1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে গোপন সফরে উত্তর কোরিয়ার নেতা

৩০ আগস্ট ২০১০

২৬ থেকে ৩০শে অগাস্ট চীন সফর করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইল৷ তিনি দেশে ফেরার পর সফরের খুঁটিনাটি বিষয় জানা যাচ্ছে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার টিভিতে কিম জং ইল-হু জিনতাও বৈঠকের খবরছবি: AP

প্রেক্ষাপট

বিশ্বের অন্য কোনো দেশকে ঘিরে গোপনীয়তার এমন বেড়াজাল নেই, যেমনটা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়৷ দেশের শীর্ষ নেতা কিম জং ইল বিমানে ভ্রমণ করতে ভয় পান৷ তাই তিনি তাঁর বিশেষ বুলেট-প্রুফ ট্রেনে চেপে বিদেশ সফর করেন৷ সেই ভ্রমণও সাধারণত দুই প্রতিবেশী দেশ – চীন ও রাশিয়ার মধ্যেই সীমিত থাকে৷ ২৬ থেকে ৩০শে অগাস্ট এমনই এক রহস্যে ঘেরা সফরে চীনের উত্তর পূর্বের চাংচুন শহরে গিয়েছিলেন কিম৷ সফর চলাকালীন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিলো৷ কিম'এর ট্রেন আবার উত্তর কোরিয়ার সীমানায় প্রবেশ করার পর খবরটি স্বীকার করা হয়েছে৷ জানা যাচ্ছে বেশ কিছু তথ্য৷

সফরসূচি

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী চাংচুন'এ চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং ইল'এর মধ্যে আলোচনা হয়েছে৷ কিম বলেছেন, তাঁর দেশ আবার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত ৬ দেশীয় আলোচনায় ফিরে যেতে প্রস্তুত৷ উত্তর পূর্ব এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতেও সক্রিয় হতে চায় পিয়ং ইয়ং৷ তবে শুধু উত্তর কোরিয়া নয় – গোটা কোরিয় উপদ্বীপকেই পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার অবস্থানে অনড় রয়েছেন কিম৷ এসব বিষয় নিয়ে চীনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় পিয়ং ইয়ং৷ গত মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের বিষয়টি নিয়েও দুই শীর্ষ নেতার আলোচনা হয়৷ উল্লেখ্য, এক আন্তর্জাতিক তদন্তে ঐ ঘটনার জন্য উত্তর কোরিয়াকেই দায়ী করা হয়েছে৷

চীনের টেলিভিশনে দুই নেতার সাক্ষাতের দৃশ্য দেখানো হয়েছে৷ পর্দায় কিম'কে কিছুটা দুর্বল দেখাচ্ছিল৷ অন্যদিকে চীনের প্রেসিডেন্টকে বেশ আড়ষ্ট দেখাচ্ছিল৷ তবে দুজনেই কিছুক্ষণের জন্য আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়েছিলেন৷ হু কিম জং ইল'এর উদ্দেশ্যে উত্তর কোরিয়ায় অর্থনৈতিক সংস্কার ও আধুনিকীকরণের আহ্বান জানান৷ চীন সফরকালে কিম জং ইল একটি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ও একটি দ্রুতগতির ট্রেন তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন৷ এছাড়া যে স্কুলে তাঁর বাবা কিম সুং ইল কিছুদিনের জন্য পড়াশোনা করেছিলেন, সেখানেও যান কিম৷

সফরের উদ্দেশ্য

গোপন এই সফরের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে৷ সম্ভবত নিজের ছোট ছেলে ও সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে চিহ্নিত কিম জং উন'কে চীনা নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে কিছু পর্যবেক্ষক মনে করছেন৷ তবে কিম জং উন আদৌ এই সফরে বাবার সঙ্গী হয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়৷ সেপ্টেম্বর মাসেই কিম'র উত্তরসূরি স্থির করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, চীনই উত্তর কোরিয়ার প্রধান সহযোগী দেশ৷ তাই আরও একঘরে হয়ে পড়া কিম বিভিন্ন প্রশ্নে চীনের সমর্থন পেতে এই সফরে গিয়েছিলেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ