1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে কয়লা খনি বিস্ফোরণে নিহত ৪২

২১ নভেম্বর ২০০৯

চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছে৷ এছাড়া ৫০০ মিটার ভূগর্ভস্থ খনির মধ্যে আটকা পড়ে আছে আরো ৬৬ জন শ্রমিক৷

সিংচিং খনিতে বিস্ফোরণের পর উদ্ধার অভিযানছবি: AP

শনিবার ভোররাত আড়াইটার দিকে খনিটিতে বিস্ফোরণের সময় ৫২৮ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিল৷ দুর্ঘটনার শিকার হেগাঙ্গ শহরের ঐ খনি থেকে এ পর্যন্ত ৪১৯ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন 'সিসিটিভি' এবং বার্তা সংস্থা 'সিনহুয়া' এই খবর দিয়েছে৷ সিনহুয়া জানিয়েছে, সিনচিং নামের খনিটি রাশিয়ার সীমান্তবর্তী হেইলংচিয়াং প্রদেশে অবস্থিত৷ বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে হেগাঙ্গ শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছে যে, বিস্ফোরণের মাত্রা এতটা মারাত্মক ছিল যে সেখান থেকে তা অনুভূত হয়েছে৷

খবরে বলা হয়েছে, খনিটিতে গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলকভাবে আগে থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধার তৎপরতা চলছিল৷ ফলে হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ হেইলংচিয়াং লংমেই মাইনিং হোল্ডিং গ্রুপের মালিকানধীন খনিটি থেকে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টন কয়লা তোলা সম্ভব হতো৷ চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝেং দেজিয়াং দুর্ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন এবং প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও ও প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও উদ্ধার কাজের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন৷ ৬০ সদস্যের উদ্ধারকারী দল খনিটিতে নিখোঁজদের সন্ধান চালাচ্ছে৷

প্রসঙ্গত, চীনের খনিগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে৷ মানসম্পন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনার অভাবে চীনের খনি শিল্প বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে৷ ছোট ছোট ও অনিরাপদ ব্যপস্থাপনায় পরিচালিত খনিগুলোতে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে বলে সরকার এ ধরনের খনিসমূহ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷

২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক লাখ বিশ হাজার অবৈধ খনি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার৷ এছাড়া ২০১০ সালের মধ্যে আরো চার হাজার খনি বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি চীনা পত্রিকা৷ সরকারি হিসাবে, ২০০৮ সালেই খনিতে পানির তোড়, বিস্ফোরণ ও বিধ্বস্ত হয়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে৷ তবে শ্রমিক সংগঠনগুলোর হিসাব মতে, প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরো বেশি হবে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ