এ স্মলার স্প্ল্যাশ'৷ সেই জন্যই এই ছবিটার নাম হল ‘এ বিগার স্প্ল্যাশ', কেননা এটা একটা বড় ছবি৷ যদিও আমি জানতাম শীর্ষকটা বেশ ভালো৷''

ডেভিড হকনির জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৩৭ সালে৷ ব্র্যাডফোর্ড আর লন্ডনে শিল্পকলা নিয়ে পড়াশুনো করেছেন; ষাটের দশকে তিনি যান ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে৷ সেখানে তিনি প্রধানত তাঁর দৈনন্দিন জীবন থেকে নেওয়া বিভিন্ন বাস্তবধর্মী ছবি এঁকেছেন৷ ক্যামেরা দিয়ে তোলা স্ন্যাপশট থেকে জন্ম নিয়েছে তাঁর তথাকথিত ‘সুইমিং পুল' পর্যায়ের ছবি বা ‘গার্হস্থ্য জীবন' পর্যায়ের ছবিগুলো, যে সব ছবি তাঁকে বিশ্বখ্যাত করে দেয়৷ ডেভিড হকনি প্রকাশ্যভাবে সমকামী হিসেবে বাস করেন৷

ছবির বাজারে ডেভিড হকনির আঁকা ছবি লক্ষ লক্ষ ইউরো মূল্যে বিক্রি হয়৷ শেষ জীবনে তিনি তাঁর স্বদেশ ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার কাউন্টির নানা প্রাকৃতিক দৃশ্য এঁকেছেন৷ হকনি আবার ব্রিটেনেই বসবাস করছেন কিনা৷ ক্যালিফর্নিয়ার একটানা সূর্যালোকের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ঋতুর বিভিন্ন ধরনের আলো পছন্দ করেন তিনি৷

চিরনবীন

তাঁর সাফল্যের একটি সূত্র হলো এই যে, তিনি পরিবর্তনশীল এবং নতুনত্বে আগ্রহী৷ ডেভিড হকনি তাঁর শিল্পকলার জন্য পোলারয়েড, ফ্যাক্স অথবা ফটোকপি ব্যবহার করেছেন৷ সম্প্রতি তিনি আইপ্যাডের গ্র্যাফিক প্রোগ্রামগুলো আবিষ্কার করেছেন৷ বিশিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই নতুন মিডিয়ামে আঁকা ছবি দিয়ে প্রদর্শনী পর্যন্ত করেছেন৷ হকনির বক্তব্য হলো, ‘‘আইপ্যাডের মজা হলো এই যে, তা সবসময়েই তোমার জন্য প্রস্তুত৷ লাগে শুধু আইপ্যাড আর নিজের আঙুল৷ আমি এখানে বসেই আঁকা শুরু করতে পারি৷ সব কিছু এখানেই আছে, আমার কাছে৷ জল আনার দরকার নেই, রঙ-তুলির দরকার নেই, পেনসিল কাটতে হয় না৷ প্রেরণা এলেই আঁকতে শুরু করা যায়৷''

ডেভিড হকনির নতুন বইটার সাইজ প্রায় খবরের কাগজের মতো; ন'হাজার কপির সীমিত সংস্করণ; প্রতি কপির দাম ২,০০০ ইউরো৷ শিল্পীর গোটা শিল্পকর্মকে যেন বছর হিসেবে সাজিয়ে তুলে ধরা হয়েছে৷ প্রকাশক জার্মানির টাশেন-ফ্যারলাগ এই সংস্করণকে একজন মহান সমকালীন শিল্পীর প্রতি তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে গণ্য করছে৷ টাশেন-ফ্যারলাগের মার্লেনে টাশেন জানালেন, ‘‘এখানে যে ছবিগুলোকে এই ফরম্যাটে এককভাবে দেখার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সেটা সব শিল্পীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়, কেননা প্রতিটি ছবিকে তার নিজস্বতা বজায় রাখতে হবে, ফুটিয়ে তুলতে হবে৷ ডেভিড হকনির ছবিতে সেই কোয়ালিটিটা আছে৷''

ডেভিড হকনি বলেন, তিনি অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে ভালোবাসেন না৷ কিন্তু এই বইটা থেকে দেখা যায়, তিনি সত্যিই কতটা এঁকেছেন: বলতে কি, তিনি আধুনিক চিত্রকলার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছেন৷৷

শ্যারন ব্যারকাল/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ