ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা রকম পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চলছে৷ চীনের চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহৃত ছত্রাকের গুণাগুণ নিয়েও বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন৷ প্রাথমিক ফলাফল ইতিবাচক হলেও আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ছত্রাকের গুণাগুণ
চীনের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাশাস্ত্রে ওষুধ হিসেবে রেইশি, ফু লিং বা কর্ডিসেপ্স কাজে লাগানো হয়৷ এগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায় বলে অনেকের বিশ্বাস৷ কয়েকটি উপকরণ এমনকি ক্যানসারের মোকাবিলা করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷
এখনো পর্যন্ত এমন ঔষধির কার্যকারিতা নিয়ে ইউরোপে কোনো গবেষণা হয়নি৷ ন্যাচারোপ্যাথির ডাক্তার হিসেবে ক্রিস্টিনা ব্যুলো-সারটোরি তা সত্ত্বেও এ সব উপকরণ নিয়েই কাজ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘চীনে বহুকাল ধরে, প্রায় ৫,০০০ বছর ধরে এই সব ঔষধি ছত্রাক প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বাস্তবে বেশ সাফল্যও পাওয়া গেছে৷''
ফ্রিডরিশ ভালখার প্রায় ৮ বছর ধরে ডাইরিয়ায় ভুগেছেন৷ বিশেষ করে সস বা ঝোল, মসলা অথবা মিষ্টি খেলেই তাঁর পেট খারাপ হতো৷ ফলে তিনি বাড়ির বাইরে যাওয়া কার্যত বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘যখনই বিবাহ অথবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে খাবার আমন্ত্রণ পেয়েছি, তখনই মনে ভয় জাগতো৷ মনে হতো, আবার শুরু হবে৷ আশা করতাম হবে না৷ ডায়ারিয়া কিছুতেই থামতো না৷ মনে হতো যেন জোলাপ খেয়েছি৷''
বাস্তবে ছত্রাকের প্রয়োগ
ন্যাচারোপ্যাথির ডাক্তার হিসেবে ক্রিস্টিনার মনে হয়েছিল, এই রোগীর অন্ত্রে ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটিরিয়ার ঘাটতি রয়েছে৷ মলের নমুনা পরীক্ষা করে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে৷ তবে আপাতত সমস্যা লাঘব করতে তিনি রোগীকে শুকনো ছত্রাকের গুঁড়ো খাবার নির্দেশ দিয়েছেন৷ ক্রিস্টিনা ব্যুলো-সারটোরি বলেন, ‘‘গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে হেরিসিয়াম কার্যত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছত্রাক৷ এটি জোরালোভাবে প্রদাহ মোকাবিলা করে এবং অন্ত্রের ঝিল্লি নতুন করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে৷ একইসঙ্গে জরুরি বিষয় হলো, এই ছত্রাক শরীর-মনকে শান্ত করে৷''
ন্যাচারোপ্যাথির ডাক্তাররা ওষুধ হিসেবে এমন ছত্রাকের কদর করলেও অনেক ডাক্তারের মধ্যে এ বিষয়ে গভীর সংশয় রয়েছে৷ জার্মানির রস্টক শহরের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ হান্স লাম্পে হাতে গোনা ডাক্তারদের অন্যতম, যিনি কেমোথেরাপি সহ্য না করতে পারলে রোগীদের এই ছত্রাক দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন থেরাপির মাঝে অথবা থেরাপি শেষ হলে আমরা আসলে এই ছত্রাক প্রয়োগের চেষ্টা করি৷ টিউমারের কার্যকলাপ দুর্বল না করেই বৃহত্তর অর্থে খাদ্যের মাধ্যমে শরীরকে স্থিতিশীল করতে চাই৷''
স্তন ক্যানসার থেকে সাবধান!
ক্যানসারের কথা শুনলে কে ভয় না পায়? আর তা যদি তাঁর নারীত্বের প্রতীক, সুন্দর, সডৌল স্তনটিতে হয়, তাহলে ভয়ের মাত্রা আরো বেড়ে যায়৷ দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে অন্যান্য ক্যানসারের চেয়ে স্তন ক্যানসারেই মারা যায় সবচেয়ে বেশি নারী৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জার্মান ক্যানসার সোসাইটির তথ্য
জার্মান ক্যানসার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার নারীর স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা হয়, যার মধ্যে মারা যায় ১৭ হাজার৷ নারীদের অন্যান্য ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারেই হয় সবচেয়ে বেশি নারী৷ এতে মানুষ মারা গেলেও, এ ক্যানসার খুব মারাত্বক নয়৷ কারণ সময় মতো ধরা পড়লে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব৷
ছবি: Fotolia/S. Bähren
স্তন ক্যানসারের লক্ষণ
স্তনের চামড়ায় ভাজ, লাল হওয়া বা কুচকে যাওয়া, স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া কিংবা বৃন্ত থেকে রস ক্ষরণ হওয়া – স্তনে এ ধরনের কোনো পরিবর্তন দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার৷ তবে সব টিউমার বা পরিবর্তনই যে ক্যানসারে রূপ নেয়, তা কিন্তু নয়!
ছবি: Getty Images/J. Sullivan
মেমোগ্রাফি
‘মেমোগ্রাফি’ এমন একটি পরীক্ষা যাতে স্তনে একেবারে ক্ষুদ্র গিট, চাকা বা মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি ধরা পড়ে৷ তাই সময়মতো মেমোগ্রাফি করানো প্রয়োজন৷ বিশেষকরে ৫০-এর ঊর্ধে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এটা নিয়মিত করাতে হবে৷ তাছাড়া প্রত্যেক নারীরই বছরে অন্তত একবার স্ত্রী বিশেষজ্ঞের কাছে স্তন ও জরায়ু পরীক্ষা করানো উচিত৷
ছবি: Colourbox
নিজেই পরীক্ষা করুন
৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রত্যেক নারীর নিজেরই নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত৷ এই পরীক্ষা করতে হবে ‘পিরিয়ড’ বা মাসিক হওয়ার ঠিক পরে, অর্থাৎ মাসে অন্তত একবার৷ স্তনের ওপর থেকে নীচে, নীচ থেকে ওপরে এবং এপাশ থেকে ওপাশ – নানাভাবে স্তন দুটি টিপে পরীক্ষা করতে হবে৷ বোঝার চেষ্টা করতে হবে স্তনের ভেতর শক্ত কিছু আছে কিনা৷ তবে স্তনে গিট, চাকা বা টিউমার আছে কিনা তা বোঝার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়াই স্রেয়৷
ছবি: Fotolia/Forgiss
স্তন ক্যানসার রোধে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
হলিউডের ‘আইকনিক’ অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মা মারা যান স্তন ক্যানসারে৷ সেই জিন রয়েছে অ্যাঞ্জেলিনার শরীরে৷ আর সেজন্যই অ্যাঞ্জেলিনা স্তন ক্যানসারকে প্রতিরোধ করতে ‘মাস্টেকটমি’ বা স্তনব্যবচ্ছেদ করিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, অন্য মহিলাদের সচেতন করতে জানিয়েছেন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথাও৷
ছবি: Reuters/D. Moloshok
ক্যানসারের জিন
স্তন ক্যানসার হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই৷ তবে কারুর পরিবারে মা, খালা, ফুপু বা দাদি-নানির স্তন ক্যানসার থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এমনটা হলে সেক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন৷ অর্থাৎ খামখেয়ালি না করে নিয়মিত ডাক্তারি চেকাআপ করানো আর পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার৷ছবিতে মায়ের সাথে অ্যাঞ্জেলিনা৷
ছবি: Reuters
ক্যানসার নির্ণয়ে মেমোগ্রাফিই সবচেয়ে ভালো পন্থা
‘‘গবেষকরা সবসময়ই ব্রেস্ট ক্যানসারের নতুন নতুন জিন খুঁজে পাচ্ছেন৷ তাই এর চিকিৎসাও নির্ভর করে স্তনের টিউমারের ধরণের ওপর৷ মেমোগ্রাফি ব্রেস্ট ক্যানসার নির্ণয় করার জন্য সবচেয়ে ভালো পন্থা৷ তবে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু করার আগে অবশ্যই দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া প্রয়োজন৷’’ বলেন জার্মানির অন্যতম ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. কার্ল হাইৎস ম্যুলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়...
প্রকৃতি নারীদের স্তনযুগল উপহার দিয়েছে, যাতে তাঁরা শিশুদের দুধ পান করাতে পারেন৷ তাই অনেকের কাছেই স্তন নারীত্বের প্রতীক৷ তবে এই নারীত্ব ধরে রাখতে প্রয়োজন সচেতনতার৷ জার্মান ক্যানসার সমিতির করা এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন আধঘণ্টা ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, ধূমপান না করা, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি করলে শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ ক্যানসারের ঝুঁকি কমে৷
ছবি: lunamarina/Fotolia.com
পুরুষদেরও কিন্তু স্তন ক্যানসার হয়!
পুরুষরা মনে করেন যে, স্তন ক্যানসার কেবল নারীদেরই হয়৷ তাই তারা এ ব্যাপারে মোটেই সচেতন নন৷ পুরুষদেরও স্তন ক্যানসার হয়, যদিও তা তুলনামূলকভাবে নারীদের চেয়ে অনেক কম৷ তাই পুরুষদেরও নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করানো উচিত৷
মাইনৎস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিস্ট টোমাস এফের্ট এই ক্ষেত্রেই গবেষণা চালাচ্ছেন৷ বিশেষ করে রেইশি, ফু লিং বা কর্ডিসেপ্স-এর মতো ছত্রাক থেকে তিনি নির্দিষ্ট পদার্থ বার করে তা থেকে অ্যাক্টিভ সাবস্টেন্স আলাদা করেন৷ প্রো. এফের্ট বলেন, ‘‘আমরা মূলত এই ক্যানসার-নিরোধক পদার্থের প্রতি বেশি মনোযোগ দিচ্ছি৷ তার নাম কর্ডিসেপিন৷ কর্ডিসেপ্স সিনেসিস-এর মধ্যে সেটি পাওয়া যায়৷ টিউমার কোষ খতম করতে এটি কাজে লাগানো যায়৷''
চীনা ছত্রাক কর্ডিসেপস সিনেসিস সম্ভবত লিউকেমিয়া,স্তনের ক্যানসারও প্রস্টেট ক্যানসার কোষের উপর ভালো কাজ করে৷ কমপক্ষে টেস্ট টিউবে তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে৷ প্রো. এফের্ট বলেন, ‘‘এই ফ্লুরেসেন্স মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ব্লাড ক্যানসারের কোষের রেখার সবুজ রংয়ের সাইটোস্কেলেটন দেখা যাচ্ছে৷ গাছপালা বা কর্ডিসেপিনের মতো ছত্রাক থেকে প্রাকৃতিক পদার্থ এই কোষের রেখা – অর্থাৎ এই লাল অংশের মধ্যে প্রবেশ করলে সাইটোস্কেলেটনের কাঠামো কীভাবে ভেঙে যায়, তা দেখা যায়৷ এই ছত্রাক ও অন্য অনেক প্রাকৃতিক পদার্থ টিউমার কোষ কেন মেরে ফেলতে পারে, এর মাধ্যমে তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়৷''
এখনো এই ছত্রাক থেকে বার করা অ্যাক্টিভ সাবস্টেন্স মানুষের হাতে আসেনি৷ কোন ছত্রাকের মধ্যে কী গুণ রয়েছে, তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন৷ সেল কালচার করে যে ফল পাওয়া গেছে, তা মানুষের উপর প্রয়োগ করা যায় কিনা, তাও এখনো স্পষ্ট নয়৷ তবে ছত্রাকের মধ্যে ঔষধি সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়৷
বির্গিট আউগুস্টিন/এসবি
ক্যানসার চিকিৎসা ও তার সাফল্যের গল্প
কোথাও অক্সিজেন প্রয়োগ করে, কোথাও লেবুর রস, কোথাও বা বিশেষ ধরণের থেরাপি দিয়ে চলছে ক্যানসার থেকে রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা৷ অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা সফল৷ রোগীর পরিবারের কাছ থেকে সাফল্যের পুরস্কারও পাচ্ছেন ডাক্তাররা৷
ছবি: Fotolia/S. Bähren
অক্সিজেন দিন...
টিউমার বড় হলে অনেকক্ষেত্রে ভেতর থেকে অক্সিজেন বের করে নিয়ে টিউমারটিকে ছোট রাখেন ডাক্তাররা৷ তবে জুরিখের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপতালে ক্যানসারের চিকিৎসার একটি পর্যায়ে নেয়া হয় ঠিক উল্টো ব্যবস্থা৷ দেখা গেছে ক্যানসারে রূপ নেয়া টিউমারে অক্সিজেন প্রবেশ করালে কেমোথেরাপির কার্যকারীতা বেড়ে যায়৷ যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা ইঁদুরের দেহে এভাবে অক্সিজেন প্রয়োগ করে এর কার্যকারীতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন৷
লেবু যখন মহৌষধ
জার্মানির রুহর বিশ্ববিদ্যালয় বোখুমে গবেষকরা ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছেন লেবু! ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলোতে লেবুর রস ব্যবহার করে দেখা গেছে, এর ফলে ক্যানসারের বিস্তার কমে, অনেক ক্ষেত্রে থেমেও যায়৷
ছবি: picture alliance/David Ebener
প্রতিরোধথেরাপি
‘ইমিউনোথেরাপি’ অর্থাৎ প্রতিরোধথেরাপি নামের একটা বিশেষ থেরাপিও অদূর ভবিষ্যতে খুব কাজে আসবে৷ বলা হয়ে থাকে, মানবদেহের প্রায় ৯৯ দশমিক ৯৯ ভাগ প্রোটিনই ক্যানসার নিরোধক৷ গবেষকরা সেই প্রোটিনগুলোকে সক্রিয় করে দেহকে ক্যানসার প্রতিরোধী করার চেষ্টা করছেন৷ এই গবেষণায় সাফল্য এলে তা ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে গন্য হবে৷
ছবি: bzga
নীরব, নিষ্ক্রিয় প্রোটিন
অনেক সময় প্রোটিন জমে জমে মস্তিষ্কে টিউমার হয় আর সেই টিউমারে হয় ক্যানসার৷ জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিশায়েল প্লাটেন জানালেন, তাঁরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়েই মস্তিষ্কের টিউমারকে ছোট করতে সক্ষম হয়েছেন৷ ইঁদুরের মস্তিষ্কে এই পরীক্ষা সফল হয়েছে, এ বছর ৩৯ জন মানুষের ওপরও এর পরীক্ষা চালানো হবে৷
ছবি: Forschungszentrum Jülich
সাত শরীরে অ্যান্টিবডি
ট্যুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টিবডি ব্যবহার করেই চলছে ক্যানসার প্রতিরোধের চেষ্টা৷ অ্যান্টিবডির কাজই হলো, শরীরের ভালো কোষগুলোকে ক্যানসার সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানো৷ ট্যুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. হেলমুট সালিহ জানালেন, তাঁরা এখন সাতজন ক্যানসার রোগীকে অ্যান্টিবডি দিয়েই সারিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ প্রথমে ক্যানসার সেলগুলোকে ফিরে আসতে দেখা গেলেও পরে সেগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়৷
ছবি: Universität Tübingen
পোস্টকার্ড উপহার
অ্যান্টিবডি থেরাপিতে ফ্রান্সের ৫৯ বছর বয়সি এক রোগী পুরোপুরি সুস্থ৷ লিউকোমিয়ায় ভুগছিলেন তিনি৷ ডা. হেলমুট সালিহ জানালেন সুস্থ হয়ে ফেরার পর থেকে ফ্রান্সের ওই রোগীর স্ত্রী প্রায়ই তাঁকে পোস্টকার্ড পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান৷