1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিমালদ্বীপ

চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

৬ মার্চ ২০২৪

‘সামরিক সহযোগিতার' ক্ষেত্র বাড়াতে চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ৷ এই চুক্তিকে মালদ্বীপের ভারতীয় বলয় থেকে বেরিয়ে আসার একটি পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে৷

চীনের গ্রেট হলে মালদ্বীপ ও চীনের প্রেসিডেন্ট হাত মেলাচ্ছেন
জানুয়ারিতে বেইজিং সফরের গিয়ে চীনের সঙ্গে অবকাঠামো, জ্বালানি এবং কৃষি সম্পর্কিত কয়েকটি চুক্তিতে সই করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট৷ছবি: Liu Bin/Xinhua/IMAGO

ভারতীয় সেনাদের দ্বীপপুঞ্জটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পর থেকে নয়াদিল্লির সঙ্গে মালে-র সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷

মালদ্বীপের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাদের দ্বীপরাষ্ট্রটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ চীনের সঙ্গে একটি ‘সামরিক সহায়তা' চুক্তি সইয়ের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন তারা৷

মাইক্রো ব্লগিং সাইট ‘এক্স' (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সামরিক সহায়তা পেতে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সই করেছে মালদ্বীপ৷''

জানা গেছে, ওই চুক্তিতে সই করেছেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং চীনের একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা৷

প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক ছিল মালদ্বীপের৷

কিন্তু গত বছরের নির্বাচনে ‘ইন্ডিয়া আউট' স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসেন চীনপন্থি রাজনীতিক মোহামেদ মুইজু৷ তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকে৷

ভারত মহাসাগরের পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুটের গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ৷ সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে ভারত৷

ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কে ফাটল

ভারতীয় সামরিক বাহিনী তাদের সেনাদলকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে৷ কারণ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷

মালদ্বীপকে তার সামুদ্রিক সীমা পর্যবেক্ষণে ভারত তিনটি অনুসন্ধান বিমান দিয়েছিল৷ সেগুলো পরিচালনায় সাহায্য করতে দেশটিতে সেনা মোতায়েন করে ভারত৷ আর সেসব সেনাকে আগামী ১০ মে-এর মধ্যে মালদ্বীপ ছাড়তে হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

বিমানগুলো পরিচালনায় সামরিক কর্মীদের পরিবর্তে বেসামরিক কর্মীদের কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশা করছে ভারত৷

গেল সপ্তাহে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, মালদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরের ভারতীয় লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের মিনিকয় থেকে ‘অপারেশনাল নজরদারি' আরো বাড়ানো হবে৷

গত মাসে চীনের সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ৩-কে মালদ্বীপে নোঙরের অনুমতি দেয়া হয়েছিল৷ জানুয়ারিতে বেইজিং সফরের গিয়ে চীনের সঙ্গে অবকাঠামো, জ্বালানি এবং কৃষি সম্পর্কিত কয়েকটি চুক্তিতেও সই করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট৷

মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাসহ ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে বেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ভারত৷

টিএম/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ