দীর্ঘদিন ধরেই জিরো কোভিড নীতি নিয়ে চলছে চীন। কোনো জায়গায় করোনা বাড়লেই, সেই শহর বা জেলায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। যেমন এখন হয়েছে গুয়ানঝাউতে। সোমবার ১৭ হাজার ৭৭২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে পাঁচ হাজার মানুষ গুয়ানঝাউতে।
এর ফলে গোটা গুয়ানঝাউ-জুড়ে প্রবল কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। এখানে হাইঝু জেলায় হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বস্ত্রশিল্পে কাজ করেন। কঠোর লকডাউনে তারা বিপাকে পড়েন। গত অক্টোবরেও এখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
কোভিডের তোড়ে আবারও লকডাউনে সাংহাই
করোনার উল্লম্ফনে কড়াকড়ি চলছে চীনের বিভিন্ন শহরে৷ আবারও লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে গোটা সাংহাইকে৷ দেখুন থমকে যাওয়া শহরের চিত্র৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
দুই ধাপের লকডাউন
দুই ধাপের লকডাউনের শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে চীনের সাংহাই৷ চলছে ব্যাপক হারে পরীক্ষা আর কড়াকড়ি৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
পরীক্ষার তোড়জোড়
আবাসিক এলাকাগুলোতে বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে৷ একটি এলাকার পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে লম্বা লাইন পড়েছে৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
সনদে কেনাকাটা
কেনাকাটার জন্য নাগরিকদের দেখাতে হচ্ছে টিকার সনদ৷ এক মোটরসাইকেল আরোহীকে মোবাইলে টিকার কিউআর কোড দেখিয়ে খাবার নিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
জীবাণুনাশক
শুধু করোনা পরীক্ষা আর টিকা নয়, করোনামুক্ত করতে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশকও৷ ছবিতে একটি ভবনের সামনের রাস্তায় এক কর্মীকে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Aly Song/REUTERS
বন্ধ পথ
বিভিন্ন এলাকায় চলাচলে দেয়া হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা৷ তা নিশ্চিত করতেই তোলা হয়েছে এমন সাময়িক দেয়াল৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
খাদ্য মজুত
দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনের আগেই বিভিন্ন এলাকায় খাবারের ব্যবস্থা করতে দেখা যায়৷ একটি আবাসিক কমপাউন্ডের সামনে বাসিন্দাদের জন্য রাখা হয়েছে সবজিভর্তি ব্যাগ৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
ফাঁকা রাস্তা
লকডাউনে শুনসান হয়ে পড়েছে ব্যস্ত সাংহাই৷ উপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে ফাঁকা সড়ক৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
নজরদারিতে ড্রোন
নাগরিকরা লকডাউন মানছেন কীনা তা দেখতে তৎপর আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী৷ শুধু টহল নয় এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন৷ পিপিই পরিহিত দুই পুলিশ সদস্যকে দেখা যাচ্ছে ড্রোন উড়ানোর আগ মুহূর্তে৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
বিপাকে শিশুরা
লকডাউনে বন্দিজীবন কাটাতে হচ্ছে শিশুদের৷ বাড়ির সামনে তাদের নিয়ে বের হয়েছেন এক অভিভাবক৷ তবে তাদের মুখেও আছে মাস্ক৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
জরুরি কর্মীদের ব্যস্ততা
কাজে যোগ দিতে জরুরি কর্মীদের নিউক্লিক এসিড টেস্টিং করতে হচ্ছে৷ এজন্য বিভিন্ন স্থানে খোলা হয়েছে অস্থায়ী পরীক্ষাকেন্দ্র৷
ছবি: ALY SONG/REUTERS
10 ছবি1 | 10
সেমবার জেলার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকায় লকডাউন করার ঘোষণা দেয়া হয়। বুধবার রাত পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে।
তারপরই গুয়ানঝাউতে মানুষ রাস্তায় নেমে ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়ে শহরের কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। হাইঝুতে একটি পুলিশের গাড়ি উল্টে দেয়া হয়।
কঠোর কোভিড-বিধি
চীন এখনো জিরো কোভিড নীতি নিয়ে চলে। নিয়মিত মানুষকে গণহারে করোনা পরীক্ষা করা হয়। করোনা ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে একান্তবাসে পাঠানো হয়। কারা তার সংস্পর্শে এসেছেন তা খুঁজে বের করা হয়। তাদেরও একান্তবাস করতে হয়।
লকডাউনে ক্ষতবিক্ষত চীনের অর্থনীতি
00:56
পিপলস ডেইলি জানিয়েছে, জিরো কোভিড নীতি চালু থাকবে। কিন্তু এই নীতির ফলে শ্রমিকরা প্রবল আর্থিক অসুবিধায় পড়েন। সেজন্যই তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।